পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oebo ৭ অক্টোবর একজন অপরিচিত যুবকের সঙ্গে একদিন এক-মোটরে নিমন্ত্রণ-সভায় যাচ্ছিলুম। তিনি আমাকে কথা-প্রসঙ্গে शबब्र निष्णन् ८ष, चांछकांल श्रृंच्च चांकां८ब्र cष गद ब्रफ़ना করচি সেগুলি লোকে তেমন পছন্দ করচে না । যারা পছন্দ করচে না তাদের স্বযোগ্য প্রতিনিধিস্বরূপে তিনি উল্লেখ করলেন তার কোনো কোনো আত্মীয়ের কথা— সেই আত্মীয়েরা কবি ;—আর, যে সব পদ্য রচনা লোকে পছন্দ করে না, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন, জামার গানগুলো, আর আমার “শিশু ভোলানাথ” নামক আধুনিক কাব্যগ্রন্থ। তিনি বললেন, আমার বন্ধুরাও আশঙ্কা করচেন আমার কাব্য লেখবার শক্তি ক্রমেই মান হয়ে আসচে । কালের ধৰ্ম্মই এই। মর্ত্যলোকে বসন্ত-ঋতু চিরকাল থাকে না। মানুষের ক্ষমতার ক্ষয় অাছে, অবসান আছে। যদি কখনো কিছু দিয়ে থাকি, তবে মূল্য দেবার সময় তারই হিসাবটা স্মরণ করা ভালো। রাজি-শেষে দীপের জালে নেববার সময়ে যখন সে তার শিখার পাখাতে বার-কতক শেষ ঝাপটা দিয়ে লীলা সাঙ্গ করে, তখন আশা দিয়ে নিরাশ করবার দাবীতে প্রদীপের নামে নালিশ করাটা বৈধ নয়। দাবীটাই যার বেহিসাবী, দাবী অপূরণ হবার হিসাবটাতেও তার ভুল থাকবেই। পচানব্বই বছর বয়সে একটা মাহব ফস করে মারা গেল বলে চিকিৎসা-শাস্ত্রটাকে ধিক্কার দেওয়া বৃথা বাক্যব্যয়। অতএব কেউ যষ্টি বলে আমার বয়স যতই বাড়চে আমার আয়ু ততই কমে যাচ্চে, তা হ’লে তাকে আমি নিন্দুক বলিনে, বড় জোর এই বলি যে, লোকটা বাজে কথা এমনভাবে বলে যেন সেটা দৈববাণী। কালক্রমে আমার ক্ষমতা হ্রাস হয়ে যাচ্চে, এই বিধিলিপি নিয়ে যুবক হোক বৃদ্ধ হোক কবি হোক, অকবি হোক, কারে সঙ্গে তক্রার করার চেয়ে ততক্ষণ একটা গান লেখা ভালো মনে করি, তা সেটা পছন্দসই হোক আর না হোক। এমন কি, সেই অবসরে "শিশু ভোলানাথ”-এই জাতের কবিতা যদি লিখতে পারি, তা হলেও মনটা খুলি থাকে। কারণটা কি, বলে রাখি । প্রবাসী--মাঘ, ১৩৩১ C. [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড জাজ-নাগাদ প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ধরে খুব কবে গানই লিখচি । লোক-রজনের জন্তে নয়, কেননা, পাঠকেরা লেখায় ক্ষমতার পরিচয় খোজে। ছোট ছোট একটু একটু গানে ক্ষমতার কায়দা দেখাবার মত জায়গাই নেই। কবিত্বকে যদি রীতিমত তাল ঠুকে বেড়াতেই হয়, তা’ হ’লে অন্ততঃ একটা বড় আখড়া চাই। তা ছাড়া গান জিনিষে বেশি বোঝাই সয় না,—ষার মালের ওজন করে’ দ্বরের যাচাই করে, তা’রা এরকম দশ-বারে লাইনের হাল্কা কবিতার বাজার মাড়াতে চায় না। তৰু আমি এই কয় বছরে এত গান লিখেচি যে, অস্তুত সংখ্যা হিসাবে লম্বা দৌড়ের বাজিতে আমি বোধ হয় পয়লা নম্বরের পুরস্কার পেতে পারি। আর-একটা কথা বলে রাখি, গান লিখতে যেমন আমার নিবিড় আনন্দ হয়, এমন আর কিছুতে হয় না। এমন নেশায় ধরে, যে, তখন গুরুতর কাজের গুরুত্ব একেবারে চলে’ যায়,-বড় বড় দায়িত্বের ভারাকর্ষণটা হঠাৎ লোপ পায়, কৰ্ত্তব্যের দাবীগুলোকে মন এক ধার থেকে নামঞ্জুর করে দেয়। এর কারণ হচ্চে, বিশ্বকৰ্ম্মার লীলাখেলার স্রোতটার মধ্যে হঠাৎ পড়ে গেলে শুকনো ডাঙার কথাটা একেবারেই মনে থাকে না। শরতের গাছতলা শিউলি ফুলের অপব্যয়ে ছেয়ে গেল, নিকেশ নেবার কোনো কথাই কেউ বলে না। যা হ’ল কেবল তা’ই দেখেই বলি, যথেষ্ট হয়েচে । ঘোর গরমে ঘাসগুলো শুকিয়ে সব হলদে হয়ে গেল ; বর্ষার প্রথম পসলা বুষ্টি হয়ে যাবার পরেই হঠাৎ দেখি ঘাসে ঘাসে অতি ছোট ছোট বেগনি ফুলে হলদে ফুলে মাতামাতি। কে দেখে কে না দেখে তার খেয়াল নেই। এটা হ’ল রূপের লীলা, কেবলমাত্র হয়ে-ওঠাতেই আনন্দ । এই মেঠো ফুলের একটি মঞ্জর তুলে ধরে আমি বলি, বাহবা । কেন বলি ? ও ত খাবার জিনিষ নয়, বেচবার জিনিষ নয়, লোহার সিন্দুকে তালা বন্ধ করে’ রাখবার জিনিষ নয়। তবে ওতে আমি কী দেখলুম যাতে আমার মন বললে “সাবাস"। বস্ত দেখলুম । বস্ত ত একটা মাটির ঢেলার মধ্যে ওর চেয়ে অনেক বেশি আছে।