পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ]

খুন্ধৰ্ব্বার বলিয়া উঠিলেন—“একঘরে করবে গো তোমাকে একজ'ৱে করবে, কাল চৌধুরীদের চতীমগুপে এলৰ কথা হয়েচে। আমাদের হাতে ছোয়া-জল আর কেউ খাবে ब्रां । जांनैर्विाण इ'cब्र cष८ञ्चब्र बिं८ब श्’ण नी-e नांकि উচ্ছগঞ্জ করা মেয়ে-গায়ের কোনো কাজে তোমাকে আর কেউ যেতে বলবেনী—ধাও,ভালোই হয়েচে তোমার। এখন গিয়ে, ছাল-বাড়ী, বাগী-বাড়ী উঠে’-বলে’ দিন কাটাও।” সহায়হরি তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ করিয়া বলিলেন, *এই আমি বলি, না জানি কি ব্যাপার। একঘরে । সবাই একঘরে করেছেন এবার বাকী আছেন কালীময় ঠাকুর ও !” অন্নপূর্ণ তেলে-বেগুনে জলিয়া উঠিলেন। “কেন, তোমাকে একঘরে করতে বেশী কিছু লাগে নাকি ? তুমি কি সমাজের মাথা না একজন মাতব্বর লোক ? চাল নেই, চুলো নেই, এক কড়ার মুরোদ নেই, চৌধুরীরা তোমায় একঘরে করবে, তা আর এমন কঠিন কথা কি ? ---আর সত্যিই ত এদিকে ধাড়ী মেয়ে হ’য়ে উঠল”— হঠাৎ স্বর নামাইয়া বলিলেন—“হ’ল ষে পনেরো বছরের, বাইরে কমিয়ে বলে’ বেড়ালে কি হবে, লোকের চোখ নেই?”—পুনরায় গল উঠাইয়া বলিলেন—“না বিয়ে দেবার গা, না কিছু। আমি কি যাবে। পাত্তর ঠিক করতে ?” সশরীরে যতক্ষণ স্ত্রীর সম্মুখে বর্তমান থাকিবেন, স্ত্রীর গলার স্বর ততক্ষণ কমিবার কোনো সম্ভাবনা নাই বুঝিয়া সহায়হরি দাওয়া হইতে তাড়াতাড়ি একটি কাসার বাট উঠাইয়া লইয়া খিড়কী-দুয়ার লক্ষ্য করিয়া যাত্রা * করিলেন–কিন্তু খিড়কী দুয়ারের একটু এদিকে কি দেখিয়া হঠাৎ খামিয়া গেলেন এবং আনন্বপূর্ণশ্বরে বলিয়া উঠিলেন, —“এসব কি রে? ক্ষেস্তি-ম, এসব কোথা থেকে ziàfa ?–e: 1 st&–” . ১৪১৫ বছরের একটি মেয়ে আর-দুটি ছোট-ছোট মেয়ে পিছনে লইয়া বাড়ী ঢুকিল । তাহার হাতে এক বোঝ: পুইশাক, ডাটাগুলি মোট ও হলদে, হলুদে চেহারা দেখিয় মনে হয় কাহারা পাকা পুইগাছ * উপড়াইয়া ফেলিয়া উঠানের জঙ্গল তুলিয়া দিতেছিল ; মেয়েটি তাহাদের উঠানের জঙ্গল প্রাণপণে তুলিয়া আনি-গ্লাছে—ছোট মেয়ে দু’টির মধ্যে একজনের হাত খালি, • পুইমাচা 886: অপরটির হাতে গোট দুই তিন পাকা পুইপাতা-জড়ানো । কোনো স্ত্রৰ্য । বড় মেয়েটি খুব লম্ব, গোলগাল চেহারা, হাতে কাচের চুড়ি, মাখার চুলগুলো রুক্ষও অগোছালো-বাতালে উড়িতেছে, মুখখানা খুব বড়, চোখ ছটা ডাগর-ডাগর ও শাস্ত। সরু-সঙ্ক কাচের চুড়িগুলা ছ’পয়সা ভজনের একটি সেফটিপিন দিয়া একত্র করিয়া আটকানো। পিনটির বয়স ধরিবার উপায় নাই, সম্ভবতঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগের। এই বড় মেয়েটির নামই বোধ হয় ক্ষেত্তি, স্বরণ" সে তাড়াতাড়ি পিছন ফিরিয়া তাহার পশ্চাদ্ৰক্টিনীর হাত হইতে পুছপাত-জড়ানো অব্যটি লইয়া মেলিয়া ধরিয়া বলিল—“চিংড়ী মাছ, বাবা। গয়া বুড়ীর কাছ থেকে রাস্তায় নিলাম, দিতে চায় না, বলে—তোমার বাবার কাছে আর-দিনকার দরুন দু'টো পয়সা বাকী আছে, আমি বললাম—দাও গয়া পিলী, আমার বাবা কি তোমার দু’টাে পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাবে—আর এই পুইশাকগুলো ঘাটের ধারের রায়-কাকা বললে, নিয়ে যা-কেমন сNibi-Extbi-" i অন্নপূর্ণ দাওয়া হইতেই অত্যন্ত ঝাজের সহিত চীৎকার করিয়া উঠিলেন—“নিয়ে ষা, আহা কি অমৰ্ত্তই তোমাকে তা’রা দিয়েচ,—পাকা পুইডাটা, কাঠ হ’য়ে গিয়েচে, দু'দিন পরে ফেলে’ দিত—নিয়ে যা—আর উনি তাদের আগাছা উঠিয়ে নিয়ে এসেচেন—ভালোই হয়েচে, তাদের আর নিজেদের কষ্ট করে কাটুতে হ’ল না—যত পাথুরে বোকা সব মৰ্বতে আসে আমার ঘাড়ে—ধাড়ী মেয়ে, বলে’ দিয়েচি না তোমায়, বাড়ীর বাহিরে কোথাও পা দিও না ? –লজ্জ করে না এপাড়া-সেপাড়া করে বেড়াতে ! বিয়ে হ’লে যে চার-ছেলের মা হ’তে ?—যাওয়ার নামে আর জ্ঞান থাকে না ?—কোথায় শাক, কোথায় বেগুন, আর-একজন বেড়াচ্ছেন কোথায় রস, কোথায় ছাঁই, কোথায় পাশ--ফেল বলচি ওসব, ফেল।” ( মেয়েটি শাস্তু অথচ ভু-মিশ্ৰিত দৃষ্টিতে মার দিকে চাহিয়া হাতের বাধন আলগা করিয়া দিল, পুইশাকের বোঝা মাটিতে পড়িয়া গেল ) । যা তো রাধী, ও আপদগুলো টেনে খিড়কার পুকুরের ধারে ফেলে দিয়ে আয় ত—ধ-ফের যদি