পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা }, ' , পুঁইমাচা 88、 মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিতি করিতেছে—দিনের আলোয় এখনও বাহির হয় নাই। অন্নপূর্ণ হাসিয়া বলিলেন—“দুর পাগলী, এখন পুইভাটার চারা পোতে কখনো 7 বর্ষাকালে পুততে হয়। এখন যে জল না পেয়ে মরে’ বাবে ?” ক্ষেত্তি বলিঙ্গ—“কেন, আমি রোজ জল ঢালব ?” অন্নপূর্ণ বলিলেন—“ডাখ, হয়ত বেঁচে যেতেও পারে ? আজকাল রাতে খুব শিশির হয়।” খুব শীত পড়িয়াছে। সকালে উঠিয়া সহায়ংরি দেখিলেন র্তাহার দুই ছোট মেয়ে দোলাই গায়ে বাধিয়া রোদ উঠিবার প্রত্যাশায় উঠানের কাঠালতলায় দাড়াইয়৷ আছে । একটা ভাঙা ঝুড়ি করিয়া ক্ষেত্তি শীতে কঁাপিতেকঁাপিতে মুখুজ্যে-বাড়ী দুইতে গোবর কুড়াইয়া আনিল । সহায়হরি বলিলেন-—“ই মা ক্ষেস্তি, তা সকালে উঠে” জামাটা গায় দিতে তোর কি হয় ? দেখ দিকি, এই भौ७ ?'- s “আচ্ছা দিচ্চি বাবা, কই শীত, তেমন ত—” “ই, নে মা, এখখুনি দে—অস্থখ-বিশ্বখ পাচ-রকম হতে পারে বুঝলিনে ?”—সহায়হরি বাহির হইয়া গেলেন, ভাবিতে-ভাবিতে গেলেন, তিনি কি অনেক দিন মেয়ের মুখে ভালো করিয়া চাহেন নাই ? ক্ষেস্তির মুখ এখন স্বত্র হইয়া উঠিয়াছে ? জামার ইতিহাস নিম্নলিখিতরূপ । অদ্য বহবৎসর অতীত হইল, হরিপুরের রাসের মেলা হইতে সহায়হরি কালো সার্জের এই ২০ টাকা মূল্যের জামাটি ক্রয় করিয়া আনেন। ছিড়িয়া যাইবার পর তাহাতে কতবার রিপু ইত্যাদি করা হইয়াছিল, সম্প্রতি গত বৎসর হইতে ক্ষেস্তির স্বাস্থ্যোন্নতি হওয়ার দরুন জামাটি তাহার গায়ে হয় না। সংসারের এসব খোজ সহায়হুধি কখনও রাখিতেন না । জামার বর্তমান অবস্থা অন্নপূর্ণরও জানা ছিল না— ক্ষেস্তির নিজস্ব ভাঙা টিনের তোরঙ্গের মধ্যেই উহা থাকিত । পৌষ-সংক্রান্তি। সন্ধ্যাবেল অন্নপূর্ণ একটা কাসিতে চালের গুড়া ও ময়দা ও গুড় দিয়া চট্টকাইতেছিলেন— একটা ছোট বাটিতে একবাটি তেল । ক্ষেস্তি কুরুনীর নীচে একটা কলার-পাত পাড়িয়া একখালা নারিকেল কুরিতেছে। অন্নপূর্ণ প্রথমে ক্ষেপ্তির সাহায্য লইতে चौकृङ ट्न माहे, कांब्र१ - ८षथtप्न-८गषाटन ब८म, दरमবাদাড়ে ঘুরিয়া ফেরে, তাহার কাপড়-চোপড় শাস্ত্র-সন্মত ও ७ िनप्झ् । चक्रलम्ब cकडि निडास्त्र पब्रिग्न श्रज्राच्न হাত-পা ধুয়াইয়া ও শুদ্ধ • কাপড় পরাইয় তাহাকে বর্তমান পদে নিযুক্ত করিয়াছেন । ময়দার গোলা মাথা শেষ হইলে অন্নপূর্ণ উন্থনে খোল চাপাইতে যাইতেছেন, ছোট মেয়ে লক্ষ্মী হঠাৎ জ্ঞানী হাতখানা পাতিয়া বলিল—“মা, ঐ এক্টু—” । অন্নপূর্ণ বড় গামূলাটা হইতে একটুখানি গোলা তুলিয়া লইয়া হাতের জাঙল-পাচটি দ্বারা একটি বিশেষ মুত্র রচনা করিয়া সেটুকু লক্ষ্মীর প্রসারিত হাতের উপর দিলেন । মেজো মেয়ে পুটী অম্নি ডানহাতখান কাপড়ে তাড়াতাড়ি মুছিয়া লইয়া, মার সামনে পাতিয়া বলিল, “ম, আমায় একটু—” । ক্ষেন্তি শুচিবক্সে নারিকেল কুরিতে-কুরিতে লুব্ধনেত্রে মধ্যে-মধ্যে এদিকে চাহিতেছিল, এসময় খাইতে চাওয়ায় মা পাছে বকে, সেই ভয়ে চুপ করিয়া রহিল। অন্নপূর্ণ বলিলেন, “দেখি, নিয়ে আয় ক্ষেত্তি, ঐ নারকেলথালাটা, ওতে তোর জন্তে একটু রাখি—” । ক্ষেত্তি ক্ষিপ্রহস্তে নারিকেলের উপরের থালাখানা, যাহাতে ফুট নাই, সেখান সরাইয়া দিল, অন্নপূর্ণ তাহাতে একটু লেশী করিয়া গোলা ঢালিয়া দিলেন । মেজো মেয়ে পুটী বলিল,-"জেঠাইমারা অনেকখানি দুধ নিয়েচে, রাঙাদিদি ক্ষীর তৈরী করছিল, ওদের অনেক-রকম হবে।” ক্ষেত্তি মুখ তুলিয়া বলিল,—“এবেলা আবার হবে নাকি ? ওরা ত ওবেলা ব্রাহ্মণ নেমস্তন্ন করেছিল কুরেশকাকাকে আর ও-পাড়ার তিমুর বাবাকে । ওবেলা ত পায়েস, ঝোল-পুলি, মুগতক্তি, এইসব হয়েচে ।” পুটী জিজ্ঞাসা করিল,—“হ্যা মা, ক্ষীর নৈলে নাকি পাটিসাপট হয় না ? খেদী বলছিল, ক্ষীরের পুর না হ’লে কি আর পাটিসাপট হয় ? আমি বললাম, কেন, আমার মা ত শুধু নাবৃকেলের ছাই দিয়ে করে, সে ত কেমন ”سسmizst tچ অন্নপূর্ণ বেগুনের বোটায় একটুখানি তেল রাষ্টয়া