পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8¢३ প্রবাসী—মার্থ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড নাই। সন্ধ্যার সময় রান্নাঘরের মধ্যে বসিয়া অন্নপূর্ণ সরুচাকৃলি-পিঠের জন্য চালের ওড়ার গোলা তৈয়ারী • করিতেছেন। পুট ও রাধী উগুনের পাশে বসিয়া আগুন পোহাইতেছে।. রাধী বলিতেছে, “আর-একটু জল দিতে হবে মা, জত ঘন করে ফেললে কেন ?” পুট বলিল, “আচ্ছ, মা ওতে একটু কুন দিলে হয় سس "" tة “ওমা, স্তাখোম, রাধীর দোলাই কোথায় ঝুলছে, এখনি ধরে উঠবে”—অন্নপূর্ণবলিয়া উঠিলেন—“সরে এসে বোস ন, আগুনের ঘাড়ে গিয়ে না বসলে কি আগুন পোহানো হয় না ? এইদিকে জায়।” গোলা তৈয়ারী হইয়া গেল—খোলা আগুনে চড়াইয়া অন্নপূর্ণ গোলা ঢালিয়া মুচি দিয়া চাপিয়া ধরিলেন—দেখিতে-দেখিতে মিঠে আঁচে পিঠে টোপরের মতন ফুলিয়া উঠিল । পুট বলিল—“মা, দাও, প্রথম পিঠেখান কানাচে ঘাড়া-ষষ্ঠীকে ফেলে’ দিয়ে আসি।” অন্নপূর্ণ বলিলেন,—“এক স্বাসনে, রাধীকে নিয়ে যা।” খুব জ্যোৎস্না উঠিয়াছিল, বাড়ীর পেছনে বাড়ীগাছের ঝোপের মাথায় তেলাকুচ লতার থোলো-থোলো সাদা স্কুলের মধ্যে জ্যোৎস্না আট্‌কিয়া রহিয়াছে। পুট ও রাধী খিড়কী-দোর খুলিতেই একটা শিয়াল শুকনো পাতায় থসূ-খস্থ শৰ করিতে-করিতে ঘন ঝোপের মধ্যে ছটিয়া পলাইল । পুট পিঠেখানা জোর করিয়া চুড়িয়া ঝোপের মাথায় ফেলিয়া দিল । তাহার পর চারিধারের নির্জন बैनवप्नब्र निखरुडाग्न छद्र शादेश cछ्रणभाशय निङ्ग হটিয়া জাসিয়া খিড়কী-দরজার মধ্যে ঢুকিয়া পড়িয়া তাড়াতাড়ি দ্বার বদ্ধ করিয়া দিল । পুট ও রাধী ফিরিয়া আসিলে জয়পূর্ণ জিজ্ঞাসা করিলেন—“দিলি ?” পুট বলিল—“হ্যাম, তুমি জার-বছর যেখান থেকে নেবুর চারা তুলে এনেছিলে সেখানে ফেলে দিলাম—” । তার পর সে-রাত্রে অনেকক্ষণ কাটিয়া গেল। পিঠেগড়া প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে—রাতও তখন খুব বেশী। জ্যোৎস্নার আলোয় বাড়ীর পিছনের বনে অনেকক্ষণ ধরিয়া একটা কাটঠোক্রা পাখী ঠক্‌-স্ব-ব-রূ-ত্ব শৰ করিতেছিল, তাহার স্বরটাও যেন ক্রমে তন্ত্ৰালু হইয়া পড়িতেছে-জুই বোনের খাইবার জন্য কলার পাতা চিরিতে-চিরিতে পুটী অন্তমনস্কভাবে হঠাৎ বলিয়া উঠিল--"দিদি বড় ভালো| "سstrrsة তিন জনেই থানিকক্ষণ নিৰ্ব্বাক হইয়া বসিয়া রহিল, তাহার পর তাহাদের তিন জনেরই দৃষ্টি কেমন করিয়া আপনা-আপনি উঠানের এক কোণে আবদ্ধ হইয়া পড়িল s—ষেখানে বাড়ীর সেই লোভী মেয়েটির লোভের স্থতি পাতায়-পাতায় শিরায়-শিরায় জড়াইয়া তাহার কত সাধের নিজের হাতে পোতা পুইগাছটি মাচা জুড়িয়া বাড়িয়া উঠিয়াছে—বর্ষার জল ও কাৰ্ত্তিক মাসের শিশির লইয়া কচিকচি সবুজ ডগাগুলি মাচাতে সব ধরে নাই, মাচা হইতে বাহির হইয়া দুলিতেছে—স্বপুষ্ট, নধর, প্রবর্ধমান জীবনের লাবণ্যে ভরপুর !