পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sৰ সংখ্যা । ঘুমের ঘোর 8&e: তার পর কত কষ্ট করিয়া নিধিরাম যে তাহার ছোট সংসারখানা গড়িয়া তুলিয়াছিল, সে-কথা সেই জানে। ছেলে-মেয়েগুলি হাসিয়া-খেলিয়া বেড়াইবে, তাহাদের বিবাহ দিবে, পুত্রবধূ জামাতার মুখ দেখিবে—এমুনি কত আশাই না প্রতিমুহূর্তে তাহার মনে জাগিত। কিন্তু আজ তাহার সকল আশা-উৎসাহের উৎস শুকাইয়া গেল । জীবনের বেশীর ভাগ কাল তাহার অতীত হইয়া গিয়াছে। নূতন করিয়া গড়ে, এ আশাহত কৰ্শ্বক্লান্ত দেহে তাহার সে সামর্থ নাই। . প্রতিবেশীরা ধরিয়া পড়িল—“ৰিয়ে করে, আমরা সব ঠিক করে দিচ্ছি।” বিনয় করিয়া নিধিরাম কহিল— *বিধি যখন বাদ সাধলেন, তখন ওসবের মধ্যে আর টেনো না, কপালেই যদি থাকৃবে দাদা, তা হ’লে বাধা ঘর ভাঙবে কেন?” দিনের বেলায় কাজকর্শ্বে ব্যস্ত থাকায় সে বরং থাকে ভালো, কিন্তু ফ্লারাদিন পরিশ্রমের পর সে যখন বাড়ী ফিরিয়া আসে, তখন সন্ধ্যার উiাধারমাখা শূন্ত বাড়ীখানির দিকে চাহিয়া তাহার বুক ফাটিয়া কান্ন৷ #সে। সারাদিনের মেইনতের পর তাহাকে যখন আবার "রাধিতে হইত,তখন তাহার চোখে অশ্র বাধা মানিত না। একে দিবসের শ্রান্তি—'ক্ষুধ-তৃষ্ণায় ছাতি ফাটিয়া যায়, তাহার উপর রাধিবার সময় কোনোদিন দেখে চাউল নাই,কোনোদিন দেখে কলসীতে জল নাই—কোনোদিন বা লবণ-তৈল নাই—কাঠ নাই। তখন অতরাত্রে কেই বা চালের জোগাড় করে, কেই বা অতদূরে নদীতে জল আনিতে बाइ-अज्र রাত্রে ওরকম ক্ষিণে-তেষ্টার সময় কি আর ওসব বঞ্চাট ভালো লাগে? নিধিরামের সকল শোক-দুঃখ তখন রাগে পরিণত হইত। রাগের জালায় নিধিরামের আর সেদিন খাওয়া হইত না। স্ত্রী মারা যাইবার পর অধিংশ দিনই নিধিরামকে এমুনি না খাইয়া কাটাইতে হইয়াছে।’ ওপাড়ার রসিক একদিন তাহাকে নিরিবিলিতে लझेब्रा कश्लि-“गांन, ७कछैो कथां चां८छ् ।” थॉनिकक५ নীরব ভূমিকার পর কহিল—“কথাটা দাদা এই যে, ফকিরসন্ন্যাসী হ’য়ে যাও সে আলাদা কথা, কিন্তু সংসারে থেকে গেরপূক্তি হয়ে তোমার কদিন চলবে n একা মাছৰ ভূমি—মাঠ-ঘাটের কাজ করে সারাদিন পরে আবার ঘরকরনার কাজ কর—াধ-বাড়া ওসব কি একটা সত্ৰৰ হয় ? অার এ দুই-একদিনের কাজ নয়, তার পরে সময়অসময় আছে, আর ওরকম সময়ে না খেয়ে-মেয়েই বা কদিন কাটাবে? তার চেয়ে এক কাজ করলে—“বলিয়া রসিক একটু থামিল। নিধিরামের মন এক অজ্ঞাত আশায় উৎফুর হইয়া উঠিল। আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিল, “কি কাজ * , রসিক একটু ইতস্তত করিয়া কহিল,—“কত অনখিা বিধবা দুটো ভাত-কাপড়ের জন্তে কৃষ্ট পাচ্ছে, বিয়ে করবে না, এ যদি তোমার ধয়ক-ভাঙা পর্ণ হয়ে থাকে, তা হ’লে বরং ঐরকম একটা অনাথ মেয়েমানুষ দেখে সসারে এনে রাখে, তাতে তোমার ঘর-গেরস্থালীর কাজ চলে’ যাবে, সময়ে ছটাে ভাত-জলঙ দিতে পারবে-বলে কি, অসময়ের ভাবনাও থাকৃবে না। আমাদের জাতের মধ্যে এটা ত, আর দোষের কিছু নয়-ঘরে ঘরেই ত এ-রকম দুটো-একটা অাছে।’ - নিধিরাম কোনো কথা কহিল না, চুপ করিয়া ভাবিতে লাগিল। এই চুপ করিয়া থাকা মৌন-সম্মতি মনে করিয়া রসিক উৎসাহিত হইয়া বলিতে লাগিল— “আমি একরকম ঠিকও করেছিলাম দাদা— । সেদিন নূতন-গায়ে গিয়েছিলাম। নবীন মণ্ডলের ভাজ আজ ১২।১৪ বছর হ’ল বিয়ের মাস-পাচছয় পরে বিধবা হয় । এতদিন ধরে সে তার বাপের বাড়ী ছিল । অল্পনি হ’ল বাপ মরে যাওয়ায় দুঃখে পড়ে শ্বশুরবাড়ী এসেছে। সেখানে কারও সাথে তার বনিবনাও নেই। তারা তাকে বিষয়-সম্পত্তির অংশ দেবে না, খেতে-পবৃতে দিতে চায় না, তার পর আবার কথা নেই, বার্তা নেই, মার-ধর করে। সে আসতে চায় দাদা, তুমি যদি—” বাধা দিয়া নিধিরাম কহিল,—“না, নী—ওসব দিয়ে কাজ নেই ভাই— । পরের মেয়েমান্থব এনে একটা নিন্দে কুড়নে—তার চেয়ে খাই-না-খাই আছি ভালো ।” রসিক অনেক যুক্তি-তর্ক দিয়া বুঝাইল, কিন্তু নিধি