পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ६ ५ : ৪র্থ সংখ্যা ] “কি কথা রে ?” বলিয়৷ শিরোমাণ-মহাশয় নিবিধকারভাবে স্থক টানিতে লাগিলেন। দুই-তিনবার ঢোক গিলিয়া নিধিরাম কহিল,— “আজ্ঞে বিধবাদের নাকি আজকাল আবার বিয়ে হয় ?”

  • হারামজাদা পাজি বেল্লিক কোথাকার । ঠাট্ট করতে আসিস্ আমার সাথে—এত বড় আম্পৰ্দ্ধা ! বড়-বাবুকে বলে তোকে ভিটেছাড়া করে’ ছাড়ব, তবে আমার নাম সৰ্ব্বেশ্বর শিরোমণি— ” গর্জন করিতেকরিতে থকা হাতে করিয়া শিরোমণি মহাশয় লাফাইয়৷ উঠিলেন, রাগে তাহার সর্ব-শরীর কাপিতে লাগিল।

গোলমাল শুনিয়া চারিদিক্ হইতে পাড়ার লোক चोगिद्य शंविद्व श्ल। दूक घृङ्गाश्चञ्च cघाब नका-वृन्मना ছাড়িয়া হাপাইতে-হfপাইতে র্তাহার বিপুলবপু সহ ছুটিয়া আসিলেন এবং প্রাচীন ভুক্তিভাজন শিরোমণি মহাশয়কে ঠাট্টা করিয়াছে শুনিয়া, মানবের পূর্বপুরুষের মতন মুখভঙ্গী-সহকারে, বিবিধুভাব ও ভাষায় নিধিরাম ও তাহার চতুর্দশ পুরুষের ভূত ছাড়াইতে লাগিলেন। নরহরি দত্ত তাহাকে মারিতে উষ্ঠত হইলেন এবং নফর চাটুধ্যে, শীঘ্রই যে নিধে ব্রাহ্মণের অভিসম্পাতে সংশে নিৰ্ব্বংশ হইবে, সেই স্থির নিশ্চিত সিদ্ধান্তের প্রমাণ করিতে লাগিলেন। কেঁচো খুড়িতে সাপ বাহির হয়—দেখিয়া নিধিরাম মহা ভয় পাইয়া গেল। শিরোমণি মহাশয়ের পা জড়াইয়া ধরিয়া সে কাতরস্বরে কহিল,—“অপরাধ নেবেন না, দোহাই কর্তা-ঠাকুর আমারে মাফ করুন—আমি এর কিছুই জানিনে— । সেদিন খোকাবাবু বললেন কিনা, যে “নিধে তুই একটা বিধবা বিয়ে করিসূ ত সব ঠিক করে দিই—আজকাল বিধবাদের বিয়ের চলন হ’য়ে গেছে।” খোকাবাবুর মতন বিদ্বান ত শুনি আমাদের এ তল্লাটে নেই ; তিনি এমন কথাটা বললেন, তাই ভাবলাম, কর্তাঠাকুরের কাছে একবার শুনে দেখি— ।” নিধিরামের কাকুতি-মিনতিতে শিরোমণি মহাশয় এবার নিধিরামকে ছাড়িয়া নিৰ্ম্মলকে ধরিলেন। স্বয়ট এক পর্দা উচ্চে চড়াইলা বলিলেন,—"নিৰ্ম্মল ত বলবেই —সে যে ইংরেজী পড়ছে ? অামি ত সেইকালেই ঘুমের ঘোর 86.9 বলেছিলাম যে, মশায়, ছেলেকে कल्काउाग्न भा5ोटबन না ও ম্লেচ্ছ-শিক্ষায় মেচ্ছাচার প্রাপ্ত হবে। গরীবের কথা বাসি হ’লে কাজে লাগে। ও বেশ্বজ্ঞানী হ’য়ে গেছে মশায়, নয়ত কি বিধবা-বিবাহের কথা কয় ? : সনাতন ধৰ্ম্ম আর রক্ষা হয় না—ঘোর কলি— ” নিৰ্ম্মল সেখানে উপস্থিত ছিল। শিরোমণি-মহাশয়ের বীরদপের মাঝে নিজের নাম শুনিয়া সে হাসিতে-হাসিতে জিজ্ঞাসা করিল, “আমার আবার কি অপরাধ হ’ল,খুড়ো-ঠাকুর ?” গোলমালের কারণ তখনও সে জানিতে । পারে নাই । , * নিৰ্ম্মলকে দেখিয়া শিরোমণি মহাশয় নরম হইয়া” কহিলেন,—“এস বাবা নিৰ্ম্মল’ । নিৰ্ম্মল নিকটে আসিয়া। বলিলে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“তুমি নাকি বলেছ, ষে, বিধবাদের আবার বিয়ে হয় ? আমি ত—” বাধা দিয়া নিৰ্ম্মল বলিল,—“হ্যা বলেছি, কিন্তু তা’তে হয়েছে কি ? এ-গোলমাল কেন ?” তাচ্ছিল্যের ভাবে কথাটা বলিয়া সে হাসিতে লাগিল । ية يقع - رو বিস্ফারিতলোচনে শিরোমণি মহাশয় বলিলেন,—“এ্যা , বলো কি ! আমাদের হিন্দু-সমাজে—?” নম্রস্বরে নিৰ্ম্মল উত্তর দিল,—“আজ্ঞে ই, বিধবাবিবাহ ত আর অশাস্ত্রীয় নয় ? বিদ্যাসাগর-মহাশয়—” বিদ্যাসাগরের নামে শিরোমণি-মহাশয় জলিয়া উঠিলেন। “বিদ্যাসাগর ত ম্লেচ্ছ। নয়ত এতকালও বড়-বড় পণ্ডিত দেশে ছিল, এখনও আছে, তারা কেউ ত কখনো বলে না, যে, বিধবার আবার বিয়ে হয় ? অার কোন শাস্ত্রে এমন কথা আছে ? শাস্ত্র নিয়েই চুল পাকালাম। চন্দ্র-সুর্ধ্য থাকৃতে ত এসব অধৰ্ম্ম, অনাচার সনাতন হিন্দুসমাজে হতে পারবে না।” নিৰ্ম্মল পূর্বের মতন শান্তভাবে কহিল,—“শাস্ত্রের বিচার ছেড়ে দিলেও সহজ-বুদ্ধিতে ইহা বুঝা যায়, যে, যাকে আপনার অধৰ্ম্ম অনাচার মনে করে” শিউরে উঠছেন, সেগুলির প্রচলন সমাজের পক্ষে পরম মঙ্গল কর । কারণ পথ না পেয়েই মানুষ অনেক সময়ে বিপথে যেতে বাধ্য হয়। এই বিপথে চলবার জন্তে শাস্ত্র ও ; সমাজ অনেক-পরিমাণে দায়ী। সমাজ ধর্শ্বের দোহাই । .#