পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-বংগঙ্কল্পং"* متمم ، ۰ - میی. . . . - 86to * a জুarল-র "arছল ৰত্ন”---- - * >覆 ২৪শ ভাগ,২য় খণ্ড । حہ. پن :- ~ چاہتے ہوتی۔ क्रिय 'धाश्यप्क शनि विश्वप्थ c5ष्ण' ना क्य्म्नि श्ण८थ झन्दोब्र অধিকার দেয়, তা হ’লে সমাজ থেকে অনেক পাপের ऐ८व्हन ट्ञ्च (* অস্তরের ভাব গোপন রাখিয়া শিরোমণি মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কি-রকম ?” “এই নিধের ব্যাপারটাই দেখুন। অবস্থা-বিপৰ্য্যয়ে ও একটা বিধবাকে সংসারে এনে রেখেছে, কিন্তু ষেপথে ওরা চলতে বাধ্য হচ্ছে, ধৰ্ম্ম ও মানুষের কাছে সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। আর সে-পাপের ক্ষান্তি এইখানেই নয়—ওদের মিলনে যারা স্থই হবে, অস্বাভাবিক উপায়ে ওরা তাদেরও নষ্ট করতে বাধ্য হবে, কারণ এই পাপের বৃদ্ধি না করলে সমাজে ওদের স্থান হবে না। কিন্তু বিধবা-বিবাহ-প্রচলন থাকূলে এসব অনাচারের উদ্ভব হবার স্নযোগ হ’ত না।” “কিন্তু এ ত খৃষ্টেন-মুসলমানের সমাজ নয়, যে, যখন যেটা ইচ্ছা করলেই হ’ল। মুনি-ঋষিরা যে বিধি-ব্যবস্থা করে গেছেন, স্বয়ং ব্ৰহ্মা-বিষ্ণু-শিব এসেও তা’র ব্যতিক্রম কতে পারবেন না। আর সেই জন্তই আমাদের সনাতন হিন্দুসমাজ সবচেয়ে বড়।” বলিয়া গৰ্ব্বভরে জিজ্ঞাস্কনেস্ত্ৰে নিৰ্ম্মলের দিকে চাছিলেন । নিৰ্ম্মল বলিল,—“কিন্তু আপনার ষে সনাতন সমাজ” সনাতন সমাজ করে চীৎকার করছেন, সে সমাজ যদি আর ৩et৪০ বৎসর এইভাবে চলে, তা হ’লে তাহা পুরাণইতিহাসের পাতায় মাত্র পর্য্যবসিত থাকৃবে—বাস্তব জগতে তার কোনো সমুন পাওয়া যাবে না। এবারকার সেন্সাস দেখেছেন ত—হিন্দুর সংখ্যা এই দশ বছরে কিভাবে কমেছে ? অপরদিকে মুসলমান প্রভৃতির বৃদ্ধির হার কত অধিক । বিশেষজ্ঞেরা স্থির করেছেন, যে, হিন্দুর এই সংখ্যা-হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে—এই বিধবা-সমস্ত । শতকরা পচিশ জন স্ত্রীলোক হিন্দু-সমাজে বিধবা— তার অনেকেই বিধবা হয় আবার সন্তানবতী হবার জাগে— ” “উচ্ছন্ন যাক হিন্দুসমাজ-চুলোয় যাক। তাই বলে’ বিধবা-বিবাহ হবে ? যত সব অনাছিটি অনাচার— {এতও আজ শুনতে হ’ল ! নারায়ণ, নারায়ণ!” শিরোমণি-মহাশয়ের স্বরে স্বর মিলাইয়া রামধন মিত্র মুহাশয় কছিলেন—“বেঁচে থাকলে আরো কত শুনতে হবে দাদা। সেইজন্তেই ত ছুবেল প্রার্থনা করি যে, হরি হে আমাকে তাড়াতাড়ি নেও।” বৃদ্ধ জাল"জমাদার এতক্ষণ চুপ করিয়া শুনিতেছিল, সে সামনে আসিয়া বলিল,—"কর্তাঠাকুর অনুমতি করেনত আমি একটা কথা বলি—” শিরোমণি.মঙ্গাশয় অকুমতি দিলেন। “বিধবা বিয়ে করার জন্তে আমাদের যতই দোষ দিন না কেন কৰ্ত্ত, এই নিকার জন্ত আজও মোছলমান জাত আছে। কিন্তু এই এখানকার হিন্দুদের অবস্থা দেখুন ? –চক্‌দীঘির জমিদারদের সাথে যখন আমাদের বাবুদের কাৎলামারী বিলের দখল নিয়ে “কাজিয়া’ হয়, সেকথা বোধ হয় আপনার স্মরণ অাছে। শেষরাত্রে চাদপুর ডিহির সওয়ার এসে জানালে যে, পহরখানেকের মধ্যে শ’চারেক লাঠিয়াল না হ’লে বিল বেদখল হ’য়ে যাবে।” গল্পের আস্বাদ পাইয়া শিরোমণি-মহাশয় বলিলেন,— “সেকথা আর মনে থাকৃবে না ? তোমার বাবা ইসমাইল সর্দার ত চকনীঘির বাবুদের গোমস্তাকে সড়কীতে গেঁথে নিয়ে আসে—।” “সেই সময় একডাকে এই সামনের পাড়া থেকে বাছাবাছা দুশ লেঠেল বেরিয়েছিল। আর আজ দু'শ পড়ে মরুক, দায়-বেদায়ে দশজন লোকও সেখানে পাওয়া যায় না-- * চাটুষ্যে মহাশয় বলিলেন,—“মরে-ছেড়েই সব খালি হয়ে গেল আর আসবে কোথা থেকে ? এই ত আমরা ছোট-বেলায় দেখেছি যে, এই পাড়ায় লোক গিজগিজ, করেছে, আর আজ দেখ সবই ভিটে খালি।” একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়িয়া কহিলেন, “কিছু চিরস্থায়ী নয়, ও বলে’ আর দুঃখ করে কি হবে ?” আৰুল একটু দম লইয়া কহিল,—আপনার খোকাবাবুর কথায় যতই অসন্তুষ্ট হন, কথাটা আমার বেশ মনে ধরেছে, কারণ খোকাবাবু হক কথাই বলেছেন। টাকার অভাবে বিয়ে করতে না পারায় যে, কতকগুলি ঘর নির্বংশ হ’য়ে গেছে, সেকথা অস্বীকার করুবার উপায়