পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯০

৪র্থ সংখ্যা ] , রুশ-ইতিহাস 8ማእ» পড়েছিল । তাই সেই লড়াইতে হেরে গিয়েই তা’র মানেমানে দেশ থেকে বিদায় হ’ল । झुर्रौद्ध चाहेछन् (Ivan III) भत्कानप्रिौ नष्ट्रन करत्न' গড়েছিলেন। এর পরে রাজা হয়েছিলেন চতুর্থ আইভানু ( Ivan Tw )। লোকে একে “ভয়ানক আইভান” বলত (Ivan the Terrible). Test stow foo-oofs: cणांक हिइब्रन उिनि । ययन नव निईबठा चञानबनटन তিনি করতেন যে, তা দেখে সাধারণ লোককে বজাহতের মতন দাড়িয়ে থাকৃতে হত। প্রজারা তাকে যমের মতন ভয় করত। তার দোর্দণ্ড প্রতাপে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। দুর্ধর্ষ খুনে রুশজাতটাকে কলের পুতুলের মতন তিনি চালাতেন । তার শাসন কারো অমান্ত করার ক্ষমতা ছিল না। মধ্য-রুশিয়ার প্রজাবিদ্রোহ এমন কঠোরভাবে তিনি দমন করেছিলেন—বিদ্রোহীদের উপর এমনই পৈশাচিক অত্যাচার করেছিলেন, যে, জনসাধারণ ভবিষ্যতে স্বশ্নেও তার বিপক্ষতাচরণ করার কথা আর ভাবত না। কিন্তু হাজার দোষ থাকলেও সে-সব ঢেকে গিয়েছিল তার অসাধারণ প্রতিভা এবং রাজ্য-শাসনাদি ক্ষমতায় । ১৫৪৭ খৃষ্টাব্দে তিনি সমগ্র রুশিয়ার “জার” এই উপাধি গ্রহণ করেছিলেন । কসাকেরা র্তার আমলেই প্রথমে নিয়মিতভাবে সরকারী চাকুরি করতে আরম্ভ করে। সীমান্ত-প্রদেশ রক্ষার জন্ত বছসংখ্যক কসাক সৈন্য তিনি রাখতেন এবং সেইসব কসাক্ সৈন্তের জোরেই সাইবিরিয়া দখল করতে সমর্থ হয়েছিলেন । ইংলণ্ডের সঙ্গে স্থায়ী বাণিজ্য-সম্বন্ধ স্থাপন করার তার আস্তরিক ইচ্ছা ছিল । ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে চতুর্থ আইভানের মৃত্যুর পরে—রাজ্যের শাসন-শৃঙ্খলা আবার নষ্ট হয়ে গেল। উচ্ছম্বল প্রজাপুঞ্জকে, বিদ্রোহী সৈনিকবৃন্দকে তার মতন দৃঢ়হন্তে সংযত করে’ রাখবার লোক আর তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মিলল না। তলোয়ারের শাসন ছাড়া রুশিয়ায় তখন আর অন্য কোনো শাসন চলত না। সবলহন্তে তরবারি ধরবার উপযুক্ত লোক না থাকাতে আবার তাতারী আমলের সেই বিপ্লব এসে রুশিয়াকে বিপৰ্য্যস্ত করতে লাগল। বিপদের উপর আবার নতুন এক বিপদ এসে চাপল। দেশের এই বিশৃঙ্খল অবস্থার স্বৰিখে co cotool (Poles ) esto, aco RR (Moscow ) দখল করে বসূল। বেশী দিন কিন্তু তা’র টিকে থাকৃতে পাৰ্বলে না। বছর চল্লিশের মধ্যেই ক্লশের একত্র হয়ে পোলদের তাড়িয়ে দিয়ে ১৬১৩ খ্ৰীষ্টাৰে নিজেদের ভিতর co-wfoot catatas (Michael Romanoff) of একজন লোককে সমগ্র রুশিয়ার জার'(czar) নির্বাচিত করলে। এই রোমানফ-বংশেরই শেষ সম্রাটু দ্বিতীয় নিকোলাস (Nicholas II) ১৯১৮ খৃষ্টাম্বের জুলাই মাসে । বলশেভিকদের হাতে সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। রোমানফ-বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন মহামুভব পিতর (Peter the Great) ১৬৮২ খৃষ্টাব্যে দশ-বছর বয়সে ইনি কশিয়ার রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন এবং মারা ধান ১৭২৫ খৃষ্টাব্দে। ছেলেবেলা থেকেই পিতত্ত্ব ছিলেন বিষম একগুঁয়ে । কোনো-একটা খেয়াল একবার ঘাড়ে চাপলে কিছুতেই নিরস্ত থাকুতে পারতেন না। তার ইচ্ছাশক্তিও ছিল অপ্রতিহত। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ দাড়ালে তাকে বধ পৰ্যন্ত করতে তিনি কুষ্ঠিত হতেন না। তার মতের রিরুদ্ধে একটি মাত্র কথা বলার জন্তে নিজের ছেলে আলেক্সিসের পর্য্যন্ত তিনি প্রাণদণ্ড করেছিলেন । একবার স্বাভীষ্টসাধনে কৃতসঙ্কল্প হ’লে তাকে রুখতে পারা রুশিয়ার কারো সাধ্যায়ত্ত ছিল না । ছলে-বলেকৌশলে যেমন করেই হোক স্বীয় উদ্দেশ্য সাধন করতে তিনি কখনও পশ্চাৎপদ হতেন না । পিতরের (Peter) নে-নিৰ্মাণ শিক্ষার বোৰু খুব বেশী ছিল । তার নিজের দেশে এসব বিদ্যা কেউ স্থানত না। বিদেশে গিয়ে তা শিখে আসার মতি-গতিও কারো ছিল না। লোকগুলো সব ছিল আলসে এবং কুসংস্কার-পরায়ণ। শিক্ষার কদরও তারা বুঝত না, তার চর্চাও রাখত না। किरू चाछ७ (Azov) बमब्र छूर्कौंप्नब्र कांइ cथएक मथन করতে গিয়ে পিতর নৌ-বিদ্যা এবং উন্নত প্রণালীর সামরিক বিদ্যা প্রভৃতি অন্তান্ত শিক্ষার প্রয়োজনীয়ত নিজমর্শ্বে উপলব্ধি করেছিলেন। ইউরোপের অষ্টান্ত সভ্যদেশগুলির আচার-ব্যবহার, শাসনপ্রণালী ইত্যাদি দেখে এসে রুশিয়ার আভ্যন্তরিক উন্নতিবিধানের ইচ্ছাও এই-সময়ে