পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ » র্তার খুব বলবতী হয়েছিল। তাই বিদেশে গিয়ে সমস্ত কাজ নিজে শেখা এবং অন্যান্য দেশের রীতিনীতি পৰ্য্যবেক্ষণ করার মতলবে পিতর ১৬৯৭ খৃষ্টাব্দে প্রথম इणUां८७ यtन .५ब५ cगषांटन " किडूनिन इब्रटवाल এক ছতোরের দোকানে শিক্ষানবিশি করেন। এখানে কাজ-কৰ্ম্ম বেশ ৰোগ্যতার সঙ্গে করতেন। শিক্ষানবিশদের মধ্যে সব বিষয়েই তিনিই নাকি প্রথম থাকতেন। সেখানকার শিক্ষা শেষ হ’লে বিষয়টা জারও ভালো করে” শেখবার উদ্দেশ্যে তিনি ইংল্যাণ্ডে উপস্থিত হন। এখানে জাহাজ তৈরি এবং অন্যান্ত সামরিক বিদ্যাগুলিতে ভালোভাবে অভ্যস্ত হওয়ার পর একবার ইউরোপের সবগুলো দেশ ঘুরে আসেন। সব দেশ ঘুরে দেখে তিনিই প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন যে, কেন রুশিয়া অধঃপতিত আর cरूनई दा हेफे८ब्रांट*द्ध अछांछ यांडिब्र भाउन क्रशखांडिब्र ক্রমিক উন্নতি হচ্ছে না। বোঝবা-মাত্রই রুশিয়ার উন্নতিবিধানের একটা প্রবল আকাঙ্ক্ষা তার প্রাণে জেগে উঠল। তখন তিনি রুশিয়াকে নতুন ছাচে ঢেলে, নতুন করে গড়ে’ ছনিয়ার অন্যান্য সভ্যজাতির সঙ্গে একাসনে বসাবার একটা দৃঢ় সঙ্কল্প নিয়ে দেশে ফিরে’ এলেন। এসময়ে রুশিয়ার আভ্যন্তরিক অবস্থা হঠাৎ উন্নতির পক্ষে তেমন প্রতিকূল ছিল বলে’ বোধ হয় না। দেশের চারিদিকেই অসভ্য বৰ্ব্বর জাতির বাস ছিল। ধনপ্রাণ নিয়ে নিরাপদে এদেশে আসা তখন একেবারেই অসম্ভব ছিল। চোরডাকাতের অত্যন্ত প্রাচুর্তাব হয়েছিল। তার ফলে বিদেশীর পক্ষে রুশিয়ায় ঢোকাও যেমন সহজ-সাধ্য ছিল ন—খাস রুশিয়ার অধিবাসীদের পক্ষেও তেমনই অন্য দেশে যাতায়াতও ছিল বিষম কষ্টসাধ্য। কাজেই নিজের দেশের বাহিরে কোথায় কি পরিবর্তন হচ্ছে না হচ্ছে তার একটা খোঁজখবরও তারা রাখতে সমর্থ হ’ত না এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ-কর্তব্যও তা থেকে নির্ধারণ করতে পাবৃত না। নিজেদের মামুলী চালেই তারা আগাগোড়া চলে যাচ্ছিল। তার পরে কুসংস্কার এবং কতকগুলি কদৰ্য্য রীতিনীতির এমন একটা শক্ত আবেষ্টন তারা তাদের চারিদিকে তৈরি করে নিয়েছিল, ষে, তা ভেদ করে” ভালো কোনো-কিছু তাদের কাছে পৌঁছত্বে পাৰ্বত না। প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড পৌঁছতে চেষ্টা করলেও সেটাকে তা’র সবলে দূরে সরিয়ে •দিত । তাই পিতরু যখন প্রথম এসে এই অচলায়তনের ঘর্ভেদ্য গড়ে আঘাত করলেন, দেশস্কন্ধ লোক তার উপর একেবারে ক্ষেপে’ উঠল। তার প্রাণনাশের বড়যন্ত্রও যথেষ্ট হতে লাগল। পিতর কিন্তু একটুকুও দমূলেন না। বাধা-বিঘ্ন দেখে পিছিয়ে যাওয়া, প্রাণের ভয়ে সঙ্কল্প ত্যাগ করে চুপচাপ, বসে থাকা ছিল চিরদিনই র্তার অভ্যাগবিরুদ্ধ। কিছু গ্রাহ না করে অদম্য উৎসাহে পূর্ণ উদ্যমে তিনি কাজে লেগে গেলেন। তার প্রথম কাজ হ’ল লোকদের দাড়ি কামাতে বাধ্য করা। এর আগে রুশিয়ায় কখখনো পুরুষের দাড়ি কামাতো না। আজীবন দাড়ি রাখত। দাড়ি রাখা ধর্শ্বের একটা অঙ্গ বলেও অনেকের বিশ্বাস ছিল। । শীতের ভয়ে ইউরোপের লোকের অম্নিই ত স্বানের কাজ বড় একটা করে না, মাসের মধ্যে এক আধ বার “»ts sto” (sponge bath) নিয়েই সারে, তার পরে আবার রুশিয়ার শীত ইউরোপের সবদেশের চেয়ে বেশী । শীতকালে শীতের দাপটে অনেকের নাক পৰ্য্যস্ত খসে’ পড়ে যায়। সেই হাড়ভাঙা নাক-খসে’-পড়া শীতে সে-দেশের লোক তখন মোটেই স্বান করত না । ফলে প্রত্যেকের গায়েই একটা বিষম বোটুকা গন্ধ পাওয়া যেত। রুশিয়ার মুজিক (monjik ) অর্থাৎ কৃষক-সম্প্রদায়ের প্রত্যেকেরই গায়ে-মাথায় উকুন থাকৃত—জামা কাপড়েও ছারপোকার অভাব ছিল না। দাড়ির মধ্যে আবার উকুন ছারপোকা দুইই থাকৃত ! দুৰ্গন্ধটাও বেশীর ভাগ বেরুত দাড়ি থেকেই। এসব কিন্তু বলছি চাষা-ভূষার কথা— ভদ্রলোকের দাড়িতে আরও অনেক বেশী জিনিষ থাকৃত। পিতরের একজন উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীর দাড়ির ভিতর থেকে নাকি একটা ডিমের খোসা, একখানা রুটির টুকরা আর-একটা ছোট টিকৃটিকি বেরিয়েছিল । এইসব দেখে’শুনেই সম্ভবত তিনি দাড়ির উপর ভয়ানক রেগে গিয়েছিলেন। তার ধারণাই হয়েছিল যে, দাড়ি অসভ্যতার একটা প্রধান লক্ষণ—মানুষের বস্তাবস্থার শেষ চিহ্ন। তাই অাগেই তিনি দাড়ির বংশ নিৰ্ব্বংশ করে রুশিয়াকে উন্নতির প্রথম ধাপে তুলে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন।