পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] রুশ ইতিহাস 8ፃ¢ नक्ष झ्नि कडकी भशश्छद निउरब्रव्र भउन । निबडाष्ट्र ইনি ছিলেন চতুর্থ জাইভানের Ivan IV) সমকক্ষ। अठिश्नि-भब्रांञ्चनंठांच्च श्रिणन कट्टेनब्र ब्रांस्रौ cभब्रिब्र উপরে। মেরির মতন ইনিও স্বামীহত্য-পাপে লিপ্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ক্যাথারিনের মৃত্যুর পর জার ( czar) হলেন তার ছেলে পল (Paul) ৷ ইনি ছিলেন একের নম্বর অপদার্থ, কিছু কাণ্ডাকাওজান ছিল না। নেপোলিয়ান বোনাপাই এর উপর স্বীয় প্রভাব খুবই বিস্তার করেছিলেন। ইনি নেপোলিয়ানের সঙ্গে মিলে’ ভারতবর্ষ এবং তুরস্ক দখল করে সমান ভাগ করে নেবেন বলে মতলব এটেছিলেন। কাজে কিছুই হয়নি। একেও গুপ্তঘাতকে হত্যা করেছিল। তার পর ১৮০১ খৃষ্টাব্যে রুশ-সিংহাসনে বসেছিলেন পলের ছেলে প্রথম আলেকৃজ্যাণ্ডার ( Alexander I )। প্রকৃতপক্ষে রুশিয়ায় ইনি নবযুগের প্রবর্তন করেছিলেন। প্রথমটায় ইনিও নেপোলিয়নের খুব ভক্ত ছিলেন এবং তার সঙ্গে এক-যোগে কাজ করতে ইচ্ছক ছিলেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পেরেছিলেন যে, দুইজন শক্তিশালী উচ্চাকাঙ্ক্ষী নরপতির পক্ষে গোট। ইউরোপটাও যথেষ্ট নয় এবং বরাবর নেপোলিয়নের আবছায়ায় থাকৃলে তার নিজের অভীষ্ট-সিদ্ধিরও কিছুমাত্র সম্ভাবনা নেই, তখন থেকেই তিনি পদে-পদে নেপোলিয়নের বিপক্ষতাচরণ করতে স্থক করেন। তারই অক্লাস্ত চেষ্টার ফলে নেপোলিয়নের মস্কে-অভিযান ব্যর্থ হ’য়ে গিয়েছিল এবং তিনিই রুশিয়ার বিখ্যাত রাজনৈতিক স্টাইনের (Stein) পরামর্শে মিত্ৰশক্তির সমস্ত সৈন্ত প্যারিসের নগরতোরণ পৰ্য্যস্ত নিয়ে এসেছিলেন । এতসব করা সত্ত্বেও কিন্তু নেপোলিয়নের উপর তার একটা আস্তরিক শ্রদ্ধা ছিল। তিনি নেপোলিয়নকে জগতের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাশালী ব্যক্তি বলে মনে করতেন, রাজ্যশাসন, যুদ্ধ-কৌশল, সৈন্তপরিচালনা প্রভৃতি বিষয়ে তার একমাত্র আদর্শ ছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপাই । তিনি রাজনৈতিক এবং পারিবারিক, চিঠি-পত্রগুলি পৰ্য্যন্ত লিখতেন নেপোলিয়নী ধাচে—লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন নেপোলিয়নী কায়দায়—এবং তার চালচলনও ছিল সমস্তইনেপোলিয়নের মতন । নেপোলিনের প্রভাব তার উপরে অনেকখানি কাজ করেছিল বলেই রাজত্বের প্রথম ভাগে আলেক্‌জ্যাওরি রাজ্য-মধ্যে শিক্ষা-বিস্তার, শাসন-সংস্কার ইত্যাদি दश् छनश्डिकङ्ग कारवींद्र अष्ट्रर्होन कोब्रझिरजन । किछु নেপোলিয়নের পতন হওয়ার পরে ফরাসী দেশে যখন আবার বুৰ্ব্বে" (Bourbons ) বংশের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হ’ল, শাসনের নামে ফ্রান্সে যখন আবার অবাধ অত্যাচার চলতে লাগল—ওয়াটালুর পরে ইউরোপের রাজনৈতিক আবহাওয়াও যখন একটু বদলে গেল তখন সঙ্গে-সঙ্গে তারও মত পরিবর্তন হ’ল । তিনি ভাবলেন প্রজার আবার স্বতন্ত্র স্বাধীনতার কি প্রয়োজন ? রাজার ইচ্ছাই হচ্ছে প্রজার আইন। রাজা যা আদেশ করবেন প্রজার মাথা নীচু করে তাই পালন করবে। রুশিয়ায় বরাবরই ত তাই চলে আসছে—এখনও তাই চলবে। এই ভাবটাই কিন্তু আলেকজ্যাণ্ডারের পক্ষে মস্ত ভূল হয়। এই ভাবে প্রণোদিত হ’য়ে তিনি যে-সব কাজ করেছিলেন তা’তে অসন্তোষের বীজ দেশময় ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রজাদের সত্যিই আর আগেকার মতন মাথা নীচু করে থাকার অবস্থা ছিল না । ইউরোপের অন্যান্ত সভ্যজাতির সংসর্গে ক্রমাগত আসার দরুন তাদেরও চোখ খুলে গিয়েছিল। স্বেচ্ছাচারী রাজতন্ত্র এবং প্রজাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দিকে নজর রেখে রাজ্যশাসন—এই দুই ব্যাপারের মধ্যে যে-ব্যবধানটুকু রয়েছে সেটা এইবার তারা স্পষ্ট দেখতে পাছেন। তাদের দেখা না দেখা কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ বড় একটা গ্রাহের আমলে আন্‌ছিলেন না। ঘোড়ার সহিস যেমন অনেক সময় আস্তাবলের মধ্যে ঘোড়ার উপস্থিতিটা আপনার আক্রর পথে কোনো বাধা না মনে করে’ যথেচ্ছ ব্যবহারে কিছু সঙ্কোচ করে না, এরা রুশ প্রজাদের সঙ্গেও ঠিক তেমূনি ব্যবহার করতে আরম্ভ করেছিলেন। এখন তারাও যে সবই বুঝতে পারে— তাদের ভিতরে ধীরে-ধীরে যে নতুন প্রাণের উন্মেষ হচ্ছে একথাটা তারা বুঝে’ও গ্রাহ্য করলেন না । বরং প্রজাদের শক্তিহীনতার স্ববিধে নিয়ে নিল্প জ কাপুরুষের মতন শাসনের নামে তাদের উপর অবিশ্রান্ত অত্যাচার করে