পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ጫö [ २8न छाश, २ग्न थ७ যাচ্ছিলেন। তারাও মনে-প্ৰাণে রুশ সাম্রাজ্যের উচ্ছেদ কামনা করছিল। রুশিয়ায় নিছিলিষ্ট প্রভৃতি বিপ্লব- . বাণীদের গুপ্ত সমিতিগুলি এই সময়েই প্রথম স্বষ্টি হতে আরম্ভ হয় এবং তার ফলে দুই তিনবার আলেকজাণ্ডারের জীবনও বিপন্ন হয়েছিল। আলেকজাণ্ডারের পরে উত্তরাধিকারীস্বত্রে রুশসিংহাসন লাভ করলেন প্রথম নিকোলাস (Nicholas I )। ইনি ছিলেন কাঠ-খোট্টা-ধরণের গভীর প্রকৃতির লোক—কোনো রকম ভাব-প্রবণতার ধার ধারতেন না। নিজে যা ভালো খুৰতেন, কারো মতামতের অপেক্ষ না রেখে আপন মনে তাই করতেন। লোকও ছিলেন বেশ একটু রাশভারীগোছের। শিক্ষা-বিস্তার, শাসন-সংস্কার প্রভৃতি কোনো কথা কেউ তার কাছে পাড়তে সাহস পেত না । মন্ত্রী oाद९ श्रछांछ ब्रांछ-कर्षकांद्रौब्रांe ७८क मजब्रभङन ङग्न করে চলত। শাসন-সংরক্ষণ প্রভৃতি ব্যাপারে প্রজাদের কোনো কথা তিনি মোটেই শুনতে ভালোবাসতেন না। ইউরোপের অন্যান্ত দেশেও এইসব বিষয়ে প্রজাদের ফেশপরম্বালালি করা শুনলে একেবারে হাড়ে চটে যেতেন। ইংলণ্ডের তৃতীয় জর্জের মতন প্রজাদের সম্বন্ধে fsfäe roto-If they pray for reforms, give them grape-shots-if gather for a franchise disperse them at the point of bayonet অর্থাৎ, এরা শাসন-সংস্কার চাইলে ছর গুলি চালিও, ভোট দেবার অধিকার লাভের ইচ্ছায় এটলী কবুলে সঙ্গীনের খোচায় ছত্রভঙ্গ করে দিও। তিনি তুর্কীদের কাছ থেকে ওয়ালাচিয়া, মল্ডাভিয়া এবং সার্বিয়ার স্বায়ত্ত শাসন আদায় করে দিয়েছিলেন। বর্তমান সন্ধিতে ওয়ালাচিয়া এবং মলডাভিয়া রোমানিয়া রাজ্যের অংশবিশেষে পরিণত হয়েছে। গ্রীসের স্বাধীনতা লাভের উপায়ও তিনিই করে দিয়েছিলেন। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তিনি তুর্কীদের এতই ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন যে, শেষে তার বাধ্য হয়ে ইংরেজএবং ফরাসীর কাছে সাহায্য ভিক্ষা করেছিল। ইংরেজ ফরাসীর সমবেত সাহায্য না পেলে সম্ভবতঃ ক্রিমিয়াতেই রুশিয়ার হাতে তুৰ্কীর দফা রক্ষা হয়ে যেত। প্রথম নিকোলাসের উত্তরাধিকারী হচ্ছেন they দ্বিতীয় আলেকুজ্যাণ্ডার (Alexander IT) । রুশিয়ার সমস্ত জারদের মধ্যে শুধু তিনিই কিছুদিনের জঙ্গে অস্থ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছিলেন। সিংহাসনে বসেই তিনি সৰ্ব্বপ্রথমে রুশিয়ার কৃষকদের স্বাধীনতা প্রত্যপণ করেছিলেন। . এর আগে কৃষকের বড়ই দুর্দশায় দিন কাটাতো । না খেয়ে মরলেও জমিদারের হুকুম ব্যতিরেকে বাড়ী ছেড়ে কোথাও গিয়ে 'স্বাধীনভাবে তাদের খেটে খাওয়ার উপায় ছিল না। জমির ক্ষুদ্রতম অংশও তার হস্তাত্তর করতে পাৰ্বত না। তার পরে, বছরে দুই মাস করে প্রত্যেক প্রজাকে জমিদারের খাসের জমি চাষ-আবাদ করে দিতে হ’ত । অত্যাচার-অবিচারও ঢের হ’ত এদের উপর । এসবের বিরুদ্ধে চাষার রাজশক্তির কাছেও আশ্রয় পেত না । ফলে তা’রা নিরক্স, নিরাশ্রয়, নিৰ্ব্বান্ধব হ’য়ে নিজের দেশে নিরস্তর নিপীড়িতই হচ্ছিল। তাদের দুর্দশাক্লিষ্ট মুখপানে চেয়ে সহানুভূতি করার কেউ ছিল না। রুশিয়ার দুই কোটি ত্রিশলক্ষ কৃষক উৎপীড়িত ক্রীতদাসের ঘৃণ্য জীবন যাপন কবৃছিল। যেদিন স্বাধীনতা ঘোষণা হ’ল চাষীদের ভিতরে সেদিন নবজীবনের সাড়া পড়ে গেল, সেদিন তারা দুহাত তুলে’ পরম আনন্দে সম্রাটের দীর্ঘজীবন কামনা করতে লাগল। গির্জায়-গির্জায় দলবেঁধে এসে তা’র রাত-দিন ভগবানের পায়ে নিজেদের কৃতজ্ঞতা জানাতে আরম্ভ করলে। দেশের এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত আনন্দের হিল্লোল বয়ে গেল। এর পরে আলেকৃজ্যাণ্ডার বিচার-বিভাগের সংস্কার সাধন করে চাষীদের আরও অনেকখানি স্থবিধে করে দিয়েছিলেন। তিনি বুলগেরিয়ার অধিবাসীদের অর্থ এবং সৈন্ত সাহায্য করে তুৰ্কীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার স্থযোগ দিয়েছিলেন। এরই আমলে রুশিয়া মধ্য-এশিয়ায় রাজ্য বিস্তার কবৃতে-কবৃতে ভারতবর্ষের পানেও লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। বৃটিশসিংহও তা’তে একটু ব্যাকুল হ’য়ে উঠেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় আলেকৃজ্যাণ্ডার ছিলেন খেয়ালী লোক । আগাগোড়া তিনি খেয়ালের উপর চলতেন। তিনি যখন দেখলেন যে দু’টো-একটা স্থবিধে-স্বাধীনতা দেওয়াতেও ' রুশিয়ার সর্বাঙ্গীণ উন্নতির কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে