পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"שדס কাছে বিশেষভাবে অপদস্থ হয়েছিল। সমস্ত দেখেশুনে । প্রজার ডুমা (Duma ) বা জাতীয় মহাসভাদ্বারা দেশ শাসনের প্রস্তাব করে” দ্বিতীয় নিকোলাসের কাছে এক • আবেদন-পত্র প্রেরণ করে। তার অল্প কয়েকদিন পরেই ১৯০৫ খৃষ্টকে শ্রমজীবীদের একটা বিদ্রোহ ঘটে। বিদ্রোহ দমন করা হয়েছিল বটে, কিন্তু কর্তৃপক্ষও বিলক্ষণ শিক্ষা পেয়েছিলেন। তাই প্রজাদের ঘাটিয়ে তাদেরও ঘরের টে কী কুমীর ক’রে তোলার ইচ্ছে আর আদেী ছিল্প না । এইসমস্ত বুঝে’-মুঝে’ই দ্বিতীয় নিকোলাস প্রজাদের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। ১৯৯৬ খৃষ্টাব্দে প্রথম ডুম বসে। তখন এবং তার পরেও বহুদিন ডুমার তেমন বিশেষ কোনো ক্ষমতা ছিল না। জারের মতামত নিয়েই সমস্ত কাজ হ’ত—ইচ্ছা হ’লে জার ডুমার কথা না শুনলেও পারতেন। মোটের উপর ওটা তখন ছিল একটা সাক্ষীগোপাল মাত্র । এই সময়ে অসাধারণ প্রতিভাশালী একজন নতুন লোক রুশিয়ার বিপ্লববাদীদের মধ্যে দেখা দিলেন । এর নাম fatwitt cofia (Nicholas Lenin) Toto নিছিলিষ্টদের থেকে এর কার্য্যপ্রণালী ছিল স্বতন্ত্ৰ। ' নিহিলিটরা বাছা-বাছ লোক নিয়ে দল বেঁধে উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীদের হত্যা করত, জারের প্রাণ বিনাশে সৰ্ব্বদা যত্নবান থাকৃত, কিন্তু এত সব বিপজ্জনক কাজ করেও তা’রা কিছুই নুফল পাচ্ছিল না। গভর্ণমেণ্টকে ভয় দেখিয়ে কাজ আদায় করবার চেষ্টা তাদের বরাবর ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল। লেনিন এদের ভুল ধরেছিলেন । তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন যে, ছ’দশ জন নিহিলিষ্টের ভয়ে রুশ গভর্ণমেণ্ট কখনো নিজের হাতের-পাচ ছেড়ে দিয়ে প্রজাদের সঙ্গে একটা রফা করতে আসবেন না, তবে যদি দেশস্কুদ্ধ লোককে ঐরকমের কঠোর কৰ্ম্মী নিহিলিষ্ট করে’ তোলা যায়, তা হ’লে হয়ত কোনো না কোনো দিন রুশিয়ায় গণতন্ত্র শাসনপ্রণালী প্রচলিত হ’লেও হ’তে পারে। কিন্তু সবাইকে নিহিলিষ্ট করে তুলতে হ’লে আগে জারের এবং তার শাসন-পদ্ধতির উপর লোককে বীতশ্রদ্ধ করে’ তোলা দরকার ভেবে লেলিন রাজদ্রোহমূলক পুস্তিকা ইত্যাদি ছাপিয়ে লোকের মধ্যে অজস্র বিলি করতে লাগলেন। প্রবাসী—মাঘ, లిలి) [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড এর ফলে শীঘ্রই পুলিশ তাকে গেরেপ্তার করে চার বছরের জন্ত সাইবিরিয়ায় নির্বাসিত করলে। জন কয়েক পদস্থ ব্যক্তির স্বপারিশে লেনিন প্রাণদণ্ডের হাত থেকে অব্যাহতি পেলেন । সাইৰিরিয়া থেকে লেনিন যখন ফিরে’ এলেন, তখন তার মনের মধ্যে রুশগভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার একটা আগুন ভীষণ ভাবে জলছিল। দেশে ফিরে এসে আর দুইজন বিপ্লববাদীকে সঙ্গে নিয়ে ইস্কা (Isora) নামে একখানা খবরের কাগজ বের করতে আরম্ভ করলেন। ইস্তু। কথার মানে হচ্ছে "আগুনের ফুলকি” । এতে যে-সব প্রবন্ধ ছাপা হ’ত সেগুলিও আগুনের ফুলকিরই মতন ছিল । গভর্ণমেণ্টের তরফ থেকে ইস্কুiবদ্ধ করে দেওয়ার খুব চেষ্টা চলতে লাগল। ছাপাখানা বাজেয়াপ্ত করা হ’ল—কল্পিত সম্পাদকের নামে গেরেপ্তারী পরোয়ানা বের করে তার খোজ হতে লাগল, জামিনের টাকাও সরকারে জন্ম করে’ নেওয়া হ’ল, কিন্তু তবুও ইন্থার অবাধ প্রচার গভর্ণমেণ্ট কিছুতেই বন্ধ করতে পারলেন না। দেশের লোকের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বেড়ে উঠতে লাগল। সম্রাট ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলেন—মন্ত্রীরাও পদে-পদে ভূল কবৃতে লাগল । সাইবিরিয়া থেকে ফিরে’ এসে লেনিন আর রুশিয়ায় থাকৃতেন না। স্বইজারল্যাণ্ডে স্থায়ী আডডা গেড়েছিলেন । সেখানে বসেই সমস্ত কাজের বন্দোবস্ত করতেন। ফরাসী বিপ্লবের মাঝামাঝি সময়ে ফরাসী দেশের যে-অবস্থা হয়েছিল রুশিয়াকেও তিনি প্রথমে সেই অবস্থায় এনে পরে একটা নতুন শাসনপ্রণালী খাড়া করবেন বলে’ মতলব করেছিলেন । কিন্তু সেরকমের একটা কাজ করতে যে-ধরণের প্রতিভার দরকার, লেনিনের বোধ হয় তা ছিল না। যা হোক বিগত মহাযুদ্ধ বাধবার কয়েক মাস আগেই লেনিন বুঝতে পেরেছিলেন যে রুশিয়ার সঙ্গে জার্শ্বানীর বিরোধ অনিবার্ষ্য। আর এটুকুও তিনি বুঝেছিলেন যে, সে-যুদ্ধে যদি রুশিয়া হেরে যায় তবে তিনি যে-রকমের বিপ্লবের আগুন দেশে জালতে যাচ্ছিলেন, সেটা অতি সহজেই স্বসম্পন্ন হবে । এইসমস্ত বুঝে’