পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولا سو8 ৰৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৪৩ খৃঃ অঃ বোম্বাইএ প্রথম কাপড়েরফল স্থাপিত হয়, অধুনা বাংলার ১২টি এবং বোম্বাই প্রদেশে ৮১টি কাপড়ের কল অাছে। বাংলার ১১টি কলের মধ্যে ১১টি অবাঙ্গালীর মুলধনে जयांetनौब्र ठय़ांवषांप्न नब्रिक्रांजिउ । पनिe *ाdठेब्र काबूवाब्र ७ कल७णि জৰাঙ্গালীর হাতে তথাপি বাঙ্গালী কৃষকেরাই পাটের চাষ করে। বোম্বাইএ ভুগা ও কাপড়ের কলে যথেষ্ট লাভ হওয়ার ইহার অংশের মূল্য ৰন্থ গুণে বৃদ্ধি হইয়াছে। অধুন স্বদেশী মিলের একশত টাকার একটি অংশের মূল্য ৫৪•• টাকা, সেন্টাল ইণ্ডিয়া মিলে একশত টাকার একটি অংশের মূল্য ৪-১•২, কোহিনুর মিল ৩৬৩-২, নাগপুর মিল ००se., छाॉछिछ भिण २७v•, कब्रिभङग्न मिण ०११०, त्रां८भनांदांन জtডত্যাগ মিল ২৬৫•, বাংলাদেশে ডানবার মিলের প্রতি অংশের মূল্য a২১, বেঙ্গল নাগপুর ৪২•। বোম্বাইএ অঙ্গস্ত কলেও যথেষ্ট লাভ জাছে। টাটা হাইড্রোইলেটিক একশত টাকার অংশের মূল্য ৮৪.. ইণ্ডিয়ান ব্লিচিং ১-•, বোম্বাই ডাইং ১৫৪°, ইণ্ডিয়ান লিমেন্ট ২৮২, কাটনী সিমেন্ট ১৯• । পাটের কলে যথেষ্ট লাভ হওয়ায় ইহারও অংশের মূল্য বৃদ্ধি হইয়াছে—গোঙ্গলপাড়া ও ফিনিসন কলের একশত টাকার একটি অংশের মুল্য ৯৩ টাকা, কামারহাট কলের একটি অংশের মূল্য ৬১৫ টাকা । গৌরীপুর ৬৫৪, নিউসেন্টাল ৬২•, কেলভিন ৮৯৫ টাকা । কলের অংশের এইরূপ মূল্য বৃদ্ধি দেখিয়া, ইহাই প্রতীয়মান হয় আমাদের শিল্পের উন্নতির জঙ্ক আমাদের সমবেত চেষ্টা, অভিজ্ঞতা ও একতার বক্ত অভাব, অর্থের তত অভাব নহে । স্বার্থপরতা, পরস্পরের এপ্তি অবিশ্বাস, পরবিদ্বেষ, আলস্ত-হিংসা, গৃহ-বিবাদ, ইত্যাদির জাতিশব ও সমবেত চেষ্টার স্বদেশহিতৈষণা ও স্বজাতি-প্রীতির অভাব আমাদের অধঃপতন, অকাল মৃত্যু ও দারিদ্র্যের প্রধান কারণ। অধুনা বাংলার শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতির সহিত বাঙ্গালীর কোন সংশ্ৰব নাই খলিলেও হয়। এখনকার বাংলার উন্নতি ও বাঙ্গালীর উন্নতি এক নয় । বাংলার প্রবৃদ্ধিতে বাঙ্গালীর শ্ৰীবৃদ্ধি হয় নাই। বাংলার ব্যবসার ও শিল্পদ্রব্যের এইরূপ দ্রুত উন্নতি হইতেছে, অথচ বাঙ্গালীর দুরবস্থার অন্ত নাই। ৪ কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে ১৭ লক্ষ লোক-শতকরা দুইজনেরও কম বিশুদ্ধ জল পান করিতে পায় । শতকরা ৯৮ জনের অধিক জল নামক একপ্রকার কর্দমাক্ত তরল পদার্থ পান করে। বাংলাদেশে বহু সহরের মধ্যে কেবলমাত্র ৩৬টিতে বিশুদ্ধ পানীর জলের বন্দোবস্ত আছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এই ৩৬টির অনেকগুলিতে জলাভাব হয়। গত ছয় বৎসরে জুটি সহরে জলের কল স্থাপিত হইয়াছে। এই হারে জলের কল স্থাপিত হইলে একশত বৎসরে বঙ্গদেশে সকল সহরে জলের কল স্থাপিত হইবে। পল্লীগ্রামের কথা স্বতন্ত্র । ছয় শত বৎসরের মধ্যে বাংলার পল্লীর জলকষ্টের প্রতিকার হইবে কি না, তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। গভমেন্টের টাকার অভাব । বাঙ্গালী অল্পচিস্তায় বিব্রত, ম্যালেরিয়ায় কঙ্কালসার , কাহার দ্বারা বাংলার জল-কষ্ট নিবারিত হইবে ? বিহার ও উত্তর ভারতের লোকেরা বলে, বাঙ্গালী তাঁহাদের দেশ লুটিয়া লইতেছে। বেহারীরা বেহার বেহারীরই জঙ্ক বলিয়া থাকেন। প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভারতের অস্তান্ত প্রদেশের এবং পৃথিবীর নানা দেশের লোক অবাধে ৰাঙ্গালার অর্থ শোষণ করিতেছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে নানা SDBB D BBBBD DG CBBB DD D S gDD SBBD DDBBDD জন্ত বলা চলে না, কিন্তু বাংলা বিশ্বের জগুবলিলেও অতুক্তি হয় না। बोक्रांजी ७शन cकदल ३शtब्रप्खञ्च अशैन नररु ॥ सह छांछि यांत्रांजौब्र উপর আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে। এতগুলি জাতির অধীনতা-পাশ ছিন্ন করা বাঙ্গালীর সাধ্য নহে । বাংলার বাহিরে বাঙ্গালী কলা ও পেঁপে গাছের মতন হইয়া আছে, সামান্ত ঝড়েই ধরাশারী কিন্তু মাড়োয়ারী, ভাটিয়া, গুজরাতী, হিন্দুস্থানী, উড়িয়া,কাবুলির বাংলায় বট ও আমগাছের মতন চারিদিকে মূল বিস্তার করিয়াছে। বড় বড় ঝড়েও তাঁহাদের একটা ডাল ভাঙ্গিতে পারিবে না। বোম্বাইএর ধনকুবেরদের নাম করিব না, কিন্তু বাংলার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে বাদ দিলে রামজশ আগরওয়াল, হরিরাম গোয়েঙ্ক, কেশোরাম পোদ্ধার, স্বহিরাম গোদার, খন স্তাম দাস বিল1, স্বরূপচান্দ হুকুমচান্দ, শিউ প্রসাদ ঝুনঝুনওয়াল, বিশ্বেশ্বর 體 হর গোবিন্দ, ওঙ্কার মল জেটিয়া প্রভূতির সমকক্ষ লোক বাংলায় | || বাংলার জমিদারের ম্যালেরিয়ার ভরে যে-স্থান ত্যাগ করিল্পী সহরবাসী হইয়াছেন, মাড়োয়ারী সেই স্থানেই দোকান খুলিয়া লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জন করিতেছে । বাংলার দীর্ঘ উপাধিধারী রাজা মহারাজাদের বার্ষিক যত টাকা অায়, এক-একটি পাটকল বা কোম্পানীর তাহার চেয়ে বহুগুণ আয় বেশী। হাওড়া মিল, এংলোইণ্ডির জুটমিল, রিল্যায়েন্স জুট মিলের প্রত্যেকের বাধিক আর ধরচা-বাদে ১৫ লক্ষ টাকা । বেঙ্গল নাগপুর রেল কোম্পানীর বাধিক আয় ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। অনেক কোম্পানী ও কলকারখানার বৎসরে ১৫ ২- লক্ষ টাকা আয় হয়। জামশেদপুরের টাটার লোহার ও ইস্পাতের কারখানার যত লোক প্রতিপালিত হয় ; বাংলার সমস্ত আইন-ব্যবসায়ীর দ্বারা তত লোক প্রতিপালন হয় না । ইহা বড়ই লজ্জা ও ক্ষোভের বিষয় যে, এখনও বাঙ্গালীর চৈতন্ত হয় নাই। বাংলায় যে আসিতেছে সেই বড় লোক হইতেছে, আর বাঙ্গালী তাঁহারই ঘরে চাকরির দরখাস্ত লইয়া উপস্থিত হইতেছে। বাঙ্গালী কেবল ইংরেজেরই চাকরি করে তাঁহা নয়, মাড়োয়ারী, ভাটিয়া, গুজরাতী, কচ্ছী, হিন্দুস্থানী, মারহাট, পাশা প্রভৃতি সকলেরই গদিতে বাঙ্গালী চাকরি করিতেছে। চাকরির সময় বাঙ্গালীর জাতি-বিচার নাই। বরোদার জনৈক মুসলমান ধনীর কলিকাতা সহরে গদি আছে। তাহার প্রতিবেশ কয়েকজন হিন্দু-মুসলমান এই গদি চালাইতেছেন। ইহারা কেহই মাতৃভাব ব্যতীত অন্তভাষা জানেন না। ম্যানেজার মাসে ৩•• টাকা বেতন পান । ইংলও, অষ্ট্রেলিয়া, মালয়, প্রণালী উপনিবেশ, জাপান, রেজুন প্রভৃতি স্থানের সহিত এই গজির কাজ আছে। বিদেশের সহিত কাজ চালাইতে হইলে ইংরেজী জানা আবগুক, এইজন্য ইহার একজন বাঙ্গালী টাইপিষ্ট রাখিয়াছেন : র্তাহার সাহায্যেই তাহারা বৈদেশিক কাজ চালাইতেছেন। অধিকাংশ মাড়োয়ারী বাঙ্গালীর সাহায্যে বিদেশের কাজ চালায় । বাঙ্গালী যদি অকুষ্ঠিতচিত্তে মরণ পণ করিয়া বাণিজ্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ না হয়, তবে কোনো কালে বাঙ্গালীর মঙ্গল হইবে না ।