পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নুতন “ভূত” ঐ বঙ্কিমচন্দ্র রায় মঙ্গলগ্রহ বুদ্ধিমান প্রাণী দ্বারা আধুষিত কি না, এই লইয়া আজকাল তর্ক-কোলাহলের স্বষ্টি হইয়াছে; বৈজ্ঞানিকদের এই কলহে সাধারণ লোকের হয়ত এইসব স্বধীদের মধ্যম নারায়ণ তৈল ব্যবহার করিবার ব্যবস্থা দিবেন। পৃথিবী হইতে স্বর্ঘ্যের দূরত্ব নয় কোটি আটাশ লক্ষ আশী হাজার মাইল, ইহা প্রথমে জ্যোতিষ-শাস্ত্রজ্ঞেরা গণনা করেন, কিন্তু আধুনিক গবেষণায় স্বর্ঘ্যের দূরত্ব নয় কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইল বলিয়া নির্ণীত হইয়াছে। আইন-ষ্টাইন স্বল্প গণনা দ্বারা নিউটন-উদ্ভাবিত মহাকর্ষণের নিয়মাবলীর মধ্যে সামান্ত ভুল দেখাইয়াছেন এবং এই বিষয় লইয়া বৈজ্ঞানিক জগতে ভয়ানক সাড়া পড়িয়া গিয়াছে। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক বন্ধুগণ অভিযোগ করেন, এই একলক্ষ কুড়ি হাজার মাইলের নৃানাধিক্যে আমাদের জ্ঞানের মাত্রা বিশেষ আর কি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইল এবং আইনষ্টাইনের এই চুল-চের হিসাবের কি এত সার্থকতা। আমাদের মুনি-ঋষিদের “পঞ্চভূত" এখন রাসায়নিক গবেষণায় বহু-সংখ্যক "ভূতে” পরিণত হইয়াছে। বিগত দুই শতাব্দীর মধ্যে "ভূতের" সংখ্যা বাড়িতে-বাড়িতে পাচ হইতে ছিয়াশীতে পরিণত হইয়াছে। সম্প্রতি এক নূতন "ভূত” ভূতযোনি পরিত্যাগ করিয়া শরীরী মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া রাসায়নিকের হস্তে ধরা দিয়াছেন। অবৈজ্ঞানিক বন্ধুগণ হয়ত আবার বলিবেন যে, ছিয়াশীর জায়গায় সাতাশী করিয়া কি লাভ হইল। বিজ্ঞানে সুন্ন গণনার ও আবিষ্কারের প্রয়োজনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদিগকে এক-কথায় বুঝানো কঠিন হইলেও, চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেই অবগত আছেন যে, এইসকল সূক্ষ্ম গণনা ও আবিষ্কার ফলিত জ্যোতিষ ও ফলিত রসায়নের মূলভিত্তি এবং ফলিত বিজ্ঞানের উপর আমাদের স্বর্থ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সভ্যতা নির্ভর করিতেছে। ইহা ব্যতীত পৰ্য্যবেক্ষণ ও আবিষ্কারের ফলে বিশ্বের বিচিত্র স্বাক্টর विउिब चश्ध इशेउ ब्रश्श-श्वनिक खेल्बाउि इदेश পড়িতেছে এবং সঙ্গে-সঙ্গে আমরা বিশ্বনাথের স্বষ্টিমহিমাকে আরও প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করিবার স্বযোগ প্রাপ্ত হইতেছি। সাধারণ বর্ণচ্ছত্র পর্যবেক্ষণ করিয়া কয়েকটি মূলপদার্থের অস্তিত্ব ধরা পড়িয়াছিল, সম্প্রতি X-ray spectra বা রন্টগেন রশ্মির সাহায্যে বর্ণচ্ছত্রের ফোটোগ্রাফ লইয়া একটি নূতন বিরল ধাতুর আবিষ্কার হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে X-ray বা রন্টগেন রশ্মি এবং ইহার জন্মদাতা ক্যাথোড রশ্মি-সম্বন্ধে কিছু বলা আবস্তক। কুকুৰ্ম্ম নলের মধ্যে বিদ্যুৎ চালনা করিলে ক্যাথোতরশ্মি উৎপন্ন হয়। ক্রুকৃষ্ণ-নলে কোনো জটিলতা নাই। একটা ফাপা কাচের নল—ভিতরটা প্রায় বায়ুশূন্য এবং উহার দুইদিকে কিঞ্চিৎ দূরে-দূরে দুইটি স্বচ বসানো; স্বচ-দুইটির ছিত্রমুখ থাকে বাহিরে, অপর প্রান্ত থাকে নলের ভিতর। সকল নলের চেহার এক-রকম থাকে না, বিভিন্ন-আকৃতির নল বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হইতে থাকে, কোনটি খুব লম্ব, কোনটি মোট, কোনটি বা খুব আঁকাবঁকা আকৃতির থাকে। স্বচ-দুটাও নানা-আকারের থাকে— সাধারণতঃ অ্যালুমিনিয়াম্ বা প্ল্যাটিনাম্ ধাতুর স্বচ ব্যবহার হয়। কখনও-কখনও স্থচের যে-প্রাস্তটা নলের মধ্যে থাকে, সেই প্রান্তে অ্যালুমিনিয়ামের একটি ছোট বাটি বসানো থাকে, কিন্তু মোটামুটি ব্যবস্থা সকল নলের প্রায় এক-প্রকার। নলের স্বচ দুটিকে তামার তার দ্বারা তড়িৎ-উৎপাদক যন্ত্রের দুই প্রান্তে সংযুক্ত করিয়া দিতে হয়। তাহাতেই নলের ভিতর বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়। যেস্বচটা তড়িৎ-উৎপাদক যন্ত্রের ধন-প্রান্তে সংযুক্ত করা যায়, উহাকে অ্যানোড (Anode) ধনস্থচ বা অক্সলোম মেরু (Positive Pole) বলা হয়, আর যে-স্বচটা উহার ঋণপ্রান্তে সংযুক্ত হয় তাহাকে বলা হয় ক্যাথোড (Cathode)