পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮟb• * * * বা ঋণস্থচ বা প্রতিলোম মেরু (Negative Pole) প্রবাহ জন্মে উভয় তড়িতেরই । ধনের প্রবাহ ঘটে অহলোম মেরু হইতে প্রতিলোম মেরুতে, আর ঋণের প্রবাহ ঘটে প্রতিলোম মেরু হইতে অক্সলোম মেরুতে । ধনেরই ইউক বা ঋণেরই হউক, প্রবাহ জন্মে যখন নলের ভিতরকার বায়ুর পরিমাণ খুব কমাইয়া ফেলা হয়। তখন মেরুদ্বয়ের মধ্যস্থলে—বিদ্যুৎ-প্রবাহ-পথে— একটা আলোক-রশ্মি দেখা যায়। বায়ুর পরিমাণ ক্রমে কমাইতে থাকিলে এই রশ্মিটি স্তম্ভাকার ধারণ করে এবং স্তরে-স্তরে বিভক্ত হইয়া পড়ে। তার পর দেখা যায় যে, আলোক-স্তম্ভটা ক্যাথোড স্থচ হইতে ক্ৰমে দূরে সরিয়া যাইতেছে, আর ক্যাথোডের সম্মুখে একটা অন্ধকারময় স্থান ক্রমেই বিস্তৃতি লাভ করিতেছে। বায়ুর পরিমাণ খুবই কমাইলে এই অন্ধকার অংশটা শেষে সন্মুখস্থ কাচের আবরণটিকে স্পর্শ করে। তখন কাচ-নলের ঐ অংশটা বেশ উজ্জল হইয়া উঠে । - অন্ধকার হইতে আলোকের উৎপত্তি—আশ্চর্য্যের ব্যাপার বটে। আমরা জানি, আলোক-রশ্মি-সম্পাতেই যাবতীয় পদার্থ আলোকিত হইয়া থাকে, কিন্তু কুক্‌স-নলের এই অন্ধকারময় প্রদেশে এমন কোনো রশ্মি রহিয়াছে যাহার প্রভাবে সম্মুখস্থ কাচের নলটা এইরূপ জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয় উঠে । কুকুস ইহার নাম দিলেন অন্ধকার-রশ্মি । অন্ধকার-রশ্মি-সম্পাতেই কাচের নলটা আলোকিত হয়। এই রশ্মিগুলি ক্যাথোড-স্থচের ঠিক সন্মুখ-স্থানেই উৎপন্ন হইয়া থাকে। এজন্ত ক্রুক্সের এই অন্ধকার-বুশ্বিগুলিকে গোল্ডক্টন, ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ক্যাথোড-রশ্মিনামে অভিহিত করেন এবং এখন ইহা এই নামে পরিচিত । গোন্ডষ্ট্রীন হিটফ, ক্রুক্স পের্যা, প্লকার, লেনাড প্রভৃতি পদার্থতত্ত্ববিদগণ পরীক্ষা দ্বারা ক্যাথোড-রশ্মির এই সকল বিশিষ্ট ধৰ্ম্ম দেখিতে পাইয়াছেন – ( ১ ) ইহার আলোক-রশ্মির ন্যায় সোজাপথে চলে । নলের অন্ধকারময় দেশে একখানা অ্যালুমিনিয়ামের চাকৃতি বা অন্ত কোনো ধাতুত্রব্য রাখিলে সন্মুখস্থ কাচের দেওয়ালে উহার একটি কালো ছায় পড়ে । ইহাতে বুঝা যায়, ক্যাথোড-রশ্মি সাধারণ আলোকের স্থায় সরল-পথে চলে এবং ধাতু-সমূহ এই রশ্মির পক্ষে অস্বচ্ছ। [ २8* छांग, २ग्न थ७ (২) নলের ভিতর একটি ছোট লাইন বসাইয়া উহার • উপর একখান ছোট গাড়ী রাখিয়া দিলে গাড়ীখানা রশ্মি পথে ছুটিয়া চলে—যেন রশ্মি-মুখে গুলি-বর্ষণ হইতেছে। ইহাতে বুঝা যায় রশ্মিগুলি পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করে । (৩) চুণ, হীরক, কৃত্রিম পদ্মরাগমণি প্রভৃতি কয়েকটি পদার্থ এই রশ্মিপথে থাকিলে ক্রুক্সনলের কাচের আবরণের মতন অথবা তদপেক্ষা অধিকতর জ্যোতিষ্মান ट्ध्र । (৪) কুক্‌স্নলের উজ্জল অংশটিকে বেশ উত্তপ্ত হইতেও দেখা যায়। রশ্মি-পথে ধাতু-স্ত্রব্য রাখিলে কখনোকখনো উহা গলিয়া যায়। ( e ) অনেক সময় অনেক দিন ব্যবহারের পর নলের गांशों काफ़ ब्रखैौन श्हेग्न झांग्र अर्षीं९ कTां८थांछ-ब्रक्रि রাসায়নিক পরিবর্তন সাধিত করে । (৬) বিদ্যুৎ-পরিমাপক যন্ত্রের ( Electroscope ) সাহায্যে দেখা যায় যে, ক্যাথোড-রশ্মি ঋণাত্মক তড়িৎপূর্ণ ও নলের অবশিষ্টাংশ ধনাত্মক তড়িৎযুক্ত । (৭) ক্রুকস নলের নিকট একখানা চুম্বক আনিলে নলের আলোকিত অংশটা একপাশে সরিয়া যাইতে দেখা যায়। ইহাতে বুঝা যায় যে, চুম্বকের প্রভাবে ক্যাথোডরশ্মি বাকিয়া ষায় । (৮) ক্যাথোড-রশ্মি ধাতুর পাতলা পাত ভেদ করিয়া যাতায়াত করিতে পারে, কিন্তু খুব পুরু পাত ভেদ করিয়া যাইতে পারে না। - এইসকল পরীক্ষণ হইতে কুক্‌স-প্রমুখ বৈজ্ঞানিক অহমান করিলেন যে, ক্যাথোড-রশ্মি একপ্রকার কণাপ্রবাহ মাত্র । কণিকাগুলিতে কঠিন, তরল, বা বায়ব কোনো পদার্থের লক্ষণ দেখা যায় নাই। কাজেই আবিষ্কর্তা উহাদিগকে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলিয়া প্রচার করিয়াছিলেন। আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণের অন্যতম নেতা সার উইলিয়মূলজ এই অদ্ভুত কণাগুলি হইয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলেন এবং ইহার ফলে জানা গিয়াছিল যে, তাহারা আকারে ও গুরুত্বে লঘুতম পরমাণু অপেক্ষাও সহস্ৰগুণ ক্ষুদ্র ও ঋণ-তড়িৎবিশিষ্ট । এই অতি ক্ষুদ্র তড়িৎ কণাগুলি