পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:് প্রবাসী—মাঘ, ১৩৪১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড পড়ে যাবে।”—সত্যই ত এখন হইতে উহাকে কিছুকিছু জানিতে দেওয়া উচিত। স্বত বড় হইতেছে এইসকল বাধা-বিশ্ন উহাকে ততই একটা সমস্তার মধ্যে ফেলিয়া দিতেছে। মহেশ্বরী তাছার মাথায় হাত বুলাইতেবুলাইতে কহিলেন, “তোমার বাড়ী এই গ্রামেই—উত্তর পাড়ায় । তোমার মা-বাপ মারা গেলে এখানে এসেছ, তুমি তখন খুব ছোট।” . - कानांझेलांल निकञ्चभ श्ब्रां छिखांना कब्रिज, “छेखब्र পাড়—সে আবার কোথায় ? কেন—তুমি আমার মা নও ?” কানাই দুই হাতে মহেশ্বরীর কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া ধরিল। মহেশ্বরী তাহার কপালে চুম্বন দিয়া কহিলেন, "মা বৈ কি ! তারা তোমায় ছেড়ে গেছেন—আমি যেতে পারিনি। আমি চিরদিনই তোমার মা থাকৃব।” বালক হাত আলগা করিয়া লইয়া ফোস করিয়া নিশ্বাস ছাড়িল, "উত্তর পাড়া কোথায় বড়-মা ? সেখানে আমার বাড়ী আছে ?” মহেশ্বরী ব্যথিতকণ্ঠে কহিলেন, “তোমাকে একদিন দেখিয়ে আম্ব। সেখানে এখন অন্ত লোকে বাস করে। -- f কে আমরা বাড়ী-ঘর করে দেবো।” ব।ণ হ১:ং উংসাহিত হইয়া কহিল, “তুমি সেবাড়ীতে থাকুবে ত ? সে বেশ হবে। বড়বাবু বোধ হয় যাবে না ?” স্বখেন্দুকে সে বড় বলিয়া ডাকিত। সে দেখিল স্বখেলুর সংস্রব ত্যাগ করিয়া এই মেহের নির্ঝরিণীকে লইয়া অদ্য স্থানে গেলে সে বড় স্বর্থের হয়। মহেশ্বরী কহিলেন, “আমি যতদিন আছি, কোথাও যেতে হবে না । এইখানেই থাকৃবে।” বালক আবার নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল । সে জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা! আমাকে পূজার ঘরে—ান্নাঘরে, যেতে দাও না কেন ?” মহেশ্বরী অতি কষ্টে অথচ স্পষ্টভাবেই উচ্চারিত করিলেন, “তুমি বাগদীর ছেলে—আমরা বামুন কিনা, তাই আমাদের বাধে।” বালক বিস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাগদী কি ?” भप्श्वद्रौ कश्रिजन, “चांभब्रl cषयन वैॉफूटश-cनप्नांब्र যেমন চাটুযো—ত্বত্যেরা যেমন ঘোষ—তেমনি বাগদী একটা জাত।” “তা'তে কি হয়েছে ? আমাকে রান্না-ঘরে যেতে দাও না কেন তাই বলে না ?” o "বললাম যে—আমাদের বাধে। তোমরা জল ছলে সে জল মারা যায়।” দশম বৎসরের বালক হইলেও কানাইলালের চক্ষে যেন সমস্তই অন্ধকার হইয়া আসিতে লাগিল। তাহাদের বাড়ীর কাছেই কাওরার বাস করিত। তাহারা যে অত্যন্ত হীন জাতি তাহা তাহাদের আচার-ব্যবহারে সে বেশ বুঝিতে পারিত। বিশেষত ইহার কেহই তাহাদের ঘরে উঠিতে দেন না, জল ছোয়া পড়িলে ফেলিয়া দেন, এসকলই সে দেখিত, জানিত। সে অত্যন্ত বিষন্ন ও নিরুৎসাহ হইয়া মানমুখে জিজ্ঞাসা করিল, “বাগদী কি কাওরার মতন ?” মহেশ্বরী তাহার হৃদয়ের তাপ বুঝিতে পারিলেন। বলিলেন, “কাওরার মতন হবে কেন ? তারা যে অত্যন্ত ছোট জা’ত ।” “তবে বাগদীর জল ছোও না কেন ?” “তা’র লেখাপড়া শেখে না—হীন হ’য়ে থাকে সেই জন্তে ।” মহেশ্বরী ক্ৰমে-ক্রমে বালককে সাত্বনা দিবার পথে চলিতে লাগিলেন । কানাই একটা পথ পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা লেখাপড়া শিখলে ছোও ?” “তা ছোয়া যায়।” সে উৎসাহিত হইয়া কহিল, “আমাকে ত লেখাপড়া শেখাচ্ছ ?” মহেশ্বরী হাসিয়া কহিলেন, “প্রথম ভাগ ছেড়ে দ্বিতীয় ভাগ পড়ছ, ওকে কি লেখাপড় বলে ? বেশী-বেশী বই পড়তে হবে। আমার কাছে বসে-বসে গল্প শুনবে— যে-সব শ্লোক বলৰ মুখস্থ করবে—মানে শিখবে—তবে না লেখাপড়া শেখ হবে ।” কানাইলাল ক্রমেই উৎসাহিত হইয়া উঠিতেছিল । সে