পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰ সংখn1 চন্দননগরের কখক, কবিওয়ালা ও যাত্রা ૯૦૧ অধিকারা, যুক্ত রমানাথ চট্টোপাধ্যায়, ভূতনাথ ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। yপ্রফুল্লচন্দ্র অধিকারী মহাশয়ও কথকত-ব্যবসায় আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে ইহলোক ত্যাগ করেন। vরঘুনাথ শিরোমণি মহাশয় গুণ্ডিয়৷ হইতে এখানে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন । কথকতা ও ৰাকরণাদি শাস্ত্রে বিশেষ পাণ্ডিত্য লাভ করিয়া প্রথম তিনি বরানগরে টোল স্থাপন করেন। তাহার কথকতায় মুগ্ধ হইয়া গোন্দলপাড়া-নিবাসী খ্যাতনামা স্বৰ্গীয় গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের মাতার আগ্রহে পরে এখানে বাস করেন । ঐঐ পরমহংসদেবের সহিত র্তাহার বিশেষ হৃদ্যতা ছিল । দক্ষিণেশ্বরে শ্ৰীশ্ৰী-কালী মাতার সম্মুখে একদিন পরমহংসদেব তাহার ভক্তিপূর্ণ স্তব-পাঠ-শ্রবণে বৰিজানশূন্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। শুনা যায়, তিনি বলিতেন এরূপ ভক্ত কথক আর নাই । vউদ্ধবচন্দ্র চূড়ামণি মহাশয়ের জন্মস্থান হুগলি জেলার বাগনান গ্রাম, কেহ-কেহ বলেন ধনিয়াখালি । যৌবনের প্রারম্ভেই তিনি হাটখোলার স্বৰ্গীয় কালিদাস ভট্টাচার্ধ্যের দ্বারা আনীত হন এবং তাহার শ্বশুর ভৈরবচন্দ্র বিদ্যালঙ্কার { লোকে বিদ্যাসাগর বলিত ) মহাশয়ের স্ববিখ্যাত টোলে অধ্যয়নদ্বারা শিক্ষালাভ করিয়া, পরে উক্ত রঘুনাথ শিরোমণি মহাশয়ের নিকটে বহু যত্বে কথকতা শিক্ষা করেন এবং গুরুগৃহে পরীক্ষায় পারদর্শিতার ফলস্বরূপ চূড়ামণি উপাধি-ভূষিত হন। পরে ৫৭ বৎসরের মধ্যে তাহার কথকতায় স্বযশ দেশব্যাপী হইয়াছিল। তিনিও পরে অনেককে শিক্ষা দিয়াছিলেন। ১৩২০ সালে তাহার মৃত্যু হয়। ধরণীধরকে ধরণী-কথক বলিয়াই লোকে জানিত । তিনিও একজন পণ্ডিত ও গুণী ব্যক্তি ছিলেন। ‘কবিতাসংগ্রহ’ গ্রন্থে উদ্ধব ঠাকুর ও অন্যান্ত প্রথিতনামা কথকদিগের সহিত র্তাহার নামও উল্লেখ পাওয়া যায়। ইহার বাট ছিল রাণাঘাট, কিন্তু অনেক সময়ে তিনি এখানে থাকিতেন । ঐযুক্ত রামনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ৮রঘুনাথ শিরোমণি মহাশয়ের পুত্র । বর্তমানে এখানকার মধ্যে তিনি কথকতায় সৰ্ব্বাপেক্ষা যোগ্য এবং একজন প্রতিভাশালী টপ্পা-গায়ক। স্বৰ্গীয় তমালচন্দ্র অধিকারী মহাশয়েরও কথকতায় খ্যাতি ছিল । কবিওয়ালা বহু পূৰ্ব্বকাল হইতে এখানে কবি ও কবির দল অনেক ছিল বলিয়া শুনা যায় এবং প্রমাণও পাওয়া যায়। এমন কি, শুনা যায় যে, কবির দল এদেশে যখন প্রথম স্বই হয়, তখনই এখানে কতিপয় বড় কবির উদ্ভব হইয়াছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে অর্থাৎ ১৭৬০ খ্ৰীঃ অশ্বের পূৰ্ব্বে দাড়া কবি নামে এক শ্রেণীর কবর কথা শুনা তৎপূৰ্ব্বে প্রকৃত কবির গানের উল্লেখ পাওয়া যায় না। এই সময়েই চন্দননগরে তৎকালের তিনজন প্রসিদ্ধ কৰি প্রাদ্ধভূত হন । ইহাদের নাম রাস্ক, নৃসিংহ ও নিত্যানন্দ দাস বৈরাগী । রাস্থ ও নৃসিংহ দুই সহোদর ছিলেন। তাহারা ১৭৩৪ ও ১৭৩৮ সালে গোন্দলপাড়ায় এক ভঞ্জকায়স্থবংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহাদের পিতা আনক্ষ্মীনাথ রায় ফরাসী সরকারের সামরিক বিভাগে একজন সামান্ত মুহুরীর কাজ করিতেন। তিনি সেখানে বেতন সামান্ত পাইলেও অন্তোপায়ে যথেষ্ট উপার্জন করিয়া দুর্গোৎসবাদি করিতেন। ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম স্থানীয় বিদ্যালয়ে এবং পরে মাতুলালয়ে থাকিয়া চুচুড়ায় মিশনারীদের বাংলা স্থলে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। বিদ্যাশিক্ষায় মনোযোগী না দেখিয়া এক বৎসর চুচুড়ায় থাকিবার পর মাতুল কর্তৃক তাহারা পুনরায় চন্দননগরে প্রেরিত হন । ইহার পর তাহাদের পিতৃবিয়োগের সহিত, অন্য বিশেষ অভিভাবক না থাকায় তাহারা উচ্ছম্বল ভাবাপন্ন হইয়া পড়েন। সেই সময়েই র্তাহারা হরুঠাকুরের গুরু দাড়াকবি’ দলের স্বষ্টিকর্তা স্বপ্রসিদ্ধ কবিওয়ালা রঘুনাথের কবির দলে যোগদান করেন। কিছুকাল শিক্ষালাভের পর তাহারা নিজেই একটি কবির দল করেন এবং শীঘ্রই প্রসিদ্ধি লাভ করেন। ১১৫৭ বঙ্গাব্দে তাহারা প্রথম কবির দল লইয়া কলিকাতায় কোনো ধনাঢ্যের ভবনে গাওনা করেন। দেওয়ান ইন্দ্র

  • ১৩১১ সালের ‘নৰ্যভারতে ব্লাহর জন্ম সাল ১৭৩e লেখা erłrs n