পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বঙ্কিম-বাবু, ভূদেব-বাবু, অক্ষয়-বাবু প্রভৃতি স্বধীবৃন্দ নিমন্ত্রত হইয়া ইহার অভিনয় দেখিতে আসিতেন এবং তাহারা যথেষ্ট প্রশংসা করিতেন। শুনা যায় গুলিখোরের দৃপ্ত দেখিয়া ভূদেব-বাবু নাকি বলিয়াছিলেন,—“This is the only scene in the drama.” + aféGSTso মধ্যে শ্ৰীযুক্ত অম্বিকাচরণ পাল ও শ্রীযুক্ত গোপালচন্দ্র সরকা মহাশয় এখনও জীবিত আছেন । পালিতদের যে বৈঠকখানায় আখড়া ছিল তাহার আর চিহ্নমাত্রও নাই । প্রণয় পরীক্ষা অভিনয়ের প্রায় দুই বৎসর পরে আরএকটি সথের দল "রামাভিষেক’ নাটক অভিনয় করেন । উহার অধ্যক্ষ ছিলেন ৬/প্রমথনাথ বন্ধ । ইং ১৮৭৩ সালের জুন বা জুলাই মাসে স্বৰ্গীয় প্রাণকৃষ্ণ বস্থ মহাশয়ের বাটীতে ইহার প্রথম অভিনয় হয় এবং মোট দুইবার মাত্র অভিনয় ইয়াছিল । স্ববিখ্যাত শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল বস্ন, vঅৰ্দ্ধেন্দু মুগুফি, vকিরণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও vনগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের কলিকাতা হইতে আসিয়া এই অভিনয়ে যোগদান করিতেন এবং নিয়মিতরূপে রিহার্শেল দিতে আসিতেন। অমৃত-বাবু বিদূষক এবং অৰ্দ্ধেন্দু বাবু দশরথের অংশ অভিনয় করিয়াছিলেন । ইহার পর ‘রত্নাবলী, ‘পুরুবিক্রম,’ ‘সধবার একাদশী, ‘হরিশ্চন্দ্র, 'লক্ষ্মণ-বর্জন, ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রভৃতি পর-পর অনেক নাটক ভিন্ন-ভিন্ন অবৈতনিক সম্প্রদায়-কত্ত্বক অভিনীত হইয়াছিল। উক্ত সকলগুলিই গত চল্লিশ হইতে পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে হইয়াছিল। এই সময়ের মধ্যেই গোন্দলপাড়ায় মানকুওনিবাসী yগোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অধ্যক্ষতায় সাবিত্রী-সত্যবান ও 'বাঙ্গালী সাহেব' অভিনীত হয়। প্রথম অভিনয় হয় vসত্যপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বাগানে। উই৷ তিন রাত্রি মাত্র অভিনয় হইয়াছিল। ‘রত্নাবলী’ অভিনয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন পালপাড়ার ৮ নিকুঞ্জলাল পাল , প্রথম অভিনয় হয় vবীরচাঁদ বড়াল মহাশয়ের বাটিতে । অভিনয় খুব স্বন্দর হইয়াছিল এবং দুই বৎসর চারিবার * मझ्काद्री थशक बैदूख बठिनाण न? भशनज़ब निकै ३श আমি শুনিয়াছি। লেখক চন্দননগরের কথক, কবিওয়ালা ও যাত্রা ©Ᏹ☾ মাত্র অভিনয় হইয়া উৎ উঠিয়া যায়। সধবার একাদশী’র অধ্যক্ষ ছিলেন পালপাড়ার y যোগেন্দ্রনাথ দে। ইহার পর কালীতলা নামক পল্লীতে আর-একটি সখের থিয়েটাবের দল হুইয়াছিল, তাহার কথা বিশেষ কিছু সংগ্ৰহ করিতে পারি নাই । কালীতলার অভিনয়ের পর, বিশ পচিশ বংসরের মধ্যে এখানে একে-একে বিস্তর অবৈতনিক্স থিয়েটারের হষ্টি ও লয় প্রাপ্ত হইয়াছে। উচ্চাদের মধ্যে "স্বহৃদসম্মিলনী’ ও ‘মনসিজ নাট্য-সমাজ অপরগুলির তুলনীয় অনেকেল মতে ভালো । স্বহৃদ-সম্মিলনীর সভ্যগণের দ্বারা অভিনয়ের প্রধান উদ্যোগী ছিলেন শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র রায় ও শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীশচন্দ্র বস্তু। পরে শ্ৰশ-বাব নিজে একটি সম্প্রদায় গঠিত করিয়া ইংরেজীতে বিলাতে ‘বুদ্ধ’ ও কলিকাতায় ‘নলদময়ন্তী” অভিনয় করিয়া যশোলাভ করিয়াছিলেন । তিনি এখানকার প্রথম ব্যারিষ্টার । সুহৃদ-সন্মিলনীর সভ্যগণ ২২ বৎসর পূৰ্ব্বে ‘প্রফুল্ল' অভিনয় করিয়াছিলেন । ‘মনসিজ নাট্য-সমাজ' শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ পালের উদ্যোগে ইং ১৯০১২ সালে স্থাপিত হইয়াছিল। 'আলিবাবা, 'বিসর্জন’, ‘নাট্যবিকার প্রভৃতি অভিনীত হইয়াছিল। গেইট ক্লাব নামে আর-একটি দল ছিল, উহা ও মন্দ নহে । এখনও এখানে সংখ্যায় অনেকগুলি সখের থিয়েটারের দল আছে, তন্মধ্যে বারাসতের “বান্ধব নাট্যসমাজ' একপ্রকার চলিতেছে । ১৩২৯ সাল হইতে ‘নারায়ণী থিয়েটার’ নামে স্ত্রীলোক লইয়া একটি পেশাদারী থিয়েটার বাধা ষ্ট্রেজে মধ্যে-মধ্যে অভিনয় করিতেছে । বাহিরের অন্যত্র হইতেও কোনো কোনো পেশাদারী দল আসিয়া এখানে অভিনয় করিয়া থাকেন। ইহার প্রতিষ্ঠাতার নাম শ্রীযুক্ত কৃত্তিবাস ঘোষ । এখানে প্রথম অভিনয় হয় ‘রাণাপ্রভাপ’ ও ‘রাজাবাহাদুর" । ইহাই এখানকার প্রথম পেশাদারী থিয়েটার । সখের যাত্রার দলের মধ্যে ‘চন্দননগর নাট্যসমাজ, ‘চন্দননগর সঙ্গীত-সমাজ, ‘বারাসত বান্ধব-নাট্যসমাজ, এবং লালবাগান ও গোম্বলপাড়ার দলই উল্লেখযোগ্য। এগুলির প্রতিষ্ঠার কাল ৩৫ বৎসরের মধ্যে । লাল