পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] তিন পরে টানা-হেঁচড়া করিয়া মেয়েটাকে যখন বাহির করিয়া আনিল, তখন সে তাহার একহাতে দে-আনিটি এবং অন্য হাতে আমটি তাহার বুকের কাছে দাতে দাত দিয়া কিট্‌মিটু করিয়া চাপিয়া ধরিয়া হাপাইভেছে— আমের অঁাটি ও খোসাটি মাত্র অবশিষ্ট আছে, এত লোকের চাপাচাপিতে চ্যাপটা হইয়া রসটুকু তাহার অঙ্গ বাহিয়া গড়াইয়া পড়িতেছে। রাস্তার জনতা হইতে কুড়ি-বাইশ বছরের একটি গৌরবর্ণ শীর্ণ মেয়ে ‘অতসী’ ‘অতসী’ বলিয়া পাগলিনীর মত ছুটিয়া বাহির হইয়া আসিল । মেয়েট এত দুৰ্ব্বল বে এইটুকু তাড়াতাড়ি ইঁাটিয়া আসিয়াই সে একেবারে ক্টাপাইয়া পড়িল । ছিন্ন একখানা মলিন বস্ত্রে গায়ের পাজরা গুল সে কোনরকমে ঢাকা দিয়াছে, চোখ দুষ্টট ডাগর, নাকট খাড়ার মুত উচু, গালদুইটা তেfবড়া, মুখে দু-একটা বসন্তের দাগ, সীথিতে সিদ্ধর । বিদ্রা ও রোগ যেন তার ঘেীবনের ভাণ্ডারে ডাকাতি পরিয়া তাহাকে পথে বসাইয়া দিয়াছে,-রৌদ্রদগ্ধ অৰ্দ্ধপঙ্ক ফুলের মত শুষ্ক বৃক্সের ডগায় ঝুলিয়া, সে যেন ধাই২iষ্ট করিতেছে, আর-একটা ঝড়ের ঝাপটা দিলেই টুপ, o

  • fরশ্ন। খসিয়া পড়িবে .

সভসী ভাঙ্গর মাকে দেখিয়া কাদিয়া উঠিল । মেয়েটির মুথের পানে তাকাইয়া অজিত লাকজনের চাপে পড়ে’, গিয়েছিল এথনি— --বললাম আমার সঙ্গে আয়, তা ন দুষ্ট, মেয়ে, ক্ৰন্দনরত। অতসীর পিঠের উপর মেয়েটি :মিয়া এক চড় বসাইয়া দিল । কিন্তু তাকার মুখ দখিয়া মনে হইল, চড় খাইয়া অতসী যত না আহত মেয়েটির রোগ-শীর্ণ দুৰ্ব্বল হাতটাতেই হার চয়ে লাগিল বেশী । মেয়েটি বলিল, কেমন ? বলিল, {*श्व!ई ঠল, খাবার-টাবার সব নিয়েছে কেড়ে ? বেশ করেছে ! আয় ! বলিয়া সে ভসীর একথান। হাত ধরিয়া টালিতে-টানিতে ফুটপাথ ইতে তাঙ্গকে পথের উপর নামাইয়া দিল । চলিয়। ইবার পূৰ্ব্বে মেয়েটি অজিতের মুখের পানে একবার fকাইল, কিন্তু সেই একটি সকরুণ চোখের চাঙ্গনির ধ্বংস-পথের যাত্রী এরা— Qo X মধ্য দিয়া মানুষ যে তার অন্তরের কৃতজ্ঞতা এমন স্বম্পষ্টভাবে জ্ঞাপন করিতে পারে, ইতিপূৰ্ব্বে অজিতের তাহা জানা ছিল না। অতসীর কাধের উপর একটি হাত রাখিয়া মেয়েটি অতি কষ্টে খোড়াইতে খোড়াইতে চলিয়া গেল । গাছের শাখায় কাকের কোলাহল অত্যন্ত প্রবল হুইয়া উঠিল । খাবার গন্ধ পাইয়া হ্যাংলা কুকুরগুলা তখন পার্কের আশে-পাশে এবং ‘ডাষ্ট-বিনের’ ধারে-ধারে জিভ বাহির করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল. বাসায় ফিরিবার জন্ত অজিত হাটিতে স্বরু করিয়াছে, এমন সময় ঠিক তার চোখের স্বমুখে একজন অন্ধের হাত হইতে তার খাবারের ঠোঙাটি একটা চিলে ছো মারিয়া লইয়া গেল । অন্ধ বোধ করি পাগল ছিল । যে-ছোড়াটা তাহার বা-হাতের লাঠি ধরিয়া তাঙ্গকে পথ দেখাইতেছিল, তাহাকে ঠেলিয়া ফেলিয়া দিয়া লাঠিটা তাহার স্বমুখের অন্ধকারে সে উচু করিয়া তুলিয়া ধরিল,—রাগে কি-বেন বলিতেও গেল, কিন্তু সেই প্রকাণ্ড চিলটার তীক্ষু নথের আঁচড়ে অন্ধ ভিক্ষুকের ডান-হাতট। তখন ক্ষত-বিক্ষত হইয়া গেছে—সহস৷ তাহারই যন্ত্রণ অশুভূত হইতেই তার দৃষ্টিহীন সেই সাদ চোখ দুটা দিয়া দর দরু করিয়া জল গড়াইয়া পড়িল, হাত-পা ছুড়িয়: রুদ্ধ-অভিমানে সে তার চুলগুলা হাত দিয়া টানিতে-টানিতে চীৎকার করিয়া উঠিল, দ্যাগ, ভাই, দাখ, মানকে-- উঃ ! বাবা রে— কি স্থ তার হাতের ক্ষতে সে খুন ঝরিতেছিল, আন্ধের চোখে ত। ধরা পড়িল না,—দেখিলে বোধ করি সে শিঙ্গরিয়া থামিয়া ধাইত . সোজা পথ ভুলিয়া বাকীপথে ধরিয়া ধরিয়া অজিত ধখন বাসায় ফিরিল, সন্ধ্য। তখন উত্তীর্ণ হইয়াছে । সেই প্রকাণ্ড পোড়োবাড়ীটার রেশনের একটা গ্যাশবাতি জলিতেছিল, তাহার তলায় শুঙ্গয়া একটা ষাড় ঘন-ঘন কfন নাড়িয়া জাবর কাটিতেছে, আর তাহার সেই বিরাটু বপুর আড়ালে বসিয়া আবার কেহ বা তাঙ্গার গায়ের উপরে আরামে ঠেস দিয়া কয়েকট। ছোকৃরা তাপ পিটাইয়া বোধ করি জয় ফটকেব পাশে করপো