পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] রাজপথ (tఫిలి বিরক্ত হুইয়া মাধবা ক্ষণকাল তারান্ধন্দরীর সহিত গল্প করিল, কিছুক্ষণ একটা পুস্তকের মধ্যে মনঃসংযোগ করিবার চেষ্টা করিল, অবশেষে কতকটা অসময়ে চরকা লইয়া স্ব বা কাটিতে বসিল । কিন্তু কিছু পরে সহসা যখন সে উপলব্ধি করিল ধে, চরকার স্থত অপেক্ষ চিন্তার স্বত্রই দীর্ঘতর এবং স্বল্প ভর হইয়। চ'লয়াছে তখন অগত্য। নিরুপান্থ ইষ্টয়া চত্বক ছাড়িয়া চিন্তাই অবলম্বন করিল। ষে-প্রশ্নের উত্তর যথাকালে স্বমিত্রাকে সে দিতে পারে নাই, এখন সেই প্রশ্ন নিজ হইতে তুলিয়া, নানাবিধ যুক্তিহেতু বিচার বিতর্কের দ্বার, সে তাহার উত্তর নির্ণয় করিতে বসিল । কিন্তু চিন্তার স্বত্র কোনো মীমাংসায় তাহাকে না লইয়া গিয়া যখন চতুৰ্দ্ধকে কেবল দুচ্ছেদ্য জাল বুনিতেই লাগিল তখন মাধবী সমস্ত বিচার-বিবেচনা সহসা পরিত্যাগ করিয়া মনে-মনে দৃঢ়ভাবে কাল্পনিক স্বমিত্রাকে লক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিল, “না, আমি বিমান-বাবুকে ভালোবামিনে,বিমান-বাবুকে ভালোবাসিনে, অামি দাদার কাছে যে-রকম প্রতিশ্রুতির দ্বারা আবদ্ধ তা’তে আমি বিমান-বাবুকে ভালোবাসতে পারিনে ? কিন্তু চোর বালিতে পড়িয়া লোকে যতই উঠিবার চেষ্টা করে, ততই যেমন নামিয়া যায়, তেমনি মাধবী যতই জোরের সহিত মনে-মনে বলিতে লাগিল—“আমি বিমানবাবুকে ভালোবাসিনে, সংশয় ততই যেন তাহার গলা চাপিয়া ধরিয়া বলিতে লাগিল—বোধ হয় বাসো ! নহিলে স্বমি বার সহিত কথোপকথনের সময়ে মধ্যে-মধ্যে তোমার বুকই বা কঁাপিয়াছিল কেন, আর মুখই ব! শুকাইথাছিল কেন ? মাধবী মনে-মনে উত্তর দিল, “সে কিছুই নয়, ক্ষণিক দুৰ্ব্বলতা। সে আমি কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু সন্ধ্যার কিছু-পূৰ্ব্ব বিমানবিহারী যখন তাহার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল তখন সে নিঃসংশয়ে বুঝিল যে, দুৰ্ব্বলতাই হউক অথবা অঙ্ক যাহা-কিছুই হউক, তাহা ক্ষণিক নহে, কারণ তখনও তাহ তাহার মনের মধ্যে সম্পূর্ণ বর্তমান রহিয়াছে ! * তারান্বন্দরী তখন জপে বসিয়াছিলেন, কাজেই বিমানबिझांब्रौञ्च निकü ७ोशं८कझे थांकि८ङ रुहेण । কম্বে ৫ট। সাধারণ কথাবাৰ্ত্তার পর বিমান বলিল, “আমি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি, মাধী।" অন্তনিকে চাহিয়া অবস্ময়ের সহিত মাধবী বলিল, *ই্য, সে-কথা শুনেছি।” “শুলেছ ? কার কাছে শুনলে ?” কাহার কাছে কেমন করিয়া শুনিয়াছে, মাধবী তাহা সংক্ষেপে জ্ঞাপন কৰিল । বিমান বলিল, “কাল চার্জ, নিয়ে এসে তোমার কাছে হাজির হবে,তোমাদের রাজপথের পথিকদের দলে আমাকে । ভৰ্ত্তি করে’ নিয়ে ।” বিস্মিত-নেহে বিমানবিহারীর দিকে চাহিয়া মাধবী বলিল, “কাল চার্জ দেবেন ? আজই দেবার কথা ছিল उ ?” - "তা ছিল ; কিন্তু কপালে আর একদিন ভোগ আছে, তাই স্বাঙ্গ কিছুতেই হয়ে উঠল না।” আর কোনো প্রশ্ন না করিয়া মাধবী চুপ করিয়া রহিল। ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া বিমানবিহারী বলিল, “রাজপথেপ্রবেশের জন্যে আরো ধদি কিছু করবার থাকে ত আমাকে বলে দাও, মাধবী !” সে-কথার কোনো উত্তর না দিয়া স্পদিত-বক্ষে মাধবী জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছ, চাকরী আপনি কেন ছাড়ছেন ?” এ-প্রশ্নের কি উত্তর দিবে, প্রথমে বিমানবিহারী তাহ ভাবিয়া পাইল না, তাহার পর মৃদ্ধ হাপিয়া বলিল, “তোমাদের রাজপথের নিষ্ঠ রাখবার জন্যে। রাজপথে চলতে হ’লে ত আর রাজার পথে চলা চলে না, তাই।” এ-উত্তরে সন্তুষ্ট ন হইয়া ব্যগ্রভাবে মাধবী বলিল, “কিন্তু রাজপথে চলবার ইচ্ছে আপনার কেন হ’ল, তাই জিজ্ঞাসা করছি।" শুনিয়া বিমানবিহারী মৃদু-মৃদ্ধ হাসিতে লাগিল ; বলিল, “তোমার প্রশ্নের রীতিমত উত্তর দেবার शॉन मद्भकाव्र श्छ ठ পরে দেবে, উপস্থিত একটা গল্প মনে পড়ছে তাই বলি শোনে। একদিন আকাশের চাদ জামাদের এই মাটির পৃথিবীকে জিজ্ঞাসা করেছিল, "আচ্ছ পৃথিবী, তোমার