পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૯૨૪ প্রবাসী—পৌষ, లిలి) [ २8न खाण,२घ्र थ७ বুকের উপর ও-রকম জ্যোংস্কা পড়েছে কেন ?" পৃথিবী মুখে কোনো উত্তর দিতে পারেনি, মনে-মনে বলেছিল; মন্দ কথা নয় । তার কৈফিয়ৎও আমাকে দিতে হবে!” বলিয়া বিমানবিহারী হাসিতে লাগিল । গল্প শুনিয়া মাধবীর কর্ণমূল লাল হইয়া উঠিল এবং বুকের স্পন্ন এত বাড়িয়া গেল যে, মনে হইল বিমানবিহারী হয়ত তাহার শব্দ শুনিতে পাইতেছে! ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া বিমানবিহারী ঈষৎ গাঢ়স্বরে বলিল, “রাজপথে চলবার ইচ্ছে কেন আমার হ’ল, আরো বেশী স্পষ্ট করে তার কৈফিয়ৎ দেবার কোনো দরকার আছে কি, মাধবী ?” কম্পিস্তকণ্ঠে মাধবী বলিল, “না।” যুদ্ধস্বরে বিমানবলিল, “আচ্ছ, তা হ'লে থাক।” তাহার পর কিছুক্ষণ নিঃশৰে কাটিল। ষে-কথা অভিব্যক্তির প্রবেশ-দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল, সহসা সংরুদ্ধ হইয়া তাহা উভয়ের চিত্তে আবৰ্ত্তিত হইতে লাগিল ; বাক্যের মধ্যে অনিৰ্ব্বচনীয়তা না হারাইয়া ভাবের বিচিত্র বর্ণে তাহা উভয়ের হৃদয়কে অম্বরঞ্জিত कत्रिद्रा छूजिन ! छल श्ध बांश अंबप्पखिब अधिकाब कविष्ड बिहिल, श्ञ्च श्डेब्र उाश्। अजैक्षित्र अश्कृडिएक স্পর্শ করিল। “মাধবী !” নিঃশব্দে মাধবী তাহার কুষ্ঠিত করুণ নেত্র বিমানবিহারীর প্রতি উত্তোলিত করিল। বিমানবিহারীর মুখে চাঞ্চল্যের কোনো লক্ষণ ছিল না, সে শাস্তম্বরে বলিল, “না পেয়ে-পেয়ে আমি অন্য একটা জিনিস একটু লাভ করেছি। কি জানো, মাধবী ?” মুম্বকণ্ঠে মাধবী বলিল, “না।” “স্পর্শ দিয়ে পাওয়াই যে একমাত্র পাওয়া নয়, সে-ই জ্ঞানের একটু জাভাস পেয়েছি। পৃথিবী আর চাদের উদাহরণটা নিয়েই দেখ। মহাশূন্তের এতটা ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও পৃথিবী জ্যোৎস্নার মধ্য দিয়ে টাঙ্গকে পাচ্ছে। ব্যৰধান সব-সময়ে বাধা নয়, আর অন্তরালও সব সময়ে অৰৱা নয়। গদ থেকে জ্যোংস্কার আলো পৃথিবীর বুকে এসে পড়ছে, এটা কি প্রমাণ নয় মাধবী, যে, চাদ পৃথিবীর ०थङि दिभूष मग्न ?” মাধবী কিছু বলিল না, শুধু নিমেষের জন্ত একবার বিমানবিহারীর প্রতি চাহিয়া দৃষ্টি নত করিল। নিঃশব-পদ-সঞ্চারে উপস্থিত হইয়া সন্ধ্যা তাহার ধূপ- “ ছায়ার ধূসর অঞ্চল মেলিয়া দাড়াইয়াছে। নীচে বিকল জলের কল হইতে টপ-টপ করিয়া ফোট-ফোট জল পড়িতেছে এবং বাহিরে পথে গাড়ী-ঘোড়া, লোক-জন চলাফেরার বদ্ধচাপা আওয়াজ শুনা যাইতেছে। কিছুক্ষণ স্তন্ধ হইয়া বসিয়া থাকিয়া বিমানবিহারী উঠিয়া দাড়াইল, তাহার পর ধীরে-ধীরে বলিল, “এখন চললাম মাধবী, কাল হয়ত একবার আসব।” o মাধবী উঠিয়া দাড়াইয়া মৃদু-কণ্ঠে বলিল, “আসবেন।” তাহার পর বিমানবিহারীর পিছনে-পিছনে দুই চারি পা গিয়া দ্বিধাজড়িত-স্বরে বলিল, “যদি কিছু মনে না করেন ত একটা কথা বলি।” “কি কথা, বলে ।” বিমানবিহারী ফিরিয়া দাড়াইয়া মাধবীর দিকে ঔৎসুক্য-ভরে চাহিল। একটু অপেক্ষা করিয়া নতনেত্রে মাধবী বলিল, “স্থমিত্র মনে করে, আপনি হয়ত তারই জন্যে চাকরি ছাড়চেন ।” এক-মুহূৰ্ত্ত চিন্তা করিয়া বিমান বলিল, “মনে করে না, ভয় করে । কিন্তু ধরে যদি মনেই করে, তা হ’লে কি বলতে চাও তুমি ?” একটু ইতস্ততঃ করিয়া কম্পিত-কণ্ঠে মাধবী বলিল, "তা হ’লে—ত হ'লে হয়ত এখন তার আপনাকে বিয়ে করতে আপত্তি নেই।” “সেই কথাটা তাকে স্পষ্ট করে জিজ্ঞাসা করতে তুমি কি আমাকে বলছ ?” “যদি বলেন, আমি তা’কে জিজ্ঞাসা করতে পারি।” ঈষং কঠিনস্বরে বিমান বলিল, “তোমার ইচ্ছা হয় জিজ্ঞাসা কোরো ; কিন্তু তোমার সহৃদয়তার জন্ত তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ দিচ্ছি! তুমি যে আমার জন্তে এতটা ভাবো তা জানতাম না ।” তাহার পর চলিয়া যাইতে-যাইতে ফিরিয়া দাড়াইয়া বলিল, “বৈজ্ঞানিকেরা কি বলে জানো, মাধবী ? তারা