পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ? বাক্যালঙ্কারে নয়, যদি মৃত্য-সত্যই তাদের সেবক হতে পারি, তাদের সাহায্য করতে পারি, তা হ’লে আমাদের সাহায্য নেওয়া সার্থক হবে এবং আমরা দেশের যথার্থ উন্নতি করতে সক্ষম হবে । এই উন্নতি পরস্পর-সাপেক্ষ । প্রথমে ধরুন শিক্ষার কথা। শিক্ষা-ভিন্ন মাহুষকে জাগানো যায় না, জ্ঞানলাভ হয় না, মাহুষ উপায় চিন্তা করতে পারে না, পরস্পরের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে, এটা বুঝতে পারে না। আবার শিক্ষা-ভিন্ন ধন হতে পারে না। শিক্ষা বলতে শুধু কেতাবী শিক্ষা, লিখতে পড়তে পারা নয় ; চাষ করা, নানারকম শিল্প কাজ, ব্যাঙ্ক, স্থাপন, ব্যবসা-চালানো, এসবও শিক্ষার অন্তভুক্ত । নানারকম শিক্ষা আছে। অন্য দিক দিয়ে দেখা যায়, যদি স্বাস্থ্য না থাকে, তা হ’লে শিক্ষা হয় না। আবার শিক্ষা না থাকৃলে স্বাস্থ্য রক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না । যেমন শিক্ষাভিন্ন ধন হয় না, তেমনি উন্ট দিকে বলা যেতে পারে, ধন না থাকুলে শিক্ষা কি করে’ হবে ? বই কিনতে হবে, বাড়ী তৈয়ারী করতে হবে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কিনতে হবে। তেমনি কৃষি-ভিন্ন ধন হ’তে পারে না, শিল্প-ভিন্ন ধন হ’তে পারে না, বাণিজ্য-ভিন্ন ধন হ’তে পারে না ইত্যাদি । সুতরাং কেবল লেখাপড়া শিখলেই উন্নতি হবে, কিম্বা কুস্তি করলেই উন্নতি হবে, মানস-অভিসার, &లిని কি কোনোপ্রকারে টাকা রোজগার করলেই উন্নতি হবে, এরূপ মনে করা ভুল ; সব-রকম চেষ্টাই করতে হবে। যার যেদিকে প্রবৃত্তি আছে, শক্তি আছে, তিনি সেদিকে কাজ করবেন, সেদিকে চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে কোনটা আগে কোনটা পরে বিচার করবার প্রয়োজন নাই । আমাদের প্রত্যেক মামুষের শরীর রক্ষা কর। চাই, স্নান করা, আহার করা, নিদ্র। যাওয়া, বিশ্রাম করা, পরিশ্রম দ্বারা ধন উপার্জন করা, জ্ঞানলাভ করা, পরমার্থ চিন্ত! করা, রোজ এসব করা চাই ; নতুব। আমরা উন্নত হ’তে ও থাকৃতে পারি না। কেহ একথা বলে না, ১০ বৎসর ক্রমাগত খাও, তার পর ১০ বৎসর যুমোও, তার পরে ১০ বৎসর লেখাপড়া করো, কি রোজগার করো। আমরা সব কাজ একসঙ্গে করছি। সেইরূপ কোনো জেলার কাজ করতে হ’লে বলা চলবে না, শুধু লেখাপড়। করব, কি চাষ করব, কিংবা শুধু কেরোসিন ঢেলে মশা মারলেই চলবে, তা নয়। চতুর্দিকে চক্ষু রেখে ব্যাপকভাবে উন্নতির সমস্তার সমাধান করতে হবে । কি করে’ কাজ করতে হবে, অবিনশ-বাবু সংক্ষেপে বলেছেন এবং নানা বিষয়ে যে-প্রবন্ধ পড়া হবে তাতে আপনারা অনেক নূতন কথা জানতে পারবেন। •

  • বীরভূম-সম্মিলনে স্ট্র রামানন্দ টােপাধ্যবেক্ত •. * श्वङ्मात्रं চৌধুরী কর্তৃক লিখিত বাংলা শর্টহাও নোট হইতে অনুলিখিত।

মানস-অভিসার ঐ সজনীকান্ত দাস আলসে আজি যে একেল কাটাই বেল, হৃদয় ছাপিয়া কত কি যে মনে আসে ; মিথ্যা স্বপন, মধুর ভুলের মেলা, আশার আলোকে চমকে চিত্তাকাশে । কল্পনা-জাল বুনি যে অস্তমনায়, চেয়ে-চেয়ে দুর সন্ধ্যাগগন পানে, নয়নে কত না মেঘের স্বপন ঘনায়, ভরি’ উঠে বুক কোন অজানার গানে। পার্থীরা আকাশে সারি বেঁধে যায় উড়ে, আঁধারে’-আলোতে ধীরে-ধীরে মিলে’ যায় ; কি যেন গোপন রাগিণী হৃদয় পুরে, ভাবনা কাহার অবশ চিত্ত ছায় । আলোর তুলিতে আলপনা অঁাকে কে সে, মেঘভরা ঐ নীল আকাশের দেশে, ' পাগল করিছে অস্ত তপন ওগো বিদায়-বেলার শেষ চুম্বন হানি।