পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 সে চিনিল বটে, কিন্তু মেয়েট চিনিতে পারিল কি না, কে জানে : অজিত , জিজ্ঞাসা করিল, তোরা এইখানে থাকিস নাকি ? হঁ্য, এই বস্তিতে। বলিয়া পশ্চাতে খোলার ও গোলপাতার ঘরগুলার দিকে সে একবার আঙল বাড়াইয়া দেখাইয়া দিল, তাহার পর, মাটির মালসাটা দুইহাত দিয়৷ চাপিয়া ধরিয়া বলিল, ও মিছেকথা বলছে বাবু, এই নর্দমা থেকে এই মালসার আধ মালসা ফেন ধরে নিয়ে গেছি। এষ্ট দেখ বাৰু, এই এতটুকুন—বলিয়। অতসী মালসাটার ভিতরে আঙল দিয়া কতটুকু ফেন সে ধরিয়াছিল, তাঙ্গই দেখাইয় দিল । অজিত জিজ্ঞাসা করিল, ফেন কি করেছিস্ ? —গেয়েছি বাবু, আমি অৰ্দ্ধেকটা, মা অৰ্দ্ধেকটা । দাও না বাবু ওকে বলে”—এটো ভাত-চারটি দিক এতে । আমার মা কাল থেকে কিছু খায়নি । —কেন, কাল যে সেই লুচি পেয়েছিলি ? —শু মা ! সে ত’ তিনটি ! আমি দুটি পেলাম, আর মা একটি থেলে । —তোর মা কোথা ? —৪ই যে ! বলিয়া বস্তির পাশে মে খালি জায়গাট পডিয়াছিল, মেয়েট সেইদিকে অঙ্গুলিনিৰ্দ্দেশ করিয়া দেপাষ্টয়া দিল । অজিত তাক ইয়া দেখিল, কিন্তু কয়েকটা ঘেটু গু বন-কচুর গাছ ছাড়া সেখান হইতে কিছুই তাহার নজরে পড়িল না । ঝি বলিয়া উঠিল, তুমি থাপ্ত না বাৰু, ওর সঙ্গে কি ইচ্ছে তোমার ?—দাড়াও, তাবাগীর বেঁটি কেমন করে’ না ন ড়ে তাই দেখাচ্ছি তামি । এই বলিয়। তাড়াতাড়ি একটা স্টাসার বাটি দিয়া উনানের-উপর-বসানো টিন হইতে খানিকট। ফুটন্ত গরম জল তুলিয়া লইয়া, স্থানালার পথে সেই মেয়েটার গায়ের দিকে ছুড়িয়া দিল । খানিকট গরম জল অতসীর গায়ে লাগিতেই, ও ম৷ গো ! বলিয়া যন্ত্রণায় সে একবার লাফাষ্টয়া উঠিল কিন্তু কাদিল না, পলাইয়াও গেল না, বরং সেইখানেই দাড়াইয়া দাড়াইয়া ঝিকে উদ্দেশ করিয়া বলিতে লাগিল, থোন], প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড নেংচী মাগী কোথাকার ; তুই কোনদিন দিস ? তোকে আমি বলছি ? তবে যে হাতটা আমার পুড়িয়ে দিলি ? অজিতের আর খাওয়া হইল না। তাড়াতাড়ি উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, আমার পাতের এই ভাতগুলো ওকে দিয়ে দাও ঝি । ত্যন্ত আগ্রহে অতসী তাহার হাতের মালসাটা দুই হাত দিয়া জানালার গায়ে চাপিয়া ধরিয়া চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল,—ওগো বাবু গো, তুমি নিজে দিয়ে যাও বাবু, ও দেবে না বাৰু, তোমার পায়ে পড়ি বাবু Q%ዥ– অজিত ফিরিধ। দাড়াইয়া মুঠ মুঠা করিয়া জানাল। গলাইয়া সমস্ত ভাত-তরকারী ভাঙ্গর পাত্রের উপর ঢালিয়। দিতে লাগিল, কিন্তু সমস্ত দিবে ন! ভাবিয়া মেয়েটা আপনমনেই রুদ্ধশ্বাসে বলিতে আরম্ভ করিল, হেঁ, হেঁ, আরও, আরও, আর-চারটি...এই তরকারীট, গুই মাছের ক্টাটাটা বাবু,—আমার মা, আমার মা আছে বাব, অমিরা জু জনা--- • • • পশ্চাৎ গুইতে ঝি বলিয। উঠিল, দেখে। বাবু, — লক্তফাত ছি টুকি য়ে ন ইদিকে এসে পড়ে, মানি ঞ্জাব-সাপ কিছু বাকি রাখবে না তাঠেলে – তাহার সেই সান্তনাসিক কণ্ঠস্বরে অজিত এবার আর চমকিয়া উঠিল না, – সেদিকে তখন তাহার ক্ৰক্ষেপ ছিল নী । বৈকালের আয়োজন সমস্তষ্ট প্রস্বত্র ছিল, – ছোক্রাদের মাত্র আপিস হইতে কিরিবার অপেক্ষ । সেদিন শনিবার ; কাজেই ফিরিয়া ও আসিল, কলে জল আসিবার ঠিক পরেই । সেদিম তাঙ্গর দিবানিদ্রাকে একটুখানি বিশ্রাম দিয়া ম্যানেজার-বাবু একবার বারান্দায় আসিয়া একবার ঘরে ঢুকিয়া সা গ্রহে তাঙ্গদের আগমন প্রতীক্ষ করিতেছিলেন । এদিকে দেখিতে-দেখিতে জল লইবার জন্য পঙ্গপালের মত পুরুষ-রমণীতে কল-তলাটা ছাইয়। গেল । স্নখনলালেরও জলের প্রয়োজন । সে তখন