পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«co 葛 জন্ত আন্তরিক হিতৈষণা-প্রণোদিত হইয়া কিছু করিয়াছেন, তাহাদের কেহু গত বৎসরের মধ্যে গতায়ু হুইয়া থাকিলে, তাহার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও তাহার পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ কংগ্রেস-সভাপতির অভিভাষণের একটি অংশ বরাবর হইয়া আসিতেছে। এবারেও গান্ধীমহাশয় এইরূপ কয়েকজন কৰ্ম্মীর নাম উল্লেখ করেন। ইহারা সকলেই জন্মতঃ বা বংশতঃ বা উভয়তঃ ভারতীয়। গাষ্ঠী-মহাশয় বোধ করি অন্ত জাতির কাহারও নাম উল্লেখ করিবেন না, কোনও বিশিষ্ট কারণে এইরূপ স্থির করিয়াছিলেন। নতুবা ভূতপূৰ্ব্ব ভারতসচিব মিঃ মণ্টেগুর নাম করা চলিত। কারণ, তিনি যে ভারতশাসন-সংস্কার আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তনের মূলভূত, তাহা আমাদের মনঃপূত না হইলেও, তাহা তাহার সম্পূর্ণ মনঃপুত বলিয়া মনে করিবার কোন কারণ নাই ; বরং ইহাই সত্য কথা বলিয়া মনে হয়, যে, তাহা রক্ষণশীল ও ভারতীয় আকাঙ্ক্ষাবিরোধী সরকারী ও বেসরকারী ইংরেজদের সহিত রফার ফল। আমাদের ধারণা, মণ্টেগু সাহেব নিজ জ্ঞান-বুদ্ধিঅনুসারে ভারতের হিতই করিতে চাহিয়াছিলেন, এবং ভারতের অমুকুল নিজের কোন-কোন বক্তৃতা ও কাজের জন্ত ব্রিটিশ জাতির অপ্রিয় হইয়াছিলেন। পরলোকগত ভূপেন্দ্রনাথ বন্ধ মহাশয়ের নাম উল্লেখ করা অবস্ত ঠিকই হইয়াছে। কিন্তু তিনি ভারতশাসন-সংস্কার-বিষয়ে মন্টেগু সাহেবের সহকৰ্ম্ম ছিলেন, এবং তাহারই মত "শয়তানী গবর্ণমেণ্টের" চাকরীও করিয়াছিলেন। স্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ও "শয়তানী গবৰ্ণমেন্টের কৰ্ম্মচারী ছিলেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অসহযোগের প্রবল বিরোধিতা কথায় ও কাজে খুব করিয়াছিলেন। অতএব, আধুনিক কংগ্রেসের কার্য্য-প্রণালীর সহিত মতভেদ থাকা সত্ত্বেও এই দু’জন কৃতী ও বিখ্যাত ভারতীয়ের নাম যখন করা হইয়াছে, এবং ঠিকই করা হইয়াছে, তখন মন্টেগু সাহেবের নাম না-করার কারণ মতভেদ নহে, জাতিভেদ, অগত্যা पिहे निकारख्हे ७णनौउ झ्रेप्ड श्छ। उँशब्र नाम बान না দিলে আমাদের বিবেচনায় ভাল হইত। কারণ बि¢ãप्नब्र गश्डि ब्राइँीइ cषांत्र विऋिद्र ना कब्रिब्रा ভারতের স্বরাজলাভ মহাত্মা গান্ধীর ওঁ কংগ্রেসের প্ৰবাণী—মাঘ, ১৩৩১ [ २8° खान, २घ्र थ७ • লক্ষ্য মন্টেও সাহেৰের লক্ষ্যও এই প্রকারের ছিল। “আমরা নিজে যাহা করিতে পারি বা করিয়াছি, তাহাই আমাদের বিবেচনার বিষয়, অন্ত জাতীয় কাহারও চেষ্টা আমাদের অনুকুল হইলেও তাহা আমরা গণনার মধ্যে আনিব না,”—সম্ভবতঃ মহাত্মা গান্ধী এইরূপ কোন নীতির অমুসরণ করিয়া থাকিবেন। এই অল্পমান ঠিক কি না বলিতে পারি না। কিন্তু যদি ঠিক হয়, তাহা হইলে ভারতীয় সেইসব লোকদেরও নাম করা উচিত নহে, র্যাহার কথায় ও কাজে দেখাইয়া গিয়াছেন, যে, তাহারা বিদেশীদের সাহায্য লওয়া আবশ্বক ও বাঞ্ছনীয় মনে করেন ও তাহ লইয়াছেন ; এবং মিসেস বেসান্টের মত বিদেশ-জাত মহিলার সাহায্যও তাহা হইলে লওয়া উচিত নহে। অবশ্য, ইহা ঠিক বটে, যে, মিসেস বেসান্ট ভারতবর্ষকে তাহার প্রধান কাৰ্য্যক্ষেত্র করিয়াছেন, এবং অনেক বিষয়ে তিনি ভারতীয়দের সহিত একমত। কিন্তু কোন-কোন গুরুতর বিষয়ে তিনি ইংরেজ আমূলাতন্ত্রের সহিত একমত। আমাদের মতে দেশী বিদেশী যিনি যতটুকু ভারতসেবা করেন, তাহা সেবা বলিয়া মানা ও গ্রহণ করা আমাদের কর্তব্য,—যদিও পরমুখাপেক্ষী হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। এই বিষয়টি সামান্য মনে হইতে পারে ; কিন্তু যাহারা রাষ্ট্রনেতা, তাহাদের ছোট-বড় সব কাজেরই মূলীভূত নীতির আলোচনা অনাবশ্যক নহে । কোন-কোন বিষয়ে সংকীর্ণতা বা তথাকথিত সংকীর্ণতা অপরিহার্ষ্য এবং আবখ্যক হইতে পারে;—যেমন বিদেশী কাপড় ব্যবহার না করিবার প্রতিজ্ঞায় লক্ষিত হয়। কিন্তু হিতৈৰী বিদেশী মানুষকেও হৃদয় হইতে দুরে রাখা অনাবশুক সংকীর্ণতা মনে করি। বিদেশী যীশুখ্ৰীষ্ট এবং বিদেশী টলষ্টয়কে মহাত্মাজী হৃদয়ে স্থান দিয়াছেন। অবগু, ইহা আমাদের বলা অভিপ্রেত নহে, যে, মণ্টেগু খ্ৰীষ্ট বা টলষ্টয়ের সমান-পদবীর বা সমান ভক্তিভাজন লোক ছিলেন , আমরা কেবল দেশবিদেশীরই বিচার করিতেছি ।