পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&6.8 অসহযোগ আন্দোলনের অনেক আগে হইতে প্রায় ত্রিশ বৎসর স্বদেশজাত স্থতায় স্বদেশে প্রস্তুত কাপাস বস্ত্র ব্যবহার করিতেছি ; পশমী কাপড়ও দেশী ব্যবহার করিবার চেষ্টা করিয়াছি । কিন্তু যে-যে কারণে অন্য বর্জনগুলি গান্ধী-মহাশয় স্থগিত করিয়াছেন, বিদেশী কাপড়ের ক্ষেত্রে সেক্ট কারণগুলি বহু-পরিমাণে বিদ্যমান, আছে ; দেশের অধিকাংশ লোক, এমনকি কংগ্রেসেরও অধিকাংশ লোক কেবল মাত্র খন্ধর ব্যবহার করেন না। তথাপি গান্ধী-মহাশয় আশাশীলতার সহিত বিদেশী বস্ত্র বর্জন কংগ্রেসের কাজের মধ্যে রাখিয়াছেন । খন্দরের বিস্তৃত ব্যবহার আমরাও চাই। কিন্তু বর্জনের উপর জোর না দিয়া, উৎপাদনের উপর জোর দিতে হইবে। বাংলা দেশে তাহ করা হয় নাই। আমরা গত মাসের “প্রবাসী’তে দেখাইয়াছি, যে, টিলক স্ববাজ্য ফও হইতে বাংলা দেশে ১৯২৩ সালের শেষ পৰ্য্যন্ত কংগ্রেস একটি পয়সাও খরচ করেন নাই। বাংলা দেশে খন্ধর উৎপাদন ও বিক্রয়ের চেষ্টা প্রধানত: কংগ্রেসের বাহির হইতেই इहेबांदङ् । খন্দর উৎপাদন ও গ্রামসমূহের পুনরুজ্জীবন খন্দর-উৎপাদন সম্পর্কে গান্ধী-মহাশয়ের একটি মত আমরা ভ্রান্ত বলিয়া মনে করি । তিনি বলেন, “Organisation of Kiddar is thus infinitely better than co-operative societies or any other form of village organisation.” “wo botton & প্রচলনের স্বশৃঙ্খল ব্যবস্থা করা সমবায় সমিতি-স্থাপন বা গ্রামতিসাধনের অন্যবিধ কোন স্বশৃঙ্খল ব্যবস্থা অপেক্ষা অসংখ্যগুণে শ্রেষ্ঠ।” কেবল খন্দর উৎপাদন করিলে ও চালইলে গ্রামসকলে ম্যালেরিয়া-আদির বিনাশ, স্বাস্থ্যরক্ষা ও বৃদ্ধি, রোগের চিকিৎসা ; শিশু, যুবা ও প্রৌঢ়দিগের জ্ঞানলাভের বন্দোবস্ত, যেখানে যত গৃহশিল্প প্রচলিত ছিল বা আছে বা হইতে পারে, তাহার ব্যবস্থা, জলসেচনের ব্যবস্থা, উন্নত-প্ৰণালীর চাষের ব্যবস্থ, কৃষকদিগকে অঞ্চণী করিবার এবং প্রয়োজন-মত আল্পস্থদে তাছাদের কর্জ পাই প্রবাসী —মাঘ, లిలి) 曝 [ २8न छां★, २घ्र थ७ বীর, ব্যবস্থা ইত্যাদি সাক্ষাৎভাবে হইবে না। স্বতরাং কেবলমাত্র খদ্ধর উৎপাদন ও প্রচলন কেমন করিয়া এইসমুদয় চেষ্টা অপেক্ষ অসংখ্য গুণে শ্রেষ্ঠ হইল, তাহা আমরা বুঝিতে অসমর্থ। গান্ধী-মতাবলম্বীরা অবশু বলিতে পারেন, যে, খন্দর চালাক্টলেই গ্রাম্য লোকদের আয় বাড়িবে ও দারিদ্র্য কমিবে এবং তাহার পর তাহার অন্য সব-রকম কাজ করিতে পারিবে । কিন্তু ইহা কি বহু গ্রামের অভিজ্ঞতা হইতে দেখা যাইতেছে না, যে, যাহারা সচ্ছল অবস্থার লোক, এমনকি সমৃদ্ধিশালী, তাহারাও উপযুক্ত অনুপ্রাণনা, জ্ঞান, পরামর্শ, উপদেশ, পরিচালনা, সমবেত 'চেষ্টা, ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার অভাবে গ্রামের হিতসাধন করিতে পারিতেছে না ? গ্রামসমূহকে আবার স্বখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জ্ঞানলাভের স্ববিধায় আনন্দে মানুষের বাসের যোগ্য করিবার জন্য কত বিচিত্র চেষ্টার যে প্রয়োজন, দুঃখের বিষয় মহাত্মা গান্ধী সে-বিষয়ে বিশেষ চিন্তা না করিয়া ও তাহা উপলব্ধি না করিয়া, খন্দরের প্রতি টান থাকায়, কেবল তাহারই গুণ-কীৰ্ত্তন করিয়াছেন । তিনি চরখা ও খন্দরকে আমাদের জাতীয় সমুদয় ব্যাধির অমোঘ ঔষধ মনে করিতে পারেন। কিন্তু বস্তুতঃ উহ তাহা নহে। যখন বিলাতী বা অন্ত বিদেশী স্থতা ও কাপড় আমাদের দেশে আসে নাই, যখন কেবল চরখায়কাটা স্থত হইতে হাতের তাতে ভারতবর্ষে বোন কাপড়ই দেশের লোকে ব্যবহার করিত, তখনও আমাদের দেশ, আমাদের গ্রামসমূহ, স্বৰ্গ ছিল না। তখন কোন-কোন বিষয়ে গ্রামসকল এখনকার চেয়ে অবশ্যই ভাল ছিল, কিন্তু অভাব এবং দোষও অনেক ছিল। চরখা ও হাতের র্তীতের একাধিপত্য-সত্বেও সেইসব অভাব ও দোষ ছিল। খন্দর-সম্বন্ধে স্থপৃঙ্খল ব্যবস্থা করিবার চেষ্টার গুণ বর্ণন করিয়া মহাত্মাজি বলিয়াছেন – "Khaddar not only saves the peasant's money, but, it enables us workers to render social service of a first class order. It brings us into direct touch with the villagers. It enablest us to give them real political education and teach them to become self-sustained and self-reliant”---