পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ধ্বংস-পথের যাত্রী এরা— QQ তাহার নিজ-হাতের-তৈরী টিনের বালতিটি হাতে লইয়া জনতার একপাশ্বে অপেক্ষা করিতেছিল। পায়ের তলার জুতা যাহারা তৈরী করে, তাহার চেয়ে ছোটজাত আর মাই, কাজেই ব্রাহ্মণের জাতি-ধৰ্ম্ম রক্ষার পক্ষে সে-ই বোধ করি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক । ম্যানেজার-বাবুর আক্রোশ তাই তাঁহারই উপর একটুখানি বেশী। অবঙ্গ বিনা-পয়সায র্তাহার মত ব্ৰাহ্মণের পায়ে, বৎসরে অন্ততঃ একজোড়া করিয়া পাচসিকার চটিজভা ধে সে প্রাণাস্তে ও দিতে চায় না, – এ-কথাটা অবশ্য আপনাদের শুনাইয়া দেওয়া ভাল হইল না,—তবে ইহাও যে ইম্পিরিয়ালহোষ্টেলের ম্যানেজার-বাবুর জাত ক্রোধের একটা অঙ্গীভূত কারণ, তাহা ও সত্য । শত্রুর বিরুদ্ধে কুকুরকে যেমন করিয়া হাততালি দিয়৷ লেলাইয়া দেওয়া হয়, সৰ্ব্বপ্রথমে আমাদের প্রোফেসারকে তিনি ঠিক তেমনিভাবেই ক্ষেপাইয়া দিলেন । পঞ্চাননকুস্তিগীরের উপরেই যজ্ঞের দক্ষিণার ভার, সে ও বারকতক গা মুড়িয়া, কোচ-কাছ বেশ করিয়া সামলাইয়া লইয়া প্রোফেসারের পশ্চাতে গিয়া দাডাইল। রমেশ-দাদাটিও কম নন । একট। বড় ধটি হাতে লইয়া ঠিক সেই সময়েই র্তাহার চলের প্রয়োজন গুইল। ম্যানেজারবণকু ছারপোকার মতই চতুর, সামান্তে পর-ছোয়া দিতে নারাজ, কাজেই তিনি উপরের বারান্দা ইত্রেই খুব জোর-গলায় মূখ-খিস্তি করিতে লাগিলেন । ইংরেজীতে লেক্চার দেওয়ার চেয়ে গায়ে পড়িয়। ঝগড়া করিয়া নিরপরাধীর গায়ে আঘাত করা সে কত কঠিন, কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইবামাত্র প্রোফেসার তাই। টের পাইল । দেশে একদিন জ্যের করিয়া এক জন চাধার জমি দখল করিতে গিয়া পঞ্চানন মার খাইয়। বাড়ী ফিরিয়াছিল, তখন হইতে সেই চাষাকে মারিবার জন্য কলিকাতায় আসিয়া অবধি পঞ্চানন ব্যায়াম চর্চা করিতেছে এবং সেই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শক্তির উদ্বোধন তাহার যে কতখানি হইল, মাঝে-মাঝে সেটা পরীক্ষা করিবার ইচ্ছা তাহার বড বেশী প্রবল হইয়া উঠিত। কিন্তু ওই গাবদা মুচি বেটাকেই * ভয় । তা হউক, সেরূপ কিছু সম্ভাবনা দেখিলে স্বমুখে রান্নাঘরটা খোলা আছে, তাহা সে পূৰ্ব্বাহ্নে ঠিক করিয়াই রাখিয়াছিল । মেয়েগুলার সহিত দু-একট। বাক্-বিতণ্ড হুইবার পরেই উপর হইতে ম্যানেজার বাবু বলিয়া উঠিলেন, বললে কথা শোনে না, দাও ত ভায় পঞ্চানন ওদের ধা-কতক দিয়ে ওখান থেকে তাড়িয়ে,—আর ওই সঙ্গে— ব্যাটাকে ৪ । স্থপনলালের নামটা উচ্চারণ না করিয়ু কৌশলে ইসারা করিয়া তিনি তাহাকে দেখাষ্টয়া দিলেন । পঞ্চানন আর অপেক্ষা করিতে পারিল না । ইহাই উপযুক্ত অবসর বিবেচনা করিয়া হুড়, মুড়, করিয়া সে মেরেগুলার গায়ের উপর গিয়া পড়িল এবং ‘ভাগ মাও ! ভাগ যাওঁ! জল নাতি দেগা ? বলিতে বলিতে কাহার ও টব উণ্টাঙ্গয়া দিয়া, কাহারও ঘটি-বালতিতে লাথি মারিয়া, দু-একটা মেয়েকে এলোপাথাড়ি এদিক-ওদিক্‌ ঠেলিয়া দিয়। একটা বিষম হটগোল বাধাইয়া দিল । করেন কি, করেন কি, বলিয়া বাল তিট, তাত থ নামাইয়া স্থখনলাল তাহাকে যখন নিবৃত্ত করিতে ছুটিয়৷ আসিল, মুহূৰ্ত্তমপে কৰ্ম্ম সমাধা করিয়া দিয়া বিজয়ী বীরের মত পঞ্চানন তখন রাগের মাথায় হাপাইতে-ষ্টাপাইভে এবং কঁাপিতে-কঁাপিতে তাড়াতাড়ি উপরে উঠিয়। আসিয়াছে । ঠিক করেছেন, আচ্ছা করেছেন মাগীদের । বলিয়: আশে-পাশে কয়েকট। লোক ঘরের ভিতর হইতে উকিঝু কি মারিয়া হাসাঙ্গাসি করিতেছিল। কিন্তু মেঘের ছত্রভঙ্গ হইয়া পলায়ন করিলে দেখিতে পাওয়া গেল, একটা শীর্ণকায়া দুৰ্ব্বল মেয়ের গায়েত পঞ্চাননের শক্তি-পরীক্ষার মাত্রা একটখানি বেশী হইয়। গেছে। চৌবাচ্চার পাশে নদমাটার উপর হুমুড়ি খাইয়। মেয়েটি এমনভাবে মৃগ গুজিয়া পড়িয়াছে যে, কাহার ৭ সাহায্য ব্যতীত নিজের চেষ্টায় সেখান হইতে উঠিবার সাধ্য তাহার ছিল না । সুখনলাল কাছে দাড়াইয়া ছিল, ধরিয়া তাঙ্গকে তুলিয়। দিবার জন্য একবার ছুটিয়াও গেল, কিন্তু হি দুব মেয়ে, তাহাকে স্পর্শ করিলে হয়ত ওই একমাথ। চুল লঙ্গয়া এই ॐ 芭 r