পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] লেখা যাইতে পারে। আমরা এখন সংক্ষেপে ছুই-একটা मृहेाख शिव । রাষ্ট্রীয় শক্তি লাভ করিতে ও বাড়াইতে হইলে জাতীয় একতা চাই । তৰ্যতিরেকে স্বরাজ লাভ হইতে পারে না। সেই কারণে অস্পৃশ্যত দূর করিবার প্রয়োজন গোড়া অনেক লোকও অনুভব করিতেছেন। কিন্তু শুধু এইখানে থাখিলেই একতা লব্ধ হইবে না। দক্ষিণ ভারতে অর্থাৎ মহারাষ্ট্র ও মাক্সাজ প্রেসিডেন্সীতে, অ-ব্রাহ্মণ প্রচেষ্টার কারণ, জাতিভেদের প্রকোপ এবং ব্রাহ্মণদিগের প্রভূত্ব। সেইজন্ত ঐসব অঞ্চলে অ-ব্রাহ্মণ-প্রচেষ্টার নেতা ও কৰ্ম্মীরা "অ-ব্রাহ্মণ" কথাটির অর্থ ব্রাহ্মণ-ছাড়া হিন্দু ও অ-হিন্দু আর সবাই, এইরূপ করিয়া, মুসলমান, খুটিয়ান, পারসী, প্রভৃতিকেও আপনাদের দলে টানিয়া লইতে প্রস্তুত হইয়াছেন ;—ব্রাহ্মণদের উপর তাহাদের এতই রাগ। ইহা দ্বারা বুঝা যাইতেছে, জাতিভেদ-সম্বন্ধে সমাজ-সংস্কার না হইলে জাতীয় একতা লব্ধ হইবে না। সতেজ জাতীয় জীৱন লাভ ও রক্ষার পক্ষে নারীদের অবরোধ অর্থাৎ পর্দা-প্রথার উচ্ছেদ যে একান্ত আবশ্যক, তুরস্কে পর্দার উচ্ছেদ হইতে তাহা বুঝিতে পারা যায়। এখন স্থান ও সময়ের অভাবে এ-বিষয়ে যুক্তি প্রদর্শন করিতে বিরত থাকিলাম । রাষ্ট্রীয় শক্তি-অর্জন এবং স্বরাজলাভের জন্ত ষে বিধবাবিবাহ প্রচলিত করা আবশ্যক, তাহ হয়ত অনেকে কল্পনাও করেন না। অবশ্য বিধবা-বিবাহ প্রচলিত করা অন্ত নানাকারণেও আবশ্যক, তাহা অনেকবার বলা হইয়াছে। কিন্তু স্বরাজের সহিত ইহার পরোক্ষ সম্পর্ক বুঝিবার জন্য একটা সামান্ত কথা বলিতেছি। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্ভাব স্বরাজলাভের জন্ত একান্ত আবশ্যক, তাহা সকলেই স্বীকার করেন । এই উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মিলনের পথে একটি প্রধান বাধা মুসলমান সমাজের দুশ্চরিত্র লোকদের দ্বারা হিন্দু-নারীর উপর অত্যাচার। সধবা হিন্দুনারীর উপর দ্ববৃত্ত লোকেরা অত্যাচার করে না, এমন নয় ; কিন্তু যদি কেহ অত্যাচারিতাদিগের পূর্ণ তালিকা ও পরিচয় সংগ্রহ করেন, তাহা হইলে দেখিতে পাইবেন, তাহাদের মধ্যে বাল-বিধবাদের সংখ্যাই বেশী। অতএব, বিধবা -לצי-בר বিবিধ প্রসঙ্গ—সেবত্ৰিত শশিপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, ☾Ꮼ☾ বিবাহ প্রচলিত হইলে অত্যাচারিতার সংখ্যা কতক কমিবে, श्चूि-भूननभादमब्र भट्नांभाणिप्छब्र कांब्र१ कङको पूब श्ट्व, এবং ফলে সম্ভাবের ও একতার অন্তরায় কিছু কমিবে, আশা করা যাইতে পারে । সেবাত্ৰত শশিপদ বন্দ্যোপাধ্যায় অললী বৎসরের অধিক বয়সে সেবাৰত শশিপদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের মৃত্যুতে বঙ্গের প্রাচীনতম সমাজসেবকের তিরোভাব ঘটিল। তিনি ব্রাহ্ম-সমাজের একজন প্রাচীন ' সভ্য ছিলেন, এবং সাধারণ ব্ৰাহ্ম-সমাজের স্থাপন-কালঅবধি উহার সভ্য ছিলেন। সকল ধৰ্ম্মাবলম্বীর মিলনক্ষেত্ররূপে তিনি রাজা রামমোহন রায়ের আদর্শে “সাধারণ ধর্ণসভা” স্থাপন করেন। তাহার প্রবীণ বয়সে স্থাপিত “দেবালয়"কে ঐ সাধারণ ধৰ্ম্ম-সভারই পরিণতি বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। তিনি “দেবালয়"কে তাহার সমুদয় সম্পত্তি অপর্ণ জীবিতকালেই করিয়াছিলেন। যৌবনকাল হইতেই বন্ধ্যোপাধ্যায় মহাশয় মাতৃভূমির দ্বিতসাধনে ব্ৰতী হইয়াছিলেন। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার-নিবারণ, শ্রমজীবীদিগের আর্থিক, মানসিক ও নৈতিক অবস্থার উন্নতি, স্ত্রীশিক্ষা, ভিন্ন-ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্ভাবস্থাপন, হিন্দু বাল-বিধবাদিগের শিক্ষা ও বিবাহ প্রভৃতি নানা বিষয়ে তিনি শক্তি নিয়োগ করিয়াছিলেন। শ্রমজীবীদিগের জগু তিনি “ভারত শ্রমজীবী”-নামক একখানি সংবাদ-পত্ৰ স্থাপন ও পরিচালন করিয়াছিলেন। র্তাহার স্থাপিত বরাহনগর হিন্দু-বিধবা-আঙ্গমে বহুসংখ্যক বিধবা শিক্ষণ পাইয়া স্বাধীনভাবে সদুপায়ে উপার্জনক্ষম হইয়াছিলেন এবং যে কুড়ি বৎসর ঐ প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান ছিল, তাহার মধ্যে চল্লিশটি বিধবার তিনি বিবাহ দিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনি স্বশৃঙ্খলভাবে কাৰ্য্য-নিৰ্ব্বাহে ক্ষিপ্ৰহস্ত ছিলেন, এবং রোগে ও বাৰ্দ্ধক্যে একান্ত অক্ষম না হওয়া পৰ্য্যস্ত প্রত্যহ অনলসভাবে কোন-না-কোন কাজ করতেন। তিনি সাধারণ ব্রাহ্ম-সমাজের ও তাহার অধ্যক্ষ সভার ও কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সভার সভ্যরূপে নানাভাবে উক্ত সমাজের ও দেশের সেবা করিয়া গিয়াছেন। জীবনে তিনি