পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سو*يG٤٩N কোন অংশ-সম্বন্ধে কিছু বলিতেই তাহার অধিকাংশ জায়গা গিয়াছে। কংগ্রেসের অন্ত কৰ্ম্মীদের বকৃত, প্রস্তাবাবলী, প্রভৃতি সম্বন্ধে কিছুই বলা হয় নাই। অন্ত সৰ সভাসমিতির উল্লেখ পৰ্য্যন্ত এখনও করিতে পারি नांझे । বৎসরের একই সময়ে একই স্থানে এতগুলি সভাসমিতি না করিয়া ভিন্ন-ভিন্ন সময়ে ও স্থানে করিলে ভাল হয় । ইহা অাগে-আগেও বলা হইয়াছিল ; সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধীও বলিয়াছেন। অবশু কংগ্রেসের সঙ্গে ও অধিবেশন-স্থানে অন্তান্ত সভা করার কতকটা জুবিধাও আছে । কংগ্রেসে এখন অনেকে যান, যাহারা শুধু সমাজসংস্কার বা অন্য কোন উদ্দেশ্বের জন্য দূর স্থানে যাইবেন না। তাহাদের উপস্থিতি, আংশিক মনোযোগ, এবং কখন-কখন কিছু সহযোগিতাও পাওয়া যায়। তাহা তুচ্ছ করিবার বিষয় নয়। কিন্তু মোটের উপর ইহা বলিতে পারা যায়, যে, র্যাহাদের যে-প্রচেষ্টায় খুব বিশ্বাস, অনুরাগ ও উৎসাহ আছে, তাহাদের দ্বারাই প্রধানত: উহার উদ্দেশুসিদ্ধি হয়। যেখানে - যে-সময়েই উহার সভার অধিবেশন হউক, তাহাতে র্তাহাদের উপস্থিতির সম্ভাবনা আছে। অতএব ভিন্ন-ভিন্ন সময়ে ও স্থানে ভিন্ন-ভিন্ন সভার অধিবেশন বাঞ্ছনীয় । আমরা এখন কোন-কোন সভাসমিতি সম্বন্ধে দু-এক কথা বলিতে চেষ্টা করিব। তৎসমুয়ের গুরুত্ব সম্বন্ধে, আমাদের সন্দুে নাই, কিন্তু সময় ও স্বানের অভাবে আমরা যথোচিত বিস্তারিত আলোচনা করিতে পারিতেছি না । খিলাফৎ কনফারেন্স বেলগাওয়ে ডাক্তার সৈফুদিন কিচলু খিলাফৎ কনফ+ রেন্সের সভাপতি হইয়াছিলেন। পঞ্জাব ও আগ্ৰা-অযোধ্য। প্রদেশগুলির হিন্দু নেতাদের উদেশে উচ্চারিত তীব্র নিন্দাবাদ ও কটুকথা তাহার অভিভাষণে লক্ষিত হয়। কাহারও কোন দোষ থাকিলে তাঙ্কার সংস্কৃত সমালোচনা করাই ভাল ; বিশেষতঃ যখন সাম্প্রদায়িক অসম্ভাব ও প্রবালী—মাঘ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বিদ্বেষ প্রবলভাবে বিদ্যমান রহিয়াছে। ভাক্তার কিচলুর মতে পঞ্জাব ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে হিন্দুমুসলমানের ঝগড়ার প্রধান কারণ, ধৰ্ম্মভেদ নয়, ব্যবসাবাণিজ্য ও চাকরীতে হিন্দুদের প্রাধান্য। তাহা সত্য বলিয়া মানিয়া লইলেও ত ইহার কৃত্রিম কোন প্রতিকার হইতে পারে না। মুসলমানের শিক্ষায় ও ব্যবসাবাণিজ্যে মন দিলে কালক্রমে ইহার প্রতিকার হইতে পারে। এ-বিষয়ে তাহাদের স্বাভাবিক, জাতিগত বা ধর্থগত কোন অক্ষমতা নাই। র্তাহাদের মধ্যে খুব বিধান লোক আছেন, তাহাতে বুঝা যায়, মুসলমান খুব পণ্ডিত হইতে পারেন। তাহদের মধ্যে পীরভাই করিমভাই, জামাল ব্ৰাদাস কোলুটোলার সওদারগণ, প্রভৃতি অনেক ধনী বণিক আছেন । তাহাতে মুসলমানদের বাণিজ্যে কৃতিত্বলাভ-সামর্থ্যে প্রমাণ পাওয়া যায় । গবন্মেণ্ট তবু ইচ্ছা করিলে বেশীর ভাগ চাকরী জোর করিয়া পঞ্জাবী মুসলমানদিগকে দিতে পারেন ; কিন্তু - ব্যবসাবাণিজ্য ত এরূপ করিয়া কাহারও হাতে তুলিয়া দিবার জিনিষ নয়। গবন্মেন্টের আইন ও অন্যান্ত ব্যবস্থায় হিন্দুর ব্যবসাবাণিজ্যের যেমন স্ববিধা আছে, মুসলমানেরও তেমনি আছে ; বরং ইহা বলা যায়, যে, কোন-কোন কারণে ইংরেজদের স্ববিধা বেশী আছে। ব্যবসাবাণিজ্যে কোন সম্প্রদায় বা শ্রেণীর লোকদের প্রাধান্ত দেখিয়া ঈর্ষ্যায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার মত বেকুবী আর নাই । বাংলা দেশের অধিকাংশ বড় ব্যবসাবাণিজ্য ও তেজারতী এখন মাড়োয়ারীদের হাতে গিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু তা . বলিয়া বাঙালী হিন্দুরা ত মাড়োয়ারীদের সঙ্গে দাঙ্গাহাঙ্গামা করিতেছে না, যদিও সংখ্যায় মাড়োয়ারীরা সমুদ্রে ছাতুমুষ্টির ন্যায়। . - ডাঃ কিচলুর মতে লক্ষ্মেীয়ের চুক্তি ছিড়িয়া ফেলিয়া সমুদয় প্রদেশে ও সমগ্রভারতে জনসংখ্যার অনুপাতে হিন্দুমুসলমানের প্রতিনিধি উভয় সম্প্রদায়ের সম্মিলিত নিৰ্ব্বচকমণ্ডলী দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত হওয়া উচিত। তাহার এই মত সৰ্ব্বত্রই একই নীতি অনুসরণের পক্ষপাতী। কিন্তু যেসকল মুসলমান বলেন, যে, যেখানে তাহাদের সংখ্যা বেশী সেখানে তাহীদের প্রতিনিধি বেশী হইবে, এবং যেখানে