পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] কম, সেখানেও সংখ্যার অন্ত্রপাত অপেক্ষ কিছু বেশী প্রতিনিধি তাতাদের হওয়া চাই, তাহাদের কথার মধ্যে কোন সঙ্গত নীতি অপেক্ষা সাম্প্রদায়িক অন্ধ স্বার্থপরতার গন্ধই বেশী পাওয়া যায় । মুসুিম লীগ, মুস্মি লীগের সভাপতি মাননীয় সৈয়দ রিজা আলি ঐৰূপ মত প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, পঞ্জাবের ও বাংলাদেশের অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান ; অতএব ঐ দুই প্রদেশে ব্যবস্থাপক সভার সভ্যদের, সরকারী চাকর্যেদের, এবং মিউনিসিপালিটি ও ডিষ্ট্রিক্ট, বোর্ডের সভ্যদের অধিকাংশ মুসলমান হওয়া চাই ; অধিকন্তু যে-সব প্রদেশে মুসলমানরা সংখ্যায় কম, সেখানেও তাহাদের সংখ্যার অনুপাত অপেক্ষা বেণী-সংখ্যক প্রতিনিধি তাহাদের থাকা চাই। এরূপ বন্দোবস্তের সমর্থন আমরা করিতে পারি না। কারণ, কাহাকেও কিছু বেশী দতে গেলে অন্যদিগকে সেই-পরিমাণে বঞ্চিত করিতে হয়। ইহা স্তায্য নহে। রিজা আলি সাহেবের অন্য অনেক কথার সমর্থন আমরা করিতে পারি। কিছুদিন হইল কাবুলে মৌলবী নিয়ামৎউল্লা থাকে, র্তাগর ধৰ্ম্মমত প্রচলিত স্বীমত হইতে ভিন্ন বলিয়া, রাজ-আদেশে তাহার উপর প্রস্তর নিক্ষেপ দ্বারা বধ করা হয়। রিজা আলী সাহেব ইহার নিন্দা করিয়া বলেন, কাহারও আত্মার সদগতির জন্ত তাহার প্রাণবধ করিবার রীতির সমর্থন করা কোন মুসলমানের পক্ষে সঙ্গত হইবে না । “যদি এই ধারণ একবার জগতে ব্যাপ্তি লাভ করে যে, মুসলমান গবন্মেষ্টসমূহ প্রজাদিগকে সম্পূর্ণ ধাৰ্ম্মিক স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত নহে, তাহা হইলে জগতে ইসলামের অন্ততম মহতী নৈতিক শক্তি বলিয়া যে মৰ্য্যাদা আছে, তাহার হ্রাস হইবে ।” - রিজা আলি মহাশয় ভারতীয় মুসলমানদের স্বদেশের প্রতি কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধেও ঠিক কথা বলিয়াছেন। তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হইব না, যদি আমরা আমাদের মাতৃভূমির আভ্যন্তরীণ সমস্যাসকলের সমাধানার্থ সময় ও শক্তি নিয়োগ না করিয়া, দূরদেশে কি হইতেছে, তাহার দ্বারাই বিক্ষিপ্তচিত্ত হই। যদি স্বদেশের বাহিরের প্রতি প্রেম ও হিতৈষণাকে যুক্তিসঙ্গত সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয়, তাহা হইলে উহা খুব মহৎ ভাব। কিন্তু যখনই উহা আমাদের ভারতীয় মুসলমান বলিয়া যাহা কৰ্ত্তব্য তাহ সাধনে ব্যাঘাত জন্মায় ভারতীয় মুসলমান বলিয়া আমাদের যে অধিকার তদন্থযায়ী ক্ষমতা পরিচালনায় ব্যাঘাত জন্মায়, তখনই উহা নিষ্ফল বিবিধ প্রসঙ্গ-মহম্মদীয় শিক্ষা কনফারেন্স, ©ᏔᏱÞ চেষ্টা, এবং একটা কল্পনাপ্রস্থত বস্তুর প্রতি অনুরাগ বলিয়া মনে হয়। ভবিষ্যতে সংঘর্ষ দূরীকরণ নিমিত্ত তিনি বলেন, খিলাফং কমিটি মুসলমানদিগের ধর্শ্বসম্বন্ধীয় অভীষ্ট সাধনে নিযুক্ত থাকিবেন, এবং মুসলিম লীগ, ভারতীয় আভ্যন্তরীণ ব্যাপারসকলে আপনাকে আবদ্ধ রাখিবেন, এইরূপ শ্রমবিভাগ হইলে ভাল হয়। মহম্মদীয় শিক্ষা কনফারেন্স, মহম্মদীয় শিক্ষা কনফারেন্সে শিল্প-ও বাণিজ্য-শিক্ষার জন্ত যথোচিত বন্দোবস্ত করিবার নিমিত্ত গবন্মেণ্টকে ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুরোধ করিয়া ষে-প্রস্তাব ধার্ঘ্য হয়, তাহা উত্তম । বাণিজ্যিক তত্ত্ব ও সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার বিভাগের ডিরেক্টর ও ডেপুটি ডিরেক্টর (Director and Deputy Directors of Commercial Intelligence Departments), qq sforsta afai cnt+ বাণিজ্য কমিশনার, বাণিজ্য এজেণ্ট, প্রভৃতি কাজ করিবার নিমিত্ত উপযোগী শিক্ষা দিবার ব্যবস্থার আবস্তকতাও এই কনফারেন্সে প্রদর্শিত হয়। মুসলমান বালিকার কলেজে বকৃত না শুনিয়াও যাহাতে প্রাইভেট পরীক্ষণ দিতে পারে তন্দ্রপ নিয়ম করিবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুরোধ করা হয়। মুসলমান অমুসলমান সব বালিকাদের জন্তই এইরূপ নিয়ম কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে । সৰ্ব্বত্র সম্প্রদায়নির্বিশেষে এইরূপ ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু মুসলমান অমুসলমান সকলেরই মনে রাখা উচিত, যে, মেয়েদের বাড়ীতে পড়াইবার বন্দোবস্ত খুব কম লোকেই করিতে স্থারে ; যাহারা পারে, তাহারাও উৎকৃষ্ট কলেজসকলের ভাল অধ্যাপকদের মত যোগ্য লোককে গৃহশিক্ষক রাখিতে পারে না । সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে প্রাথমিক, মধ্য ও উচ্চ শিক্ষা নারীদিগকে দিতে হইলে পর্দা-প্রথা রহিত, অন্ততঃ আংশিকভাবে রহিত করা ভিন্ন উপায় নাই । মহম্মদীয় কনফারেন্সে মুসলমানদের শিক্ষার স্বতন্ত্ৰ বম্বোবস্তের ইচ্ছা ও দাবী অবশ্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত রাজস্ব হইতে করা সম্ভব নহে। ভারতবর্ষ কেবল হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের বাসভূমি নহে ; এবং মুসলমানেরাও একমাত্র অনগ্রসর সম্প্রদায় নহে। আরও অনেক অধিকতর অনগ্রসর শ্রেণীর লোক আছে। সকলের জন্ত স্বতন্ত্র বন্দোবস্ত করা সম্ভব হইলেও তাহা বাঞ্ছনীয় হইত না । কারণ, তাহাতে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা ও গোড়ামি বাড়ে, এবং ভিন্ন-ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আবাল্য ও আম্বেীবন সম্ভাব ও বন্ধুত্ব জন্মিবার সুযোগ কম হয়। হিন্দু মুসলমান পাসী খৃষ্টিয়ান শিখ সব সম্প্রদায়ের