পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ፃ● অনেক ছাত্র বিদেশে সৰ্ব্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করিতে যায় । ইংলও, জাৰ্শ্বেনী, ফ্রান্স, আমেরিকা, জাপান যায়। সেখানে ত কোন সম্প্রদায়ের লোক নিজেদের জন্ত আলাদ৷ শিক্ষালয় চান না ; চাহিলেও পাইবেন না। তবে স্বদেশে এই পৃথক বন্দোবস্তের দাবী কেন করা হয় ? বিলাতফেরত মুসলমান ব্যারিষ্টার,ভাক্তার প্রভৃতির মধ্যেও কাহাকে-কাহাকে স্বদেশে স্বতন্ত্র শিক্ষালয়ের দাবী করিতে দেখিলে যুগপৎ হাসিকান্নার কারণ ঘটে । হিন্দু মহাসভা বেলগাওয়ে হিন্দু মহাসভার অধিবেশনে পণ্ডিত মদনমোহন মালবী সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সহিত হিন্দু মহাসভার সংঘর্ষের কোন কারণ নাই । কংগ্রেস সকল সম্প্রদায়ের সভা বলিয়া একএকটি সম্প্রদায়ের জন্ত যাহা করিতে পারেন না, হিন্দু মহাসভা হিন্দুদের জন্ত তাহা করিবেন। মুসলমানদের মত হিন্দুদের সভ্যতা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সাহিত্য, শিল্প, প্রভৃতি আছে। মুসলমানরা যেমন র্তাহাদের নিজস্ব এইসব জিনিষ আদর করিয়া রক্ষা করিতে চেষ্টা করিতেছেন, হিন্দুরাও সেইরূপ চেষ্টা করিবেন। উভয় সম্প্রদায় পরস্পরের কালচার অনুশীলন করিয়া তাহার গুণ গ্রহণ করে, ইহা তিনি সৰ্ব্বাস্তঃকরণে চান । হিন্দু বৌদ্ধ ও শিখেরা একটি সাধারণ কালচারের উত্তরাধিকারী বলিয়া একই কার্ধ্যক্ষেত্রে সম্মিলিত হইয়াছেন । হিন্দু-মুসলমানদের দাঙ্গাহাঙ্গামা-সম্বন্ধে পণ্ডিতজী বলেন, হিন্দুরা যদি দুৰ্ব্বল ও ভীরু না হইত, তাহা হইলে কয়েকটি স্থানের দাজাহাঙ্গামা ঘটিত না। এইসব উপদ্রবে এমন-একটি অবস্থার উদ্ভব হইয়াছে, যাহা জাতীয় (national) হিসাবে গুরুতর ; এবং যেহেতু হিন্দুদের দুৰ্ব্বলতার জন্যই কয়েকটি স্থানের উপদ্রব ঘটিয়াছে, সেইজন্ত এই দুৰ্ব্বলতা দূর করা ston (national) rotato মধ্যে দাড়াইয়াছে। মালবীয়-মহাশয়ের মতে এই ছৰ্ব্বলতার কারণ, (১) হিন্দুদের স্বধর্মের শিক্ষার বিস্মৃতি ; (২) তাহারা দুৰ্ব্বল-দেহ। এই শারীরিক দৌৰ্ব্বল্যের প্রধান কারণ, তাহার মতে, বিবাহ-সম্বন্ধীয় রীতি-নীতির অবনতি। আগে পুরুষেরা কেহ-কেহ ২৫ বৎসরের আগে বিবাহ করিত না । নারীদের মধ্যেও বিবাহ আজকাল এত কাচা বয়সে হয়, ষে, শিশু বিধবা অনেক দেখা যায়। এইসব কারণে সমাজের দৈহিক দৌৰ্ব্বল্য ঘটিয়াছে। এই অবস্থার তিরোভাব আবশ্যক। তিনি এইরূপ বলেন। ব্রাহ্মণ-আব্রাহ্মণের বিরোধ-সম্বন্ধে তিনি বলেন, উভয়েই এক সাধারণ সভ্যতার উত্তরাধিকারী। তাহাদের ভাইয়ের মত থাকা উচিত। দক্ষতা ও যোগ্যতা যেখানেই প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড দৃষ্ট হইবে,সেখানেই তাহার আদর করা ব্ৰাহ্মণদের উচিত। আঁত্রাক্ষণজাতীয় রাম, কৃষ্ণ ও বুদ্ধের প্রতি ভক্তি ও র্তাহাজের পূজা হইতে বুঝা যায় যে, স্বাক্ষণের যোগ্যতার পূজা করিতে দ্বিধা বোধ করিতেন না—তাহ যেখানেই পাওয়া যাক্ । কয়েট চাকরী-বাকুরীর জন্ত ভিন্ন-ভিন্ন হিন্দু-শ্রেণীর মধ্যে দলাদলি হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তাহাদের পরম্পরের স্বখে ও শক্তিতে আহলাদিত হওয়াই উচিত। মহাত্মা গান্ধী ব্ৰাহ্মণ নহেন, অথচ দেশে তাহার মত সন্মান কে পাইয়াছে ? তিনি ব্ৰাহ্মণ অব্রাহ্মণ সব বন্ধুকে পরম্পরের সহিত মনোমালিন্ত দূর করিয়া এক সাধারণ মহাসভায় মিলিত হইতে অনুরোধ করেন । তথাকথিত অস্পৃশু জাতিদের অভাৰ অভিযোগ ও লাঞ্ছনা দূর করিবার জন্ত মালবাঁয়জি অনেক প্রস্তাবের ও কার্ধ্যের উল্লেখ ও সমর্থন করেন । যেমন খৃষ্টিয়ান ও মুসলমানের অন্তধর্থের লোকদিগকে নিজেদের ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন, পণ্ডিতজী সেইরূপ অন্তধর্শ্বের লোকদিগকে হিন্দু করিবার জন্ত একটি মিশন প্রতিষ্ঠিত করিবার প্রয়োজন ঘটিয়াছে, বলেন । তিনি সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচন-প্রথার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। সাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তা ( nationalism ) একত্রে থাকিতে পারে না, বলেন । সাম্প্রদায়িকতা না গেলে জাতীয়তার উদ্ভব হুইবে না, বলেন । মুসলমান-সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধির দাবী করায় হিন্দুদিগকে এবিষয়ে মত প্রকাশ করিতে হইবে, এবং হিন্দুমহাসভা তাহা করিবেন। তাহার জন্ত সকল প্রদেশের হিন্দুদের একটি কমিটি নিযুক্ত হইয়াছে । মহাসভায় হিন্দুদের রাষ্ট্রীয় দাবী নিৰ্দ্ধারণার্থ কমিটিনিয়োগ ছাড়া, নেপালের স্বাধীনতা স্বীকৃত হওয়া উপলক্ষ্যে ঐ একমাত্র স্বাধীন হিন্দুরাজ্যের নৃপতিকে অভিনন্দিত করা হয়, এবং তথায় দাসত্ত্ব-প্রথার উচ্ছেদের জন্তও হর্ষ প্রকাশ করা হয় । কোহাটের ভীষণ দাঙ্গা-সম্বন্ধে একটি প্রস্তাব ধার্ঘ্য হয়। "অস্পৃশু” জাতিদের অমুকুলে প্রস্তাব গৃহীত হয়, ইত্যাদি। শায়েস্তাবাদের নবাবজাদা স্তার আব্দর রহিম-প্রমুখ কয়েকজন বাঙালী মুসলমান অডিস্ক্যান্সটাকে আইনে পরিণত করিবার জন্ত বাংলা গবর্ণমেণ্টের সাহায্য কহিবার নিমিত্ত মুসলমানদের এক সভা আহবান করেন । কিন্তু তাহারা ধাথাকে সভাপতি করেন, তাহাকে তাহারা চিনিতেন না। তিনি শায়েস্তাবাদের নবাবজাদা সৈয়দ মোহামেদ হোসেন। তিনি “জোহকুম” নহেন,—মাহুষ। সেইজন্ত তিনি