পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] স্বর্ণমন্দির ጬማ > এমন বক্তৃত করেন, যে, তার আবদার রহিম প্রভৃতি গাত্রদাহে সভাস্থল ছাড়িয়া পলায়ন করেন। নবাবজাদ হিন্দু মুসলমানের ঐক্যের ও সম্ভাবেব পক্ষে মত প্রকাশ করেন। বলেন, “আমরা কি একই মাতৃভূমির সস্তান নহি, একই ভাষায় কথা বলি না, অনেক আচার-ব্যবহার আমাদের এক নহে কি, পাশাপাশি থাকিয়া আমরা একত্র পরম্পরের উৎসব করি না কি ? কেন তবে উভয়ের সাধারণ জিনিষগুলিকে ভুলিয়া পার্থক্যগুলির উপরই বেfাক দিব ? আমাদের প্রভেদ অপেক্ষ মিলই অনেক বেশী। আস্থন, আমরা ভারতবর্ষের স্বাধীনতাসমরে ভ্রাতৃভাবে পুনমিলিত হই, ষাহাতে আর কখন ছাড়াছাড়ি नां झञ्च ॥** স্বর্ণমন্দির (মহারাষ্ট্ৰীয় উপকথা ) 粤 স্ত্রী অমিতাকুমারী বসু [ শ্রাবণ মাসের মেঘলা দিনে ৰখন শিশুর খেলাধুলো করতে পায় না, তখন তা’র তাদের জাজীবাইর (১াকুরমার) কাছে গল্প শুনতে ছুটে আসে। জাঙ্গীবাই ভাদের নাগরাজার কথা, শিৰপাৰ্ব্বতীর কথা, আরো कठ-कि कषां रक्षनांन । अधिकांश्* भटब्रब्रहे शक्नेनांइज जॉछेभfb भइब्र । তাহা কোথায় ছিল কেউ জানে মা । আটপত বলে’ এক নগর ছিল, সে-নগরের রাজার চারটি ছেলের বেী ছিল। রাজা তিনটি ছেলের বেীকে খুব ভালোবাসতেন, কিন্তু ছোটটিকে মোটেই দেখতে পারতেন না ; সে ৰেচারা দেখতে ছিল ভারি কুঞ্জ, তার খাবার জন্ত বরাদ্দ ছিল রাজার উচ্ছিষ্ট, আর মোটা ভাত, পরবার জন্ত মোটা কাপড়, আর তা’কে থাকৃতে হ’ত গোশালায়, গরু চরাবার ভার তার উপর ছিল । অন্ত তিনটি ছেলের বে। কিন্তু থাকৃত খুব জাক-জমক করে’। তা’র সুন্দর-সুন্দর শাড়ী পরে’ গয়না গায়ে দিয়ে সেজেগুজে বসে’ থাকে, সর্থীরা হাসিগল্প করে, দাসীরা পঞ্চ ব্যঞ্জন ভাত এনে দেয়, আনন্দে তাদের দিন কেটে যায় । এসব দেখে ছোট বেীর মনে ভারি দুঃখ হ’ল । সেদিন শ্রাবণ মাসের পয়লা সোমবার, বৌটি মনের দুঃখ আর সইতে না পেরে রাজবাড়ী থেকে পালিয়ে সহর ছেড়ে চলে’ গেল । যেতে-যেতে সে একটি গভীর বনে গিয়ে ঢুকুল। এবনটা ছিল ভারি স্বন্দর, একটা কুঞ্জবনের মতন। মাঝখান দিয়ে ছোট একটি ঝরনা বয়ে গেছে, নাগকস্তা আর অঙ্গরার এসে ঝরনার স্বচ্ছ জলে মনের আনন্দে স্বান করে পুষ্পচয়ন করত, আর সবাই মিলে মহাদেবের অর্চনা করতে মন্দিরে যেত। ছোট বৌটি ক্ৰমে-ক্রমে সেই ঝরনার তীরে এল, এবং দেখতে পেলে চমৎকার স্বন্দরী কয়েকজন অঙ্গরা আর নাগকস্ত। স্বান করে নদী থেকে উঠছে। দেখে তার মনে এত ভয় হ’ল যে সে স্তভিত হ’য়ে দাড়িয়ে রইল। খানিক পরে সাহস করে বললে, “আপনার কে, দেৰী, না অঙ্গরা, না কি ? আপনার কোথায় যাচ্ছেন ?” তখন তা’র বললে “আমরা অঙ্গর, আর নাগকস্তা, আমরা মহাদেবের পূজো করতে যাচ্ছি, মহাদেবের পূজো করলে স্বামীর ভালোবাসা ফিরে’ পাওয়া যায়, যে সস্তান কামনা করে সে সস্তান পায়, যে একজনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সে তা ফিরে” পায় ।” তাদের কথা শুনে ছোট বৌটির মনে হ’ল, সে যদি শিবপুজো করে তবে হয়ত সেও তার শ্বশুরের স্নেহ ফিরে” পাবে । এসব ভেবে সে তাদের বললে,"আমি আপনাদের সঙ্গে গিয়ে শিবপুজো করব, আমাকেও নিয়ে চলুন।” তখন কন্যারা তাকে নিয়ে একটা গভীর বনে প্রবেশ করলে, সেখানে প্রকাও এক শিবমন্দির । কস্তারা ফুল-বেলপাতা চাল-সুপারি-নৈবেদ্য দিয়ে মহাদেবের অর্চনা করলে। বৌটিও ঠিক তাদের মতন পূজো করে ভক্তিভরে প্রার্থনা করে’ বললে, “হে মহাদেব, তুমি আমার পূজো গ্রহণ করে, আমায় আশীৰ্ব্বাদ করে, যেন আমার শ্বশুর-শাশুড়ী যায়েরা আমাকে স্বণা না করে’ ভালোবাসে।” তার পর বৌর্টি সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফিরে’ এসে সেদিন কিছু খেলে না, উপোস করে রইল । রাজার উচ্ছিষ্ট তা’কে খেতে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে তা না খেয়ে গরুকে দিয়ে দিলে, তার পর নির্জনে ৰসে মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করতে লাগল । ঘুরে’-ফিরে আর-এক সোমবার এল, সেদিনও বেীটি ভোরে উঠে সেই বনে চলে গেল । সেখানে গিয়ে দেখলে নাগকস্তারাও এসেছে, সে তখন তাদের সঙ্গে মিলে’ মন্দিরে চলল। অঙ্গরার তাকে তখন বললে,“দেখ পূজো করবার জন্তে তোমাকে জাজ ফুল-বেলপাতা দিলুম বটে ; কিন্তু অন্তদিন তোমার এসব নিজে জোগাড় করে আনতে হবে।” বৌটি তখন তাদের দেওয়া ফুল-বেলপাত দিয়ে পুজো করে বাড়ী ফিরে’ এল । সেদিনও সে তার সব খাবার