পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুলপ্রসাদ ও র্তাহার সঙ্গীতজ্ঞ ঐ দিলীপকুমার রায় । আমি ইতিপূৰ্ব্বে এই লাইব্রেরীর দু-তিনটি আসরে ঐযুক্ত অতুলপ্রসাদ সেন মহাশয়ের গান-সম্বন্ধে ছচারটি কথা প্রসঙ্গচ্ছলে বলেছিলাম। তার গুটিকতক গানও আমি আমার বিভিন্ন আসরে শুনিয়েছি। আমার অনেক দিন থেকে তার গানের সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ পাঠ করবার ও র্তার কয়েকটি গান সাধারণকে শোনাবার ইচ্ছা ছিল। আজ সেই উদ্দেশ্যেই এ-আসরের উদ্যোগ করা। অতুলপ্রসাদের গানের সঙ্গে বাঙালী অপরিচিত নয়। র্তার “উঠগো ভারত-লক্ষ্মী” গানটি স্বদেশী যুগে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। তার "বঁধুয়ানিদ নাহি আঁখি-পাতে” গানটি অথবা “বঙ্গভাষা” গানটিও অনেকে শুনেছেন। কিন্তু এরকম বিক্ষিপ্তভাবে অতুলপ্রসাদের গানের সঙ্গে অনেকে পরিচিত হ’লেও,বোধ হয় খুব কম লোকেই খবর রাখে, যে তিনি একজন প্রকৃত সঙ্গীত-রচয়িতা—যাকে ইংরেজী সঙ্গীত-পরিভাষাতে বলে—composer. আমি আজ যে-কয়টি গান আপনাদের শোনাবার জন্ত নিৰ্ব্বাচিত করেছি, সেগুলির দ্বারা তার গান অপিচ স্বন্দর-সুন্দর স্বর দেওয়ার ক্ষমতাটিই যাতে পরিস্ফুট হয় সেইদিকেই বিশেষ করে দৃষ্টি রাখব। देश८ब्रखौ ङांबांब composer द फ़्द्रांनौ खांबांद्र compositeছু কথাটির সদর্থ হচ্ছে—স্তন স্বর বা স্বরসমষ্টির স্রষ্টা । তাই অতুলপ্রসাদকে শুধু composer বললে তার যথার্থ সংজ্ঞা 1নৰ্দ্ধারণ করা হবে না। সুতরাং র্তার প্রতি যথেষ্ট স্ববিচারও করা হবে না। কেননা তিনি স্বর-রচয়িত মাত্র নন—সঙ্গে-সঙ্গে একজন মনোজ্ঞ কবি। তাই এক-কথায় তাকে গীতিকবি আখ্যা দেওয়াই বোধ হয় বেশী সঙ্গত । কারণ র্তার গানে কবিত্ব ও সঙ্গীতের বড় সুন্দর সম্মিলন সংসাধিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যে-কোনো গীতি-কবির মধ্যে ছুটে উপাদান থাকবেই। প্রথম গীতির দিক, ও দ্বিতীয় কৰিত্বের দিকৃ। রামমোহন লাইৱেৰীতে পটত। তাই আমি অতুলপ্রসাদের রচনাকে এই দু-দিক থেকে । আলোচনা করার প্রয়াস পাবে। এ গীতি-কবির রচনাকে যদি স্বরের দিক থেকে দেখা যায়, তা হ’লে আমরা দেখতে পাবো যে, তার গানগুলিকে মূলতঃ দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটি ধারা হচ্ছে—আমাদের খাটি বাউল-কীৰ্ত্তনকে আধুনিক refinementএর (হৃদয়ের সোঁকুমার্ধ্যের) মধ্য দিয়ে বড় হৃদয়স্পর্শীভাবে প্রকাশ করার প্রয়াস ; ও আর-একটি হচ্ছে— আমাদের হিন্দুস্থানী স্বরের খাটি হিন্দুস্থানী ঢঙকে বাংলা গানের মধ্যে অভিনবভাবে মূৰ্ত্ত করে তোলা। এখন এ-• দুটি ধারা-সম্বন্ধে যথাক্রমে একটু বিশদভাবে দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচনা করা যাক । - আমাদের দেশে বাউল, ভাটিয়ালি, ছোট চা:ে কীৰ্ত্তন প্রভৃতি স্থর সাধারণ লোকমুখে পথে-ঘাটে শোনা যায়। তাদের মধ্যে একটি সরল আবেদন আছে । কিন্তু চলিত অনেক বাউল গানের কথার মধ্যেই আমরা একটা প্রাচীনতার আমেজ পেয়ে থাকি যাকে ইংরেজীতে বলে archaism.wluto NR owf, archaismo wo ठिंकू সাড়া দেয় না। কথাটা একটু পরিষ্কার করে বলি। একটা পুরোনো বাউল-গান শুনেছিলাম যার আরম্ভট --"কে গড়লে এই ঘর, সে ধন্ত কারিগর " এখানে ঘর অর্থে বোঝা হয়েছে—দেহ । পুরোনো অনেক গানে অভাবনীয় দেহতত্ত্ব, কুলকুণ্ডলিনীর মাহাত্ম্য, ষড়রিপুর অত্যাচার প্রভৃতির লোমহর্ষক বর্ণনা আছে । এরূপ গানের কথার মধ্যে কোনো আধ্যাত্মিক গভীর তত্ত্ব নিহিত আছে কি না আমি জানিনে —তাই সে-সম্বন্ধে কোনো কথা না বলে তুষ্ণীভাব অবলম্বন করাই বোধ হয় শ্রেষ্ঠ পন্থা। কিন্তু একটি কথা জানি, স্বতরাং সে-সম্বন্ধে তুষ্ণীভাব অবলম্বন করা ভালো না –সেটি হচ্ছে এই যে, এ-সব গানে আর যাই থাকুক না কেম, একটি জিনিষের বালাই নেই, যার নাম—কবিত্ত্ব। এ-কথায় পুরাতন