পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | অতুলপ্রসাদ ও র্তাহার সঙ্গীত ¢ፃፃ পন্থীগণ আশা করি ক্ষুণ্ণ হবেন না। আর যদিই বা হন, তবে তারা এই কথাটি মনে করে" যেন সাত্বনা পাবার চেষ্টা করেন যে মানুষের কোনো দিকে স্বষ্টিকে প্রায়ই সৰ্ব্বাঙ্গস্বন্দর হয়ে গড়ে উঠতে দেখা যায় না । তাই আমরা এইভাবে মনকে প্রবোধ দিতে পারি যে, এই পুরোনো বাউল-কীৰ্ত্তনের অনেক গানের কথায় যদি আমাদের মনটি সাড়া না দেয় তবে স্বরে ত দেয় –সেটাও ত একটা কম লাভ নয়—মানুষের শিল্পজগতে স্বষ্টির দিক্ দিয়ে ! তবে সে যাই হোক আমার মোট বক্তব্যটি এই যে, এ-সব archaic গানে স্বরের সৌন্দৰ্য্য থাকূলেও কবিত্বের মাধুর্ঘ্য প্রায়ই পাওয়া যায় না, যাতে আমাদের আধুনিক মনটি সাড়া দিতে পারে * । ধরুন, “ধস্ত কারিগর, যে গড়লে এই ঘর” এ-গানটি শুনলে কি আমাদের মনে সে পুলক শিহরণ জাগে,-রবীন্দ্রনাথের বাউল “গ্রাম-ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ আমার মন ভোলায় রে” গানটির কথায় যে-শিহরণের উদয় হয় ? আগেকার এরূপ অনেক তথাকথিত আধ্যাত্মিক গানের কথায় আমাদের মন সাড়া দেয় না। যেমন নরেশচন্ত্রের একটা গান – শ্যামাপদ আকাশেতে মন-ঘুড়িখান উড়তে ছিল কলুষের কুবাতাস লেগে গোত্তা খেয়ে পড়ে গেল । সাড়া দেয় না কারণ, আসল করিত্বের পরশমণিতে যে কাব্যান্থরাগীর মন একবার স্বর্ণবর্ণ হ’য়ে গেছে সে যতই কেন চেষ্টা করুক মনক্সপ ঘুড়ির গোত্তা খেয়ে পড়ে’ যাবার উপমায় কখনই সাড়া দিতে পারবে না। কারণ মন বস্তুটির ওরূপভাবে মাধ্যাকর্ষণের কবলিত হওয়ার মধ্যে বৈজ্ঞানিক তথ্যও থাকৃতে পারে বা আধ্যাত্মিক তত্ত্বও - - ---- -- حـاحهـ

  • ५-कथां कवि८णब्र कौर्डन-नश्वरख-विप्लवप्ठ६ छठौमांन, बिछां★छि <थष्ट्रठि कृ'कांबछब नष्ठाकाब कदिब्र ब्रछन-जचरक-थtषांखा नग्न । कांब्र१ <बरमब्र छानक गोtन छोtभब्र ७ ब्रांषांब्र ब्रशं दर्षनांब्र” जcणक्रांकूठ बिब्रभप्द्रब्र कबिठी थीकृष्ण७-छछठम कांबाब्रtनब्र७ यलांब cनदें । जांवि ॐीरशब्र विब्रह-जत्रौष्ठद्र कष ॐtझष करब' ७कष वन्हि बांब्र नषप्क ब्रवैौठानांष छब्रभ कषी लिcष' cनरश्न-“स्sथू वङ्कर8ब्र एडtब्र ६वकtवब्र नॉन ?” -

থাকৃতে পারে, কিন্তু একটা জিনিষ থাকৃতে পারে না যেটা হচ্ছে—কবিত্বের নামগন্ধ। যদি কেউ বলেন তা হোক বৈজ্ঞানিক তথ্য বা আধ্যাত্মিক তত্ত্ব কবিত্বের সত্যের চেয়ে মহান, তা হ’লে তার সঙ্গে আমাদের বিবাদ নেই। যেহেতু আমরা বর্তমানে আলোচনা করতে বসেছি— অধ্যাত্মিকতার নয়, কবিত্বের । কিন্তু পূর্বেই প্রসঙ্গতঃ বলেছি যে, পুরোনো অনেক বাউল ভাটিয়ালি প্রভৃতি লোক-সঙ্গীতের (folk-music) কথায় না হ’লেও স্বরে আমাদের আধুনিক মনও কম-বেশী সাড়া না দিয়েই পারে না। তার কারণ–এরূপ গানের স্বরের স্থান অনেক-সময়েই নিছক সাময়িকতায় উপরে। তাই সেগুলির আবেদন সরল হ’লেও হৃদয়স্পর্শী। অতুলপ্রসাদ এ-স্বরগুলির ছাচে তার কবিত্ব ঢেলে ষে গান তৈরি করেছেন তার মিলিত আবেদন দাড়িয়েছে—ভারি মনোজ । এ গানটিতে আপনারা দেখবেন কীৰ্ত্তন ও বাউলের ঢঙ কেমন স্বাভাবিকভাবে মেশানো হয়েছে। এখানে অতুলপ্রসাদের একটা স্বন্দর মৌলিকতা দৃষ্ট হয়। আমাদের বর্তমান বাংলার অনেক কবিই শুধু কীৰ্ত্তনে বা শুধু বাউলে উৎকৃষ্ট গান রচনায় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। কিন্তু বাউল ও কীৰ্ত্তনের স্বরের এ-ভাবে মিলন সাধন করে’ তা’তে কবিত্বের সাহায্যে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করায় কৃতিত্ব বোধ হয় অধুনাতন কবিদের মধ্যে—অতুলপ্রসাদের এককের । - তার আরও কৃতিত্ব এই যে, এ-মিলন-সাধনের পর্বে তিনি কোনো-কোনো স্থলে হিন্দুস্থানী ঢণ্ডকেও মেশাতে কৃতকাৰ্য্য হয়েছেন। ফলে হয়েছে এই যে, তার সহজ কীৰ্ত্তনবাউল-মেশানো গানেও হিন্দুস্থানী মনোজ্ঞ তানালাপের খানিকটা রস আমদানি করা যায় ; যেমন র্তার"ওগো আমার নবীন শাখী ছিলে তুমি কোন বিমানে” গানটিতে । এ স্বন্দর-করুণ গানটিতে কীৰ্ত্তন-বাউলের সঙ্গে হিন্দুস্থানী পিলুর রস দিয়ে যে ব্যঞ্জনাটি মূৰ্ত্ত হয়ে উঠেছে তার আস্বাদের বিচিত্রতা ও মনোহারিত্ব ঘেকোনো যথার্থ সঙ্গীতাকুরাগীর হৃদয়কে বোধ হয় স্পর্শ না করেই পারে না।