পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&bre তবে আর্টের বা কবিত্বের প্রকাশভঙ্গী—বড়-বড় কথা সাজিয়ে বল মাত্র নয়। তাই এই বস্তুটি না থাকলে . শিল্পের শিল্পত্ৰই লোপ পায় থাকে শুধু শুষ্ক ধর্শ্বোপদেশ বা বিজ্ঞশ্বন্ত অহৰ্ষিক যা যেতে পারে এক কানের মধ্যে, কিন্তু মরমে পশিতে একান্তই অক্ষম হ’য়ে উঠে। বৰ্ত্তমান যুরোপের একজন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক সত্যই বলেছেন, Art is a vision (Essence of Æsthetics of Croce). উদাহরণতঃ রবীন্দ্রনাথের - "ওহে জীবনবল্লভ ওহে সাধনস্থলভ আমি মর্শ্বের কথা অন্তর-ব্যথা কিছুই নাহি কবো” গানটি নেওয়া যেতে পারে। এ-গানটির ভাবে যে আমাদের মনে পুলক জাগে তার কারণ এ নয় যে রবীন্দ্রনাথ এ-গানটিতে • আমাদের অকাট্য যুক্তিবলে ঈশ্বরে ভক্তিমত্তার ঔচিত্য-সম্বন্ধে নিঃসংশয় করেছেন —তার কারণ এই যে, তিনি তার হৃদয়ের গভীর অনুভূতিটিকে র্তার অনুপম কবিত্বশক্তির জাছতে জাগিয়ে তুলেছেন। অতুলপ্রসাদের গানের কবিত্ব-সম্বন্ধেও তাই। অর্থাৎ তার ভক্তিরসাত্মক গান যে এত সহজে আমাদের আর্দ্র করে? তোলে তার কারণ এ নয় যে তার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার ভীষণ তিরস্কার বা নরক-যন্ত্রণার ভয়প্রদর্শন ফুটে উঠেছে ; তার কারণ—তিনি তার আন্তরিক মনোভাবকে র্তার স্বাভাবিক কবিত্বের সাহায্যে বড় স্বন্দরভাবে মূৰ্ত্ত করে তুলেছেন । আগেকার অনেক তথাকথিত আধ্যাত্মিক গানের সঙ্গে অতুলপ্রসাদের ভক্তিরসাত্মক গানের এইখানে কত বড় একট:তফাৎ আছে,সেটা অহুধাবনীয় মনে করেই এ-সম্পর্কে এত কথা বলা দরকার মনে করলাম। ( একথা অবশ্য বর্তমান বাংলার অন্য দুজন গীতিকবি অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ এবং দ্বিজেন্দ্রলালের গান-সম্পর্কেও খাটে )। অতুলপ্রসাদের দ্বিতীয় বিশেষত্বটির কথা আমি ইতিপূৰ্ব্বে একাধিক বার উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ তার কাব্যের **isso (word portaiture) s fosoft &GR আবেদনের সামঞ্জস্ত সাধন করার ক্ষমতা । ওখানে তার কৃতিত্ব খুবই বেশী বলে মনে হয়। তাই এ-সম্বন্ধে দুচারটি কথা একটু বিস্তারিতভাবে বলা দরকার মনে করছি। আমার সৌভাগ্যক্রমে আমি যুরোপে অবস্থান-কালে প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড জগতের নানা জাতির সঙ্গীত একটু ভালো করেই শোনবার অবসর পেয়েছিলাম।ঞ্চ তবে আজ অবধি যতরকম সঙ্গীত শুনেছি, তার মধ্যে হিন্দুস্থানী সঙ্গীতেৰ বিকাশের ধারা ও আবেদনই আমার কাছে সৰ্ব্ব-শ্রেষ্ঠ মনে হয়, একথা আমি বহুবার বলেছি। যুরোপের উচ্চতম symphony, choral singing, কীৰ্ত্তন, ভক্তিরসাত্মক গান,—সবেরই স্থান আমার কাছে হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের নীচে । আমি মনে করি জগতে দুটি সভ্যতা আছে যারা সঙ্গীতরাজ্যে মহত্তম স্বষ্টি করেছে – ( ১ ) যুরোপীয় সভ্যতা, harmony তে,—প্রধানতঃ জাৰ্ম্মানদেশে ও (২) ভারতবর্ষ, melody-তে,—প্রধানতঃ হিন্দুস্থানী সঙ্গীতে। অতুলপ্রসাদের গানের ভক্ত আমি প্রধানতঃ এইজন্ত যে তিনি হিন্দুস্থানী ঢঙ তার অনেক বাংলা গানেই আমদানি করেছেন। একথা বোধ হয় অত্যুক্তি নয় যে, বর্তমান বাংলার কবিদের মধ্যে এ ঢংকে বাংলা গানের মধ্যে সবচেয়ে স্বন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন—অতুলপ্রসাদ। নিধুবাবুই প্রথমে ওদিকে কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে বাংলা গানে হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের শুধু স্বর নয়, স্বগ্ন ঢঙের সঙ্গে বাংলায় কবিত্বের সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্ত হয়েছে বোধ হয় অতুলপ্রসাদের এই হিন্দুস্থানীচালের গানে, যদিও শুধু কবিত্বের দিক দিয়ে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কবি বা গীতিকবি বাংলাদেশে জন্মেছেন। তবে যেহেতু মনের উপর গানের কবিত্ব ও কবিতার কবিত্বের effect(কাৰ্য্য)ভিন্ন-রকমের,সেহেতু অতুলপ্রসাদের রচনাকে ছোট করে দেখা চলে না। কারণ র্তার রচনা হচ্ছে— প্রধানতঃ গীতিকাব্য, কবিতা নয়। তাই তার অনেক গানের অপেক্ষাকৃত সহজ সরল ভাবও স্বরের মধ্য দিয়ে যেভাবে ফুটে উঠেছে সেটা তার নিছক কবিত্বের সাহায্যে সেভাবে ফুটে উঠতে পারত না। অতুলপ্রসাদ হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের ভূতপূৰ্ব্ব কেন্দ্র লক্ষেীয়ে বহুকাল বাস করে শ্রেষ্ঠ

  • এখানে বলে রাখা ভালো যে আমার ভাগ্যে জার্মান, রুশ, ইতালীब्रन, कब्रांनी, cफकू, शंtत्रद्विब्रांन, फ्रांसिtनलिब्रांन, छांक.o श्रेन, श्रब्बी, জাপানী ও চীন সঙ্গীত শোনার নানান স্বষৌগ যুরোপে উপস্থিত হয়েছিল ।