পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । অতুলপ্রসাদ ও র্তাহার সঙ্গীত ©b°Ꮌ শ্রেণীর হিন্দুস্থান গানের সহিত গভীরভাবে পরিচিত হবার স্থযোগ পেয়েছিলেন–বিশেষতঃ ট্যুরির সঙ্গে । তাকে যারাই ব্যক্তিগত-ভাবে জানেন তারাই জানেন যে হিন্দুস্থানী গানকে তিনিকি-রকম মনে-প্রাণে ভালোবাসেন। বাঙালীর মধ্যে হিন্দুস্থানী গানের—বিশেষতঃ টপ্পার্টুংরি তালের গানের—এরূপ বিশেষজ্ঞ ও ভক্ত যে খুবই কম মেলে একথা তার বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে কারুর কাছেই অবিদিত থাকৃতে পারেন। শিল্পী তার শ্রেষ্ঠ স্বষ্টিতে নিজের গভীরতা-উপলব্ধিই প্রকাশ করে থাকেন—কেননা এইটেই হচ্ছে জীবনের ধৰ্ম্ম । গীতিকবি অতুলপ্রসাদের শিল্পের দিকে শ্রেষ্ঠ উপলব্ধি বোধ হয়—তার হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ। স্বতরাং তার চরম স্বষ্টিতে তিনি এ উপলব্ধিকে মূৰ্ত্তিমতী না করে’ই পারেন না। তাই তার গানে হিন্দুস্থানী সঙ্গীতানুরাগীর এতটা তৃপ্তি মেলা সম্ভবপর হয়ে ওঠে l * আমরা তার “বঁধুয়া নিদ নাই আঁখি পাতে” নামক বেহাগ গানটিতে যে রসটির পরিচয় পাই তা এত করুণমধুর হয়ে উঠেছে প্রধানতঃ এইজন্ত যে তার মধ্যে বাংলার কবিত্ব ও বৈষ্ণব কবির চিরন্তন চিরতম বিরহগানের স্বরের সঙ্গে খাটি হিন্দুস্থানী বেহাগের এক অপরূপ মিলন সাধন করা হয়েছে । অতুলপ্রসাদের আরও অনেক গানে এ-সামঞ্জস্তের বা মিলন-সাধনের s হৃদয়স্পশী পরিচয় মেলে, যেমন র্তার বাদল রুম ঝুম বোলে গানটিতে। এ-গানটি ষ্টুংরিখাম্বাজে রচিত। হিন্দুস্থানী সঙ্গীতে স্বল্প সৌন্দর্ঘ্যের বিকাশে টপ্পা ও বিশেষতঃ ঠংরির স্থান অতি উচ্চে বলে’ আমি মনে করি * যে সভ্যতা সৌন্দর্ঘ্যের রাজ্যে এ অপূৰ্ব্ব হষ্টি করতে পারে তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে যদি শিল্পী বা শিল্পীমুরাগী সম্প্রদায় একটু বেশীই উচ্ছসিত হ’য়ে ওঠেন, তবে

  • গ্রুপদী ও খেয়ালীরা এরূপ horesy শুনূলে হয়ত স্বচ্ছ বানে, কিন্তু তবুও আমি সত্যের খাতিরে বলতে বাধ্য যে সঙ্গীতের উচ্চতম বিকাশে ফুরির দাম অস্ত কোনো শ্রেণীর হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের চেয়ে কম

আশা করি সেটা আমার্জনীয় জাতীয় আত্মাভিমান বলে’ গণ্য হবে না। বস্তুতঃ আমি হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের বিকাশধারাকে শুধু হিন্দুর কীৰ্ত্তি বলে মনে করিনে—যেহেতু এজন্য আমরা মুসলমান-সভ্যতার কাছে গভীরভাবে ঋণী। তাই আমি এ স্বষ্টিকে মানুষের কীৰ্ত্তি মনে করেই গৰ্ব্ব বোধ করি। এ বিয়োগবহুল জগতে হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের অনুপম বিকাশ ও সৌন্দর্ঘ্য স্বষ্টির কথা মনে করে আমার কবির সঙ্গে বলতে ইচ্ছা হয়—Marvelous art thou ! O Spirit of Man In the midst gf thinothraldom thou hast createdthebeautiful"আমি আমাদের অপূৰ্ব্ব হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের মহিমময় বিকাশের কথা বলতে গিয়ে যে উচ্ছসিত হয়ে উঠি তা সত্যিই এই কথা ভেবে যে আমরা এত দুঃখ-দৈন্তের মাঝখানেও এমন সৌন্দর্ঘ্যের স্বষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। দুঃখের বিষয় সাধারণ বাঙালী—বিশেষতঃ শিক্ষিত বাঙালী— এ-সৌন্দর্ঘ্যের খবর বড়-একটা রাখেন না । এটা সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা এইজন্ত যে যথার্থ শিক্ষা ও cultureএর সংস্পর্শে এলে এ বিকাশ আরও কত মহনীয় হয়ে উঠতে পারত। অশিক্ষিত অহদার ওস্তাদদের হাতেই যখন এধারার এতটা সৌন্দৰ্য্য বজায় আছে তখন শিক্ষার সঙ্গে প্রতিভার যোগাযোগে যে এ-সৌন্দৰ্য্য শতগুণে বরেণ্য হ’য়ে উঠত এটা বোধ হয় অত্যধিক আশা নয়। তবে এ-বিকাশ সম্ভবপর হ’তে হ’লে আমাদের উচ্চশিক্ষিতদের হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের চর্চা করা একান্ত প্রয়োজন। স্বতরাং আমি অতুলপ্রসাদের গানকে আরও অভিনন্দন করি ও সেটা এই ভেবে যে, এ গীতি-কবির রচনার মধ্য দিয়ে বাঙালী এরসের সম্পূর্ণ না হ’লেও অনেকটা পরিচয় পাবে ও আদর করতে শিখবে । অতুলপ্রসাদ অনেক গান লিখেছেন ও তার মধ্যে এ-শ্রেণী হিন্দুস্থানী ঢঙের গান বড় কম নেই। উদাহরণতঃ তার কাফিসিন্ধুতে রচিত ‘মধুমাসে এল হোলি’ অথবা "বাদল রুম ঝুম বোলে’ গানটি নেওয়া যেতে পারে । এ-গান-ছুটির মধ্যে যথাক্রমে হিন্দুস্থানী নয়। তার একটা প্রধান কারণ এই যে ইংরিতে গায়কের expression · cप्रशांग्न ७ cभौलिकठl cनथांबांग्न चांशेौनष्ठां७ यछांछ cथनौङ्ग नांtनब्र cफ़रब्र বেশী। তবে এ-সম্বন্ধে আলাদা প্রবন্ধে আলোচনা করাই যুক্তিসঙ্গত। دس-۹8

  • The Great Hunger by Johan Bojer ( translation from the Norwegian ).