পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৮২ প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কাফির ও থাম্বাজের ঢঙ বড় মুন্দর খাপ খেয়েছে বলে’ মনে হয় । অতুলপ্রসাদ গজল স্বরে গুটিকতক বাংলা গান বড় স্বন্দর রচনা করেছেন, যেমন ‘কত গান ত হ’ল গাওয়া’ অথবা ঝরিছে ঝর ঝর' অথবা কেগো তুমি বিরহিণী’। অতুলপ্রসাদ ঠুংরির চালে অনেকগুলি গান রচনা করেছেন, একথা পূর্বেই বলেছি। তার মধ্যে "শ্রাবণ ঝুলাতে বাদল রাতে আয় কে ঝুলিবি আয়” গানটির মধ্যে পিলু সারণ বড় স্বন্দর ফুটে উঠেছে। শেষে অতুলপ্রসাদের কীৰ্ত্তনের দু-একটি দৃষ্টান্ত না দিয়ে বর্তমান আসরের সমাপন করা চলে না। পূর্বেই বলেছি এ গীতিকবি তার কীৰ্ত্তনের মধ্যেও একটু নূতনখের হাওয়া এনেছেন। এ-নূতনত্ব কখনও বা কোনো মেঠে। স্বরকেই স্বম্বর কথার সঙ্গে সাজিয়ে একটা উদাসভাবের প্রবাহ আনে, যেমন তার বাউলের সঙ্গে মেশানো কীৰ্ত্তনে –যেমন "যদি তোর হৃদযমুনা” অথবা "আর কত কাল থাকুব বসে’ ” গানটির মধ্যে। কখনও বা এ অভিনবত্বের আমদানি হয়—পুরোনো আসল কীৰ্ত্তনের মধ্যে দিয়ে ও আধুনিক ভাবকে ফুটিয়ে তোলার মধ্যে, যেমন র্তার “কতকাল রবে নিজ যশ বিভব অন্বেষণে” গানটিতে। বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান-পরিষৎ ঐ বিনয়কুমার সরকার o বাঙালীর দুর্বলতা বাঙালী ধনবিজ্ঞান বিদ্যায় বিশেষ কাচা । একথা বাঙালীরা নিজেই আজকাল “ঢাকৃ ঢাক গুড় গুড়’ না করিয়া সজ্ঞানে বলিতেছেন। দুৰ্ব্বলতাটার দিকে দেশের লোকের নজর যখন পড়িয়াছে তখন একটা দাওয়াই আবিষ্কার করিবার দিকে সমবেত বা দলবদ্ধভাবে মাথা খেলানো আবশুক । দেশের নিকট একটা প্রস্তাব পেশ করা যাইতেছে। আলোচনা প্রার্থনা করি । ধনবিজ্ঞান-বিষয়ক কেতাব বাঙালীর পেটে পড়ে নাই, একথা কেহই বলিবে না । পঞ্চাশ-যাট বৎসর ধরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চলিতেছে দেশের ভিতর । তাহার আওতায় এইসকল কেতাবের ঠাই আছে। তাহা ছাড়া বিদেশেও বাঙালীর ব্যারিষ্টার ও ম্যাজিষ্ট্রেটু হইবার জন্য এইসকল বই পড়িয়ছেন আর একালে শিল্প-বাণিজ্যাদি-বিষয়ক বিদ্যা দখল করিবার জন্ত বিদেশী শিক্ষাকেন্দ্রে ধনবিজ্ঞানের চর্চা অনেককেই অল্পবিস্তর করিতে হইয়াছে। তথাপি বাঙালীর ইংরেজী বা বাংলা সাহিত্যে ধনবিজ্ঞানের ছাপ পড়ে নাই । কি দৈনিক, কি মাসিক, কি গ্রন্থ, কোনো রচনায়ই বাঙালীকে ধনবিজ্ঞান-দক্ষ বলা চলিবে না। এমন কি বিশ বৎসর ধরিয়া যে উত্তরোত্তর চরম মতের রাষ্ট্রীয় আন্দোলন চলিতেছে তাহার আবহাওয়ায়ও এই বিদ্যার অভাব যৎপরোনাস্তি। স্বদেশ-সেবকেরা, রাষ্টিকের ভক্তিযোগের ভাবুকতা প্রচার করিয়াছেন। আদর্শ, কৰ্ত্তব্যজ্ঞান, ত্যাগনিষ্ঠ, ইত্যাদি বিষয়ক জীবন-দর্শন সমাজের নানা ঘাটিতে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। এইসব তুচ্ছ করিবার বস্তু নয়। কিন্তু তবুও আন্দোলনট"দেশের মাটিতে" আসিয়া শিকড় গাড়িতে পারে নাই। ধনদৌলতের কথা নিরেটভাবে পাকৃড়াও করিবার মত মাথা আজও বাঙালী-সমাজে দেখিতে পাই না । ধনবিজ্ঞানের “ল্যাবরেটরি” আসল কথা, ধনবিজ্ঞান বইয়ের বিদ্যা নয়। কেতাব