পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] পাঠ করিয়া এই বিদ্যা দখল করা অসম্ভব । রসায়ন বিদ্যাট গ্যাস-বিষ-“ণ্ডযুদ্ধ” চালাচালির বিদ্যা,—কেতাবী শাস্ত্র নয়। যন্ত্রপাতি,লোহা-লক্কড় ঘাটাঘাটি না করিতে পারিলে এঞ্জিনিয়ারও হওয়া যায় না । কলকজায় আঁতকাইয়া উঠিয়া কেতাবের চিত্রগুলা লইয়া ভাবে বিভোর হওয়া এঞ্জিনিয়ারিং বা পূৰ্ববিদ্যার সাধনা নয়। “ল্যাবরেটরি” আর “কারখানা” হইতেছে রসায়ন পুর্তের জন্মভূমি। ধনবিজ্ঞানের জন্মভূমিও ঠিক এইরূপই কতকগুলা “ল্যাবরেটরি” আর “কারখানা”। বাংলা দেশে যাহার চাষ চালাইতেছেন, ব্যাঙ্ক চালাইতেছেন, তেল তৈয়ারী করিতেছেন, পাটের দালালিতে মোতায়েন আছেন, কলে আমদানি-রপ্তানি করিতেছেন, সেইসকল বাঙালীর চিন্তা ও অভিজ্ঞতাই ধনবিজ্ঞানের মশলা । নাই-নাই করিতে-করিতেও এই শ্রেণীর “ধন-স্রষ্টা” বাঙালী-সমাজে আছেন অনেক। কিন্তু র্তাহাদের চিন্ত ও অভিজ্ঞতা অর্থাৎ জীবনটা লইয়া “দার্শনিক” আলোচনা করবার প্রয়াস দেখা যায় না। বাংলা দেশ এবং বাংলার ইংরেজী বা বাংলা সাহিত্য এইসকল “জীবন” বিশ্লেষণ করিয়া দেখে নাই । ধনবিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি আর কারখানা চালাইতেছেন সরকারী চাকুর্যেরাও। র্যাহারা ডাকঘর, রেলওয়ে ইত্যাদি কৰ্ম্মকেন্দ্রের উচ্চতর পদে বাহাল আছেন, সেইসকল বাঙালীর অভিজ্ঞ ত৷ এই বিদ্যার উপকরণ । খাজনা আদায় করার বড়-বড় আফিসে যেসকল বাঙালীর ঠাই, নগর-শাসনে, স্বাস্থ্য-বিভাগে, লোকগণনার কাজে, জেলার তত্ত্বাবধানে এবং অন্তান্ত কাৰ্য্যালয়ের আবহাওয়ায় র্যাহার কথঞ্চিৎ মোট মাহিয়ানা পান র্তfহাদের দৈনিক কাজকর্মের ভিতরও ধনবিজ্ঞান বিদ্যার খুটা গুলা লুকাইয়া রহিয়াছে। এই শ্রেণীর বাঙালী বাংলার চিন্তা সম্পদকে ঐশ্বর্যশালী করিয়া তুলিতে চেষ্টা করেন নাই। রমেশচন্দ্র দত্ত বোধ হয় এই হিসাবে “সবেধন নীলমণি”। গণিত ও ধনবিজ্ঞান আর্থিক বাস্তবের সঙ্গে যোগ না থাকায় বাংলাদেশে বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান-পরিষৎ NA ধন-বিজ্ঞান জন্মিতে পারে নাই। আর-একটা কারণ কিছু স্বল্প । বাংলা দেশে যেসকল বাঙালী ধনবিজ্ঞান-বিদ্যার কেতাব ঘঁটিয়া থাকেন তাহারা সকলেই "আঙ্কে কাচা ।” অথচ যোগ-বিয়োগ গুণ-ভাগে যে ব্যক্তির আত্মারমি চমকিয় উঠে, তাঙ্গর পক্ষে ধনবিজ্ঞানে বেশীদূর অগ্রসর হওয়া কঠিন। ডাইনে-বায়ে অঙ্ক ছাড়া ধনবিজ্ঞান আর কিছুই নয়। সংখ্যাগুলা এই বিদ্যার প্রাণ । সকলেই জানেন যে, পাটীগণিতের যেসকল ༥རྨ་གྷ༠༠༠་ পাঠশালার নিয়তম শ্রেণীতে কষা হয় সে সবই আগাগোড়ী হাটবাজার, ভাগ বাটোআরা, দডিসকাউন্ট ইত্যাদির মামলা । সেকেলে শুভঙ্কর আর একেলে গণিতকার উভয়েই ধনবিজ্ঞানের কারবার করেন। किरू शनबिखान रिझर्गात्र डिख्छe cय अक*ीरजत्र ঘর অতি বড়, সেকথা সাধারণের মনেষ্ট আসে না । মনে আসে না বলিয়াই অঙ্কে যাহার কাচা তাহারা বিশ্ববিদ্য'লসের ধনবিজ্ঞান-কাশে নাম লিখাষ্টয় থাকেন। কথাট ঠিক কিনা ? সেকালে ছিল এদেশে “এ” কোসের বি-এ পরীক্ষী । প্রাথমিক ধনবিজ্ঞান এই লাইনের অন্যতম পাঠ্য ছিল । এই লাইনে থাকিয়া অঙ্কশাস্ত্রকে পুরাপুথি “বয়কট" করা চলিত। আর আজকালকার বি-এ-তে বোধ হয় প্রথম হইতেই অঙ্কের সঙ্গে “অসহযোগ” । কাজেই যত রাজ্যের যে-যে ছাত্র অঙ্কে কাচা সকলে আসিয়া জটি অধম-ভারণ খনবিজ্ঞানে। আর এই “কোঠে” নিরাপদ থাকিয় তাহারা সকলেষ্ট অঙ্ককে দেখায় “কলা” । ফল অতি স্বাভাবিক। নীলমলাটওয়াল সরকারী “রিপোর্ট” কেতাবগুলো যখন আমরা দৈবক্রমে ধটিতে কুরু করি তখন অঙ্ক সমূঙ্গ বাদ দিয়া পড়িতে লাগিয়া शाहे একমাত্র “বকৃত” গুল। খবরের কাগজের বাণিজ্যপৃষ্ঠাটার “বাজার দৰ", হ্যাঙ্কের অঙ্ক ইত্যাদি পাঠ করেন এমন ধনবিজ্ঞাম-সেবী বাঙলা কয়জন আছেন জানি না । কাজেই শেষ পর্যন্ত ধনবিজ্ঞানের "রিসার্চে” aমাতায়েন হইবার পর আমরা আলোচনা করি প্রাচ্যে:পাশ্চাত্যে