পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

حتي ©b~ মায়ের ঘর কোন্‌টা বলতে পারে। —সেই যে কাল কলতলায় ধে পড়ে’. গিয়েছিল ? গতকল্য কল-তলায় জল ধরিতে গিয়া ভtহাদের মেয়েরা ও রীতিমত নির্ধ্যাতিত হইয়া আসিয়াছে, কাজেই এই হিন্দুস্থানী ছোকৃরার কাল হইতে হোষ্টেলের ওই বাঙ্গালী ছোকুরীদের উপর রাগে মনে-মনে ফুলিতেছিল । আঙ্গ এই অজিতের মুথে বাংলা-কথা শুনিয় তাহারা স্বার অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা করিল না । একজন জিজ্ঞাসা করিল, কিপারসে আতা ? কোন হ্যায় তোম্ ? অপর একজন বলিয়া উঠিল, উহি মোকানক বাংগালী লউগুী হোগা— এমুনি করিয়া অজিতকে আর কথা বলিবার সময় ন৷ দিয়; কেহ বলিল, পাকুড়ো উসকে । কেহ বলিল, চোট। হয় । কেহ বলিল, ডাকু হায় । সঙ্গে-সঙ্গে মাদু মার করিয়া সকলে লাফাইয়া উঠিল । সমস্ত বস্তির মধ্যে একটা গোলমাল হৈ-চৈ পড়িয়া গেল । মেয়ের কেহ লাঠি, কেহ কেরোসিনের "লম্ফ হাতে লইয়া উঠানে আসিয়া জড় হুইল । গোলমাল শুনিয়া ইম্পিরিয়াল হোষ্টেল হইতে ম্যানেজার, প্রোফেসীর, পঞ্চানন, রমেশ-প্রমুখ সকলে মিলিয়। মজ দেথিবীর জন্য একেবারে রান্নাঘবের ছাতে আসিয় দাড়াইল । অজিত তাঙ্গদের দু-একটা কিল-ঘুষি খাইয়াই তাড়াতাড়ি সেখান হইতে চলিয়ু আসিতেছিল কিন্তু ম্যানেজারের তীক্ষু চক্ষু সে এড়াইতে পারিল না । বস্তি হইতে এই অন্ধকার রাত্রিতে অজিত বাহির হইয়। আসিল, এবং এই গোলমাল নিশ্চয় তাহাকে লইয়াই, ম্যানেজার-বাবু নিমেযেই তাহ ধরিয়া ফেলিলেন। রমেশ পাশেই দাড়াইয়াছিল । তিনি তাহার হাতে একটা ঝাকানি দিয়া বলিয়। উঠিলেন, কেমন ? বলেছিলাম কি ন রমেশবাবু, আপনার ‘ফেরেগু’র ইয়ে তেমন স্থবিধে নয়, তা আমি কালকের সেই ব্যাপারেই বুঝতে পেরেছি। হেঁ হেঁ বাবা, মাহুষ চরিয়ে খাই, আর একবার দেখলে মানুষ চিনতে পারিনে । কিন্তু শুহন রমেশ বাবু, আমি প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড অনেক ভদ্রলোকের ছেলে বাস করে, আপনার কিছু আপত্তি আছে ? রমেশ চুপি চুপি বলিল, আপদ বিদেয় হলেই বাচি ম্যানেজার-বাৰু, বুঝতে পারছেন না আমার অবস্থা ? ঘাড়ে এসে চড়ে’ বসেছে । প্রোফেসার বলিয়া উঠিল, never mind. 853 immoral caifesto ao afa strog «ta' drive out tra' first i si Ri k'te, we must not live here. এমন সময় অজিত উপরে উঠিয়া আসিয়। ঘরে ঢুকিতে ধাইতেছিল, পশ্চাৎ হইতে ম্যানেজার-বাবু হাকাইয়া বলিয়া দিলেন, কে, অজিতবাবু নাকি ? দ{ড়ান গুইখানেই । তাহার পর তিনি নিজেই ঘরে ঢুকিয়া বলিলেন, কি কি জিনিষ আছে আপনার বলুন, বের করে দিই । ব্যাপারটা অজিত কিছুই বুঝিতে পারিল না । বলিল, কেন ? কি ? সে-এক বিশ্ৰী অভদ্রোচিত মুখভঙ্গী করিয়৷ ম্যানেজারবাবু বলিলেন, ন্যfকা ! কচি খোকা আর কি ! কিছু বোঝেন না ! একাদশীকে ফাকি দিয়ে ডুবে জল খেলে’ চলে না বাবা । এই ত এই গামছা, এই কাপড়, আর কি ? ঘরের কোণে অজিত তাহার ছাতাটা দেখাইয় দিয়৷ বলিল, ওই ছাতিটা । ম্যানেজার-বাবু এই তিনটা জিনিয বাহিরে নামাইয়। দিয়া বলিলেন, যা’ন, অন্যত্র চেষ্টা দেখুন। আর বেশী গোলমালে কাজ নেই। আমার পাওনা, দুই দুই-চার, BB AkS B BBS SBBBB BBSL BBSBBS BSBS KSYS পাচে পচিশ আম,–একটাক। ন’ অrনা। দিতে হয় দিন, না হয় আমার ভাতের পয়সা ডুববে না, আর-জন্মেও শোধ করতে হবে । হরিবোল ! হরিবোল! ছি, ছি, এইসব দুষ্কৰ্ম্ম থেকে পরিভান আর কবে পাবে রে বাব ! পকেট হইতে টাকা দুইটি বাহির করিয়া অজিত র্তাহার হাতে দিয়া বলিল, নিন আপনার পাওনা । ম্যানেজার-বাবু টাকা-দুইটি মাটির উপর বার-কতক বাজাইয়া লইয়া বলিলেন, কত ফেরৎ হচ্ছে তা হ’লে ?