পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&3De প্রবাসী—কাত্তন, రిరి [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SS S BB BBBB BBBBB BBB BBBB BBB DB BBBBBS BBB BBBBB BB DDD BBBS BDD BDD DBB BBBDDSBBB DB BDDD BBBB BBBB BB BBB BBBB BBB BB নম্বা পথে চলিতে থাকিবে । সেই নয়। পথের প্রধান শক্তি-যোগের নবীন ভাবুকতা। বামুন-বাদী স্ত্রী অরবিন্দ দত্ত একাদশ পরিচ্ছেদ একমাত্র লেখাপড়ার অভাবে কানাইলালের কেন— তাহাদের সমস্ত জাতিটারই অমূল্য সম্পদ যে গোপনে অবহেলায় পড়িয়া রহিয়াছে, এবং সমগ্র জাতিটা যে জুনিয়ার কাছে অত্যন্ত হেয় হইয়া মাথা হেঁট করিয়া জাছে, বালক হইলেও একথা যখন কানাইলালের মনে পরিষ্কার ফুটিয়া উঠিল, তখন সে এই প্রচ্ছন্ন সম্পদ লাভ করিবার জন্য এমন লুব্ধ হইয়া পড়িল যে, সে পরম উৎসাহে মহেশ্বরীর নিকট পড়াশুনা আরম্ভ করিয়া দিল। তাহার পড়াশুনার জালায় স্বখেন্দু বিব্রত হইলেন, শৈলবালা অস্থির হইল, কিন্তু মহেশ্বরী একটা গৌরব ও তৃপ্তি অনুভব করিতে লাগিলেন। যেখানে তাহার বুঝিতে গোল ঠেকে, সে স্বখেন্দুর নিকট ছুটিয়া যায়, শৈলবালাকে জিজ্ঞাসা করেও কিন্তু মহেশ্বরীকে পাইলে তাহার আর কাহাকেও দরকার হয় না । মহেশ্বরী যাহা শিক্ষা দিতেন, তাহার চরিত্রে আবার তাহার বিকাশ দেখিতে চাহিতেন। পাঠ মুখস্থ করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য তিনি মনে করিতেন না। তিনি বলিয়া দিতেন, “আজ যাহা শিখিলে, তোমার চরিত্রে যদি সেসকল দেখিতে না পাই, তাহা হইলে কিছুই শিখা হয় নাই বুঝিতে হইবে।” এইরূপে কানাইলাল দিন-দিন পবিত্র ও পরিবর্তিত হইয়া উঠিতে লাগিল। তাহার ব্যবহারে পাড়া-প্রতিবাসী সকলেই তাহাকে স্নেহ ও শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতে লাগিলেন। সে ভদ্রতায় ও ব্রাহ্মণ্যে ভদ্রব্রাহ্মণকে হার মানাইতে লাগিল । একদিন দ্বিপ্রহরে বলাই ও কানাই দুইপাশে বসিয়া মহেশ্বরীর মাথার পাকা চুল বাছিয়া দিতেছিল। হঠাৎ কানাই জিজ্ঞাসা করিল, “বড়-মা, বলাই লেখে,—বলাইলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ; হরি লেখে,-হরিচরণ মিত্র ; আমি কি লিখব ?” আকস্মিক প্রশ্নে বিত্রতা মহেশ্বরী একটু সামূলাইয়া বলিলেন, “তুমি লিখবে,—ইযুক্ত কানাইলাল মজুমদার।” নিয়ত একটার পর একটা বাধা-বিল্পের বেদনার মধ্যে বাগদী কথাটা তাহার মনের মধ্যে যেন সৰ্ব্বদা কে খোচাইয়া রাখিয়াছিল। কিন্তু সে এসম্বন্ধে আর কোনো প্রশ্ন করিতে সাহস করিল না। কিছুকাল সকলে চুপচাপ করিয়া থাকিবার পর কানাই কহিল, “ষা: ! সবই যে পেকে গেছে বড়-মা—এর আর বাছব কি ?” উদাসম্বরে মহেশ্বরী কহিলেন, “ডাকও পড়েছে— এখন যেতে পারলে হয়।” কানাই জিজ্ঞাসা করিল, “কি ডাক্‌--বড়-মা ?” হাসিয়া মহেশ্বরী বলিলেন, “এই যমরাজা তলব করেছেন, এখন গুছিয়ে-গাছিয়ে যেতে পারলে হয়।” যমরাজার নাম শুনিয়া কানাই শিহরিয়া উঠিল । এবং মহেশ্বরী যাহা বলিতেছেন তাহার একটা সাধারণ অর্থও সে বুঝিয়া লইতে পারিল। সে কহিল, “হ্যা—তুমি ত আর বুড়ো হওনি ?” মহেশ্বরী কহিলেন, “দাত পড়ে গেল—চুল পেৰুে গেল, এখনও বুড়ো হ’তে বাকী আছে ?”