পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ* লীর কাছে অন্ধক্ষণ তাহাকে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া তেন, "একটু চলাফেরা কর। হাত-পা আড়ষ্ঠ হ’য়ে গেল ৰেr - - সে কথা বলিত না, সেইরূপই বসিয়া থাকিত । তিনি গায়ের জালায় ছটফট করিতে থাকিলে সে কাছে আসিয়া ঝুঁকিয়া পড়িয়া বলিত, “বড়-মা, বাতাস করব ?” মহেশ্বরী বলিতেন, “কর।” পাখা টানিতে-টানিতে তাহার হাতে ব্যথা হইয়া যাইত, তবুও সে হাতের পাখা নামাইত না । মহেশ্বরীর অমুযোগও সে শুনিত না । তাহার মন-প্রাণ কেবলই সদ্ধান করিয়া ফিরিত,—কোন ডাক্তার আসিলে—কি 8रुक्ष খাইলে তাহার বড়-মা শয্যার উপর উঠিয়া বসিতে পারিবেন। শৈল আসিয়া বলিতেন, “কানাই, বাবা, মাত এখন ঘুমুচ্ছেন, এখন একটু বেড়িয়ে এস।” কানাইলালের মনের মধ্যে মহেশ্বরীর সেই পাকাচুলের কাহিনী ঠেলিয়া-ঠেলিয়া উঠিত—সে যাইতে পারিত না। কেবলি ভয় হইত বুঝি বা মা তাহার অসাক্ষাতে ফাকি দিয়া পলাইবেন । মহেশ্বরী স্বস্থ হইয়া উঠিলে তাহার অন্তরের বিপ্লব থামিত। সে পড়াশুনা, খেলা-ধূলায় মন দিতে পারিত। এইরূপে যেন মাতৃহৃদন্থের বাদ্যধ্বনি—সন্তানহৃদয়ের স্বমধুর সঙ্গীতের সহিত একস্থানে আসিয়া সম্মিলিত হইতেছিল । একদিন মুখে হাসিতে-হাসিতে আসিয়া জননীকে কহিলেন, “মা কানাই বালক হ’লেও ওর উপর আমার আড়ি-ভাব আসে।” - মহেশ্বরী জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” “ও যেন মাতৃ-স্নেহ পেতে আমার দিক্কার সমস্ত অদ্ধিসদ্ধিগুলিই বন্ধ করে দিচ্ছে।” - মহেশ্বরী হাসিয়া কছিলেন, “কেন ?” “তোমার অন্বখের বেলা ও যেন আমাকে অত্যন্ত খাটাে করে দেয়।” “কিসে খাটো করে ?” স্বখেন্দু বলিলেন, “তোমার প্রতি যেরূপ একান্ত সেবা নিয়ে ও গভীর দৃষ্টি দিয়ে বসে থাকে তাতে আমার সেবা ●यवागैी-कॉरून, >७७० ২৪শ ভা, ২য় খণ্ড বৃত্তিগুলো সব নেমে পড়ে ঠেলে উঠতে জোর । • श्रृंींश्च नां * - - মহেশ্বরী হাসিয়া কহিলেন, "ছেলেকে ফেলে পালিয়ে বেড়াবার ইচ্ছা করিস-—তাইত খাটো করে।” স্বখেন্দু ভালো বুঝিতে না পারিয়া জননীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। মহেশ্বরী কছিলেন, “ওকে যেদিন শৈলকে দিয়েছিলাম সেইদিন তোমাদের বোঝা উচিত ছিল,—বলাই ও কানাই এর মধ্যে কোন ইতর-বিশেষ নেই। সে-কথা তোমরা ভাবতে পারো না, তাইত ও আমাকে আমন জোকের মতন কাম্ড়ে ধরে। কাউকে ত আশ্রয় করে' বঁাচতে হবে।" স্বখেন্দু লজ্জিত হইলেন। বলিলেন, “যতটা পারি তা কি আর করিনে!” - মহেশ্বরী কহিলেন, “করো। কিন্তু ওর ত একটি দায় না। পেটের দায়—স্নেহের দায়—সংসারে দাড়ানোর দায় । এতগুলি দায় ওর—তা বোঝে না।” স্বখেন্দু কহিলেন, “ত কি আর বুঝিনে, মা ?” মহেশ্বরী বলিলেন, “বোঝে—কাঙাল ব’লেই বোঝে । কিন্তু এতগুলি তোড়জোড় দরকার যার, তা’কে কি দিতে হয় বোঝে না।” * “ওর যা দরকার তা কি ও পাবে না ?” মহেশ্বরী কহিলেন, “তোমরা দরকারগুলো একটু আলগা-রকমে ৰোঝ। নিরাশ্রয় দেখলে টাকার দরকার বোঝ—তা’কে টাকা-পয়সা দাও—তা’তে তার ব্যথা স্বায় না।”

  • কেন ?” মহেশ্বরী কহিলেন, “সংসারে যার মা নেই তার মায়ের দরকার, যার বাপ নেই তার বাপের—যার ভাই নেই তার ভায়ের দরকার । তোমরা ভুল বোঝে+—আর ভুল দাও, তাতে ব্যথা জুড়োয় না।”

মহেশ্বরীর চরণ-দুখানির প্রতি স্বখেন্দুর অশ্রু-আর্দ্র চক্ষু ছুটি উজ্জল হইয়া স্থির হইল। তিনি কহিলেন, “তোমাকে মা পেয়েছি, কিন্তু আমার এমনিই কপাল যে, আজিও ঐ আধার থেকে কোন উপকরণই সংগ্রহ ও সঞ্চয় করতে পারিনি।”