পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tS8 [ २8° छांनं, २ग्न थ७ ডুবাইয়া উঠাইয়া হাফাইতে-হাফাইতে নৌকায় আলিয়৷ উঠিল । তার পর নৌকার গলইয়ের উপর বসিয়া পা ধুইয়া শাস্তি ও বলাই ঘে-পর্দার মধ্যে অবস্থান করিতেছিল তথায় প্রবেশ করিল। এবং তাড়াতাড়ি বন্ধন মুক্ত করিয়া স্বপক্ক কুলগুলি শাস্তির নিকটে রাখিয়া দিল। কানাইলালের এই মিষ্ট আদরে শাস্তির চক্ষু-দু’টি ছল-ছল করিয়া উঠিল । ছোট ভাইটি এত ভালোবাসে । সে কহিল, “একি ! কানাই, এসব আনৃতে গেলে কেন ?” কানাই তাহার দীন নেত্র-ছুটি শান্তির মুখের উপর স্থাপিত করিয়া কহিল, “তুমি যে সেদিন খেতে চেয়েছিলে ।” 蟻 • শাস্তি কহিল, "ও মা ! তাই বুঝি মনে করে রেখেছ, এইজন্তে সকাল থেকে তোমাকে পাওয়া যায়নি । আমরা কতকঙ্কণ তোমার অপেক্ষ করে’ বসেছিলাম। মাঝিরা শুনলে না—তাই এলাম। বলাই যাচ্ছে, তুমিও চলে। আমার সঙ্গে—নইলে বড় কষ্ট হবে ।” কানাই শাস্তির মানলিক অবস্থা বুঝিতে অনেকটা চেষ্টা করিলেও সে নিজে যে উত্তর প্রদান করিল তাহাতে তাহার নিজের অন্তরের এই বিচ্ছেদ-ব্যথার উন্মত্ত বেগও ততটা প্রকাশ করিতে পারিল না—যতটা তাহার অস্তরেঅস্তরে বাজিতেছিল। সে কহিল, “বড়-মাকে না বলে’-কয়ে কি খাওয়া ধtয় ?” শাস্তি কহিল, “এই ত পথ দিয়ে কত লোক যাচ্ছে— এদের দিয়ে একটা খবর পাঠালেই হবে । তিনি কিছু বলবেন না।” : বলাই কহিল, "দাড়াও—আমি বলে পাঠাচ্ছি। বড়মা যদি শুনতে পায়, তুমি দিদির সঙ্গে গেছ, তা হ’লে কি আর কিছু বলবে ?” বলাই বাহিরে আসিয়া নদীর কিনারা-পথ ধরিয়া বাহারা চুলিতেছিল তাহাদেরই ভিতর একজন পরিচিত লোককে ডাকিয় বলিল, “তুমি জমিদার-বাড়া গিয়ে আমার বড়মাকে একটা খবর দিও যে,—কানাই-দা দিদির সঙ্গে চলে’ গেছে। এখুনি ধবে ত ? নইলে তিনি ব্যস্ত হবেন ।” লোকটি তাহদের প্রজা । সে কহিল, “আচ্ছা ।” কানাই কিছু গম্ভীর হইয়া বসিল । তাহার অস্তরের ষে গৃঢ় কথাটিলে গোপন করিতে যাইতেছিল শাস্তি তাহা । .আলগা করিয়া দিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বড়-মাকে ছেড়ে থাকৃতে পারবে ত, কানাই ?” . কানাই লজ্জিত হইয়া কহিল, “ত পার্ব। কাপড়চোপড় আনলাম না কিছু—তাই— ।” বলাই কহিল, “সেজন্তে ভাবনা কোরো না। আমি ত দু’জোড়া জুতো—চার পাঁচ টা জামা মোজা কাপড় সবই এনেছি।” কানাই কহিল, “বড়-মা কিছু মনে ভাববে না ?” শাস্তি কহিল, “কি ভাববেন?” “এই না-বলে’ যাচ্ছি ?” “তার আর কি ভাববেন তিনি। বাড়ী এসে বোলে! দিদি ছাড়লে না—তাই গেলাম।” বলাই কহিল, “আমরা ত পাচসাত দিনের বেশী থাকৃব না। দিদি থাকৃবে, আমরা চলে আসব, বাবা ত তাই বলে’ দিয়েছেন।” কানাই একটা নিঃশ্বাস ছাড়িয়া চুপ করিয়া বসিল । বলাই তখন মাঝিকে নৌকা ছাড়িয়া দিতে বলিল। নৌক৷ আবার চলিতে আরম্ভ করিল। এদিকে বাড়ীতে মহেশ্বরী তখন পূজায় বসিয়াছিলেন । কিন্তু মন বসিতেছিল না। কানাইকে যে অনেকক্ষণ দেখেন নাই । কোথায় গেল ছেলেটা তিনি এক-এক বার আসন ছাড়িয়া দ্বারের কাছে দাড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, “শৈল, কানাই এল ?” শৈল বলিতেছিল, “ন, এখনও আসেনি।” তিনি আবার যাইয়া পূজায় বসিতেছিলেন । মহেশ্বরী তাহার প্রাণের অব্যক্ত রোদন দেবতার পদে নিবেদন করিয়া, পুঞ্জ শেষ করিয়া বাহিরে আসিলেন। শৈলকে ডাকিয়া কহিলেন, “সেই সকালে বেরিয়েছে, এখনও এল না, আর ত নিশ্চিন্ত থাকা যায় না।” শৈল কহিল, “তাই ত, থাবার বেলা হ’ল, এমন ত কোনো দিন থাকে না । তুমি একবার লোক পাঠাতে বলে দাও-খোজ করে আসুক।” মহেশ্বরী স্থথেন্দুকে ডাকিয়া সকল কথা বলিলেন । স্থথেন্দু তৎক্ষণাৎ চারিদিকে লোক পাঠাইলেন। তাহারা