পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৩

&aఆ _ - প্রবাসী TarunnoBot (আলাপ)ь - रुंने, సిరితి: u২৪ল ভাঙ্গ; ছয় গ্রগু : অভাবে মন স্থির করা তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল। পাইলেন না । ভোর রাত্রে তিনি ঘুমাইয়া পড়িলেন। কানাইলালকে তিনি যে-শৃঙ্খলে বাধিয়াছিলেন সমস্ত কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখিয়া জাবার তখনি-তখনি জাগিয়া রাত্রি জাগরণ করিয়া তিনি যেন সেই শৃঙ্খল টানিয়াটানিয়া ঘর বোঝাই করিতে লাগিলেন । কিন্তু শৃঙ্খলেরও শেষ হইল না, তাহার প্রাধিত বস্তুটিরও নাগাল , একদিন বসন্ত- や5 মোর সাথে জ্যোৎস্নামাখা দিগন্তের বুকে এসেছিলে চুপে-চুপে তুমি ; পদ চুমি” চন্দ্রালোক লুটেছিল স্বখে । আলো পড়ে’ কালো চোখ তোর প্রিয়া মোর জলেছিল চমকি সঘনে । নিশালোকে ছনয়ন ভরে’ দেখে তোরে দিয়েছিন্তু সে সুখ-লগনে প্রথম-ধেীবন-ভালোবাসা সব আশ। হৃদয়ের ব্যাকুল স্পন্দন । সে-নিশার স্বপ্ন-অবসানে তোরি দানে হৃদি মোর মরণ-বন্ধন পরেছিল মত্ত কি আশায় ; : ভোরি পায় ঢেলেছিল চির অশ্রধারা । বেদনায় সার্থী নাই মোর, শুধু তোর স্মৃতিস্পশে হই দুঃখহারা। সময়ের মহাক্সোত-মাঝে তোরে কাছে . পেয়েছিল্ক কভু ক্ষণতরে, সে-মিলন জলবিন্দুসম বুকে মম পড়েছিল মরুভূমি’পরে । হাসিমাখা তোর আঁখি ফুটি সব লুটি নিয়েছে যে মোর মন থেকে, সেই দিন শুভ্ৰ চন্দ্রীলোকে স্মৃতি উঠিলেন। স্বপ্নে জাগরণে কানাইলালের চিন্তা তাহাকে ঘিরিয়া ধরিয়া ছিল । ( ক্রমশ: ) মোর চোখে স্বপ্নময়ী জ্যোতিটুকু রেখে । নাই সখি, মিলনের আশা, ভালোবাসা আসিবে না তোর বক্ষ হ’তে, স্থখ দুঃখ সৰ্ব্ব রুদ্ধ করে’ তোর তরে রবো আমি দীর্ণ এজগতে । উষার আলোকৃ-রশ্মি-ধারা বন্ধহার। এসেছিল জাগরণ-মাঝে রজনীর তারকার বাণী বক্ষে আনি’ দিয়েছিল তোরে নব সাজে, কল্পনার জয়মাল্য বুকে স্তন্ধ দুখে কেটে যায় দীর্ঘ দগ্ধ বেলা, গোধূলির অৰ্দ্ধ-অন্ধকারে স্মৃতি-দ্বারে নেচে উঠে শূন্ততার খেলা । বসন্তের স্নিগ্ধ সমীরণে মোর মনে বাজে শুধু ক্ষুব্ধ এ বারতী— · কোথা যায় দীর্ঘ দিনগুলি পথ ভুলি’, নাহি জানি. তোর মনকথা!! একদিন বসন্ত-নিশাতে মোর হাতে হাতখানি রেখেছিলে ধীরে,— আজো আছি তারি স্থতি নিয়ে, - ওগো প্রিয়ে, দাও সেই স্পর্শটুকু ফিরে’। --