পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ७०७ প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ २8* छां★, २ग्न थ७ मैंiफ़ाहेष्ठां ब्रह्नि । किकूग१ भटब्र मशैव खेटैिग्ना बनिज, “বোঁদি, এখন হোষ্টেলে চললাম। খেয়ে-দেয়ে ও বেলায় পারি ত আসব।” কমলা ফিরিয়া দাড়াইয়া শাস্তুস্বরে কহিল, "অনেক রান্না-বান্ন হয়েছে, এখানেই খেয়ে যাও।” দ্ধিপ্রহরে খাওয়া-দাওয়া কাজ-কৰ্ম্মের পর সমস্ত বাড়ী বিশ্রামের কোলে ধীরে-ধীরে নিস্তব্ধ হইয়া পড়িল । কমলা প্রতিদিনকার মতন আজও একটা সেলাই লইয়া বসিয়াছিল। ঘড়ির দিকে একবার চাহিয়া দেখিল—সবে সাড়ে এগারোটা । উঠিয়া গিয়া কোচম্যানকে আবার বলিয়া দিল, ঠিক আড়াইটের সময় গাড়ী যেন চৌরঙ্গীতে যায়। সেই নিস্তন্ধ খালি-বাড়ীতে সময় কাটানো যেন ক্রমেই অসহ বোধ হইতে লাগিল । সমস্ত ঘর-দুয়ার খা-খা করিতেছে, আর সেই পরিত্যক্ত বিরাটু পুরীর মধ্যে সেই যেন উদ্দেশুহীনভাবে পড়িয়া আছে। এমনি কত কি চিন্তা তাহার উত্তেজিত মস্তিষ্কে বার-বার আনাগোনা করিতে লাগিল । ক্রমে তিনটা বাজিল, বিনয় এখনও আসে নাই । কমলা চুপ করিয়া বসিয়া-বসিয়া মাঝে-মাঝে কেবল দেয়াল-সংলগ্ন ঘড়িটির দিকে চাহিতেছে। তাছার মুখে, তাহার ভাবে চাঞ্চল্যের বিন্দুমাত্র আভাসও নাই । ছরর করিয়া মোটর থামিল এবং পরক্ষণেই বহুদিনের পরিচিত পদশবা জানাইয়া দিল, বিনয়ই আসিতেছে। এক-এক লম্ফে তিন-তিনটে সিড়ি পার হইতে-হইতে বিনয় ফিরিয়া বলিয়, "ট্যাক্সি রহনে বোলে।" পরক্ষণেই ঘরে প্রবেশ করিয়া কমলাকে কহিল “এই যে, কেমন আছ ?’, 彰 謝 皋 寧 ঘণ্টাখানেক অনর্গল বক্তৃতা করিয়া বিনয় বুঝাইল, কমলা এখনও নিতান্ত ছেলেমানুষ, বালিকা মাত্র । বিয়ে হওয়াত দূরের কথা, সতেরো-আঠারো বছর বয়সে ওদেশের মেয়ের ফ্রকু পরিয়া লাফাইয়া বেড়ায় । এ-সময়ে তাহাদের একসঙ্গে বাস করা একেবারেই অসঙ্গত। এই সময়টিতে তাছাকে শিক্ষা গ্রহণ করিতে হইবে । বিলাতে কিভাবে মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হয়, কিভাবে দাম্পত্য জীবন যাপনের উপযোগী করিয়া গডিয়া তোলা হয়, কেমন করিয়া আস্তে-আস্তে কমলাকেও সেইভাবে, সেই আদর্শঅনুযায়ী নিজেকে গড়িয়া তুলিতে হইবে, গড়-গড় করিয়া তাহারও দীর্ঘ আলোচনা করিয়া বিনয় ঘড়ির দিকে bffèn èfai wifiwi xfin, I will como amd sce you off and on. মুগে পাইপ, বঁ-হাতে হাটু, ডানহাতে বিলাতী-লতার ছড়ি লইয়া বিনয় চারিদিকে চাহিয়৷ বলিল, বাড়ী-ঘরদোর সবই বদলে গেছে দেখছি I. A surprise, oh of{ *f; শিস দিতে-দিতে এ-ঘর সে ঘর ঘুরিয়া-ঘুরিয়া দেখিল। পূজার ঘরে প্রবেশ করিতে উষ্ঠত হইলে কমলা ব্যগ্রস্বরে কহিল, “জুতে-পায়ে এঘরে না।” বিনয় অবাক হইয়া কহিল, “জুতে-পায়ে ঘরে না, how silly” দরজা খুলিয়। ভিতরে দৃষ্টিপাত করিয়া বিনয় জলিয়া উঠিল, ইংরাজীবাংলা মিশাইয়া বলিল, এইসব বুজরুকি কমলার মতন হাদা মেয়েরই উপযুক্ত। কিন্তু সে যে এতটা অশিক্ষিত, পাড়াগেয়ে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন তাহা সে ধারণা করিতে পারে নাই। শেষে কমলার কাধের উপর তর্জনী স্পর্শ করিয়া বলিল,“ঘরট পরিষ্কার করে ফেলো। ওটা আমার smokingroom হবে” । কমলা বলিল, “অন্য ঘরে সে-ব্যবস্থা করে” দেবো” । বিনয় গম্ভীর হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আর এ-ঘর কি হবে ?” কমলা বলিল, "এমনিই থাকবে” । বিনয় কহিল, “তা হ’লে বাবা আমার এবাড়ীতে আসা পোষাবে না।” রুদ্ধনিশ্বাসে কমলা বলিল, “তোমার অভিরুচি ” *আচ্ছা সে দেখা যাবে”, বলিয়া বিনয় বাপ্তির হইয়া গেল । কমলা রেলিংএর উপর ভর দিয়া রাস্তার দিকে চাহিয়া দেখিল, তখনও অগ্নিতুল্য রৌদ্র বাঁ-ঝণ করিতেছে, আকাশে বাতাসে যেন আগুন ধরিয়া গিয়াছে । আর সেই নিঃশব্দ দহনের তলে সৰ্ব্বংসহা বহুমতী যেন বুক পাতিয়া পড়িয়া আছেন। রৌদ্রের উত্তাপে গরম বাতাসের হলকায় তাহার মূপ আরক্ত হইয়া উঠিল এবং অজ্ঞাতে চোখের কোণ বাহিয়া ফোট-ফোট জল পড়িতে লাগিল ।