পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের রূপ * স্ত্রী মহেন্দ্রচন্দ্র রায় বৰ্ত্তমান ইংরেজী সাহিত্যে ইউরোপীয় সাহিত্যের অনুবাদ যে একটা বিশেষ স্থান অধিকার করিয়াছে, তাহা সকলেই জানেন ; রুশীয় এবং নরওয়েজিয়ান সাহিত্যের—নাটক এবং উপস্কাসের অনুবাদই তাহার মধ্যে বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় । রুশীয় টলষ্টয়, ডক্টয়েভস্কী, চেকক্ষ, গোগোল টুর্গেনিফ, গোর্কি প্রভূতির নাম আজ বিশ্ব-বিদিত; নরওয়ের বিয়র্গসন ও ইবসেনের নামও তেমূনি বিশ্ব-সমাজে একটা শক্তির প্রতীক হইয়া দ্বাডাইয়াছে। বিশেষতঃ ইবসেন ত বর্তমান নাট্য-জগতেরই একটি বিপুল শক্তিমাত্র নছেন, ইবসেনের প্রাণশক্তি, ওঁtহার নবজীবনাদর্শের প্রেরণা উহাকে ইউরোপীয় সমাজ-ক্ষেত্রেও একটি প্রবল শক্তির অবতার করিয়৷ ভুলিয়াছে। নরওয়ে সাহিত্যের উক্ত দুটি সাহিত্য-রীর দিকে চাহিলেই নরওয়ের সাহিত্যের যে বিশেষ স্বরূপটি ধরা পড়ে, সেটি হইতেছে জীবন-সম্বন্ধে একটি তীব্র সমস্ত-বোধ ও উজ্জনিত একটি বিপুল গম্ভীরতা এবং এই সমস্ত সমাধানের জন্ত দৃঢ় সঙ্কল্প ও সংগ্রাম। জীবনের মাঝে যে একটি তরল রসাবেশের দিক্ রহিয়াছে, তাহতে যে হাস্তোচ্ছ,সি ও আনন্দোৎফুল্লতা এবং প্রেমিক-প্রেমিকার মধুর স্বপ্নময় প্রেমবার্কুিলত রহিয়াছে, কঠোর সংগ্রাম এবং জীবন-সমস্তার নিপীড়ন ছাড়াও যে জীবনের মাঝে একটি বিশাল রসোপভোগের ক্ষেত্র রছিয়াছে : এটি যেন নরওয়ের কঠোর প্রাকৃতিক জগতের কুয়াসাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে ধরা পড়িতে চাহে নাই । নরওয়ের বর্তমান ঔপন্যাসিক জোহান বোয়েরের (Johan Hojor ) দিকে চাহিয়াও উক্ত কথাটিরই সমর্থন করিতে হয়। ইনিও নরওয়েজিয়ান সাহিত্যের বিশেষত্বটি লইয়াই বিশ্বসাহিত্যের আসরে আসিয়া দাড়াইয়াছেন । তাছার স্বদেশবাসী ইবসেনের মতনই বিপুল প্রাণশক্তির বেগ লইয়। তিনি বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছেন। কে বড়, কে ছোট বলিতে পারি না, কিন্তু সমস্তার গভীরতার বোয়ের হয়ন্ত ইবসেনকে ছাড়াইয়া আসিয়াছেন ; তাহার কারণ ইবসেনের জগৎ হইতে জোহান বোয়েরের জগৎ বিস্তৃত, ব্যাপক এবং অন্তরাত্মার গভীরতর প্রয়োজনের উপর প্রতিষ্ঠিত । ইবসেন ব্যক্তিকে বড় বেশী আত্মপ্রধান করিয়া তুলিয়াছেন, কিন্তু বোয়ের মানব-চরিত্রের মধ্যে বিশ্ব-কল্যাণাভিমুখী পরার্থপর স্বভাবটিতে তাহার গভীর বেদন ও অশুদ্ধ দুটিকেই বেশী দেখিয়ছেন । এইজন্য বোয়ের মানবাত্মার শক্তি ও জানলাভের বিপুল প্রয়াসের মধ্যে তাহার অতুলনীয় মহিমার আবির্ভাবটি যেমন করিয়া দেখাইতে পারিয়াছেন, ইরসেন ডেমনটি পারেন নাই । ইবসেন আত্ম-সাধকতার সংগ্রামেই ব্যক্তির প্রবলতা দেখাইয়াছেন : কিন্তু বোয়েরের স্বষ্টি, বিশ্ব-সমস্তরে দিকে চাহিয়া জগতের বিপুল দুঃখের দিকে চাহিয় তাহাকে অপসারিত করিবার জন্তু পরার্থপর ব্যক্তির অস্তরের মহান দুঃখ ও প্রবল সংগ্রামটিকে ফুটাইয়া তুলিয়াছে। The Great Illinger ("fix ‘Rol) or The Face of the World ( রূপ) রচয়িতাকে এইজন্তই টলষ্টয়ের সমগোত্রীয় BDDS DD DD SSSSS BBB BBBB BBg BBBB BBBB BBTTDD চক্ষেই দেখিয়া থাকেন, বৰ্ত্তমান সভ্যতাকে যে ইনি জটিলতার ও জঞ্জালের

  • জোহান বোরের লিতি “The Hace of the Word"

কারণ বলিয়া মনে করেন, বর্তমান সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞান যে মানব অস্তুরের অন্তরতম অধ্যাক্স তুষ্ণাকে মিটাইতে অক্ষম, তাহারই জাভাস {sta Tlie Great Hunge rystw fit-trstvo ottent finks i বৰ্ত্তমানে ইংরাজী সাহিত্যে এবং মনে হয় আধুনিক ইউরোপীক্ষ১ সাহিত্যেও মানব-জীবদের কাম-কাতরতাকেই এত বৃহৎ করিয়া দেখানে पथांब्रख श्हेंब्रांtझ cष, भरन इब्र cयन थाभूमिक 8°छांगिकञ१ छौवप्न पत्रांब्र কিছুই দেখিতে পাইতেছেন না। পাশ্চাত্য সাহিত্যের এই ভাবটি জামাদের বর্তমান বাংলা সাহিত্যেও যে সঞ্চারিত হইয়াছে, তাছার প্রমাণ অনাবগুক হইয় দাড়াইয়াছে। মামুষের মধ্যে বেীন-প্রবৃত্তিটাই যেন এক মাত্র সত্য। এই প্রবৃত্তির প্রেরণাতেই যেন সব চলিতেছে ও চলিবে—এইরকমেরই একটা মতবাদ এইজাতীয় সাহিত্যের মধ্য দিয়া প্রচারিত হইতেছে। এইজাতীয় সাহিতাকে বাস্তবিক সাহিত্য বলা চলে কি না, কাম-ব্যাকুল মানবের ভাব-ভঙ্গী এবং কৰ্ম্ম-প্রণালীর বর্ণনায় পাঠকের চিত্তে রস স্বষ্টি করা হয় কি না এবং কাম-প্রণোদিত পাশবিক জীবনাদর্শকে বাস্তবিক মমুধত্বের আদর্শের অঙ্গীভূত করিয়া স্বীকার করিয়া লণ্ডয় চলে কি না, তাহ আলোচনা করিবার স্থান ইহা নহে। তবে এই কথাটি বলা যাইতে পারে যে, এইজাতীয় সাহিত্য কথনও মানুষকে মহীয়ালু করিতে পরিবে না, এবং তাহার বৃহৎ সত্তায় কোনো সন্ধানই দিতে পরিবে না। যে সাহিত্যিক কাম-লোলুপ মানবের জীবন লইয়। নড়াচাড়া করিয়া আনন্দ পান, তিনি উগছীয় সাহিত্য দিয়া কখনও মানবায়াকে কোনো অসীমতার সন্ধান দিতে পরিবেন না, কখনও জীবনকে কোনো গৌরবময় মহন্ধের পথে চালিত করিতে পরিবেন না। তাহার সাহিত্য বাস্তবতার স্বাকামি যতই করক, নিত্যকালের মানবাত্মা তাহাৰে অচিৰেই মিথ্য এবং হেয় বলিয়া উপেক্ষা করিবে । সাহিত্যিকের আসন ধৰ্ম্ম-গুরুত্ব আসন হইতে একটুও নীচে নছে। জগতের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকগণ এই দায়িত্বটুকু স্বীকার করিয়াই শ্রেষ্ঠ হইয়াছেন। সাহিত্য মানুষকে তাহার প্রকৃত জীবনের দিকে দৃষ্টি চালনা করিতে সহায়তা করিবে । বাহিরের তুচ্ছাতিতুচ্ছ কর্গের মধ্য দিয়া মানবের অস্তরস্থ কোন সত্যের কোন শক্তির সন্ধান করিতেছে, নান জgালের মাঝে পথহার হইয় সে কোন সার্থকতার সন্ধানে কাঙাল হইয় ফিরিতেছে, তাহার বাৰ্ত্ত দিবার ভার সাহিত্য গ্রহণ করিয়াছে । এইটুকু করিতে পারিলেই কি মানবের মধ্যে প্রকৃত ধৰ্ম্মবোধ জাগ্রত করা হয় না ? মানবকে সত্য জীবনের পথে যে প্রেরণা দেয়, অস্তরের বাস্তবিক গভীরতম প্রয়োজনের দিকে যে আমাধের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সেই আমাদিগকে ধর্মের পথে চালিত করে । ধর্শ্বের এই স্বত্রের অমুসরণ করিয়া আমরা নিঃসঙ্কোচে জগতের সাহিত্য-গুরগণকে জীবন-ধর্মের পুরোহিত বলিয়া প্রচার করিতে পারি। এবং সেইসঙ্গে ইছও বলিতে পারি যে, জোহান বোরেরও বিশ্ব-সাহিত্যের মন্দিরে একজন শ্রেষ্ঠ জীবন-পুরোহিত বলিয়৷ বিবেচিত হইবেন। কারণ ইনি মানুষকে তাহার ক্ষুদ্রতা এবং অসম্পূর্ণতার মাঝে ফেলিয়৷ ब्रांषिब्रt. भांनय-छौवप्नब १पर cनश्नप्त्र छ*षाएनञ्च भशcओब्ररुभब्र ऋडेिब्र अश्रृंभांन ७ अभérांमl क८ब्रन नांश् : हेनि भांनक्एक १क दिभूल श्रृंख्रिब्र विनांलtगरज मtछitग्न जांझ्तांन कबिंब्रांटझ्न । भांमव-औषनहरू देनि दृश्९