পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Web" ● बह९ दणिब्रां छैष्क्रकप्% cथांबणं कब्रिघ्नांtझ्न । छौवहन निब्रां* e দুৰ্ব্বলতাকে উপেক্ষা করিয়া ইনি বিশ্ব-মন্দিরে শক্তি ও আশার সঙ্গীতে - মানবান্ধার স্বাগত সম্ভাষণ করিয়াছেন। ইহার সমগ্র রচনার দিকে দৃষ্টি wiegel zal wfral zrgsta erts staat The Face of the World (জগতের রূপ) পুস্তকখানিরই কিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়া ইহার প্রচারিত আদর্শ-বাদের আভাস দেওয়ার চেষ্টা করিব । জীবন-সম্বন্ধে একটি নিদারুণ সমস্তা-বিধি এবং এই সমস্ত সমাধানের প্রবল প্রচেষ্টা যে নরওয়ের সাহিত্যের একটি বিশেষত্ব, তাহ। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। কিন্তু ইহার অর্থ কখনও এই হইতে পারে ন৷ যে, জগতের জার কোথাও জীবন একটা সমস্ত নহে। কোনো একটি ভাব কোনো একটি সাহিত্যের মধ্যে বিশেষভাবে প্রবল হইয় প্রকাশ পাইতে পারে, কিন্তু যাহ। কিছু সত্যকার ভাব, তাহ ষে সৰ্ব্বমানবেরই অন্তরের ভাব—এই কথাটি বিষ্ণুত হইলে চলিবে না। বাস্তবিক প্রত্যেক জাগ্রত মানবাত্মার নিকটই জীবন একটি বিপুল সমস্ত । অন্তর ও বাহিরের একটি স্বসঙ্গত সামঞ্জস্তকে সে প্রতিনিয়ত সন্ধান করে, অথচ জীবনের নানা জটিলতা সেই সামঞ্জস্তকে ছুপ্রাপ্য করিয়া তোলে। তাহার অন্তরে সে যেন কি একটি সাধকতার স্বপ্নময় প্রেরণ অনুভব করে, অথচ কোনো বিশেষ অবস্থার মধ্যে সে তাঁহাকে প্রত্যক্ষ করিতে পায় না। একটি অপূৰ্ব্ব জীবনাদর্শের কল্পনা তাহাকে আকর্ষণ করিতে থাকে, কিন্তু বিশ্ব-ব্যাপারের মাঝে সে জাদর্শকে তাহার কল্পলোকের আসন হইতে কিছুতেই নামাইয়া আনিতে পারে না। এখানেই অস্তুরের বিপুল বেদন উথলিয়া উঠিয়া ব্যক্তির জীবনকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিতে থাকে । অথচ মানবের বাহ-কিছু মহিমা ও গৌরব তাহা তাহার এই বিপুল প্রাণদশের দিকে প্রয়াণেই প্রকাশ পাইয় থাকে। মানব-জাতির শ্রদ্ধা ও পুজ্ঞা চিরকালই সেই অসম্ভব স্বপনপসারীদের চরণে অপিত হইয়। জাসিয়াছে। যাহারা আপনাদের ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে বলা হইয়৷ আছে, তাহারা হয়ত বিফলতার মুখ দেখিল না, কিন্তু তাহার জীবনের কোনো মহিমাকেও প্রত্যক্ষ করিতে পারিল না। ক্ষুদ্র সার্থকতাকে তুচ্ছ করিয়া যাহারা বিরাট বিফলতাকেই বরণ করিল তাছাদের ব্যথার অস্ত নাই সত্য, কিন্তু তাহারাই জগতে প্রাণের মর্যাদা রাখিয়া গেল, তাহারাই বাচিয়া থাকার গৌরব অক্ষুণ্ণ রাখিল । কিন্তু এই প্রাণাদর্শ বস্তুটি কি ? ইহার স্বরূপ কি ? অনস্ত বিচিত্র জীবন-ধারা কতনা ভাবে ও বিচিত্র ছলে, কত না জ্ঞানে ও সৌন্দর্ঘ্যে, এই অনন্ত বিশ্বের মাঝ দিয়া না জানি কোনু অনিৰ্দ্দিষ্ট সার্থকতার সন্ধান করিয়া চলিয়াছে। কেহ ত জানে না, বলিতে পারে না, এ-জীবন বাস্তবিক কি, কোথায় ইহার গতি ও চরম পরিণতি। মানুষটির অস্তরে প্রচও জীবনীবেগ, ইহারই টানে দে চলিয়াছে কিন্তু কোথায় সে ত তাহ জানে না । জীবনের অনন্ত বিচিত্ররূপের আভাস তাহকে ক্ষণে ক্ষণে মুগ্ধ ও চকিত করে, কিছু সে বোঝে, আর অনেক-কিছুই সে বুঝিতে পারে না . অসীম সৌন্দর্ঘ্যের একটুপানি ইঙ্গিত তাহাকে বিহ্বল করে, কিন্তু সবখানি সৌন্দর্ঘ্যের ধরা সে পায় না। অথচ মানুষ তাহার এই হৃদয় ও বুদ্ধি দিয়া অনন্ত বিশ্বের অসীম জীবনকে জানিতে চায়, পাইতে চায়। ইহা ছাড়া তাহার তৃপ্তি নাই, শাস্তি নাই। মামুণের মাঝে যে-মানুষটি জাগিয়া উঠিয়াছে, সে-ই তাই উদাস প্রাণে তাহার বন্ধ ঘরের গণ্ডী ছাড়ির চলিয়াছে –কোথায় ? কেন ? তাহ সে জানে না, তবু সে চলিয়াছে। অসীম জ্ঞানের সম্মুখে ব্যক্তির সীমাবদ্ধ জ্ঞানের যে-বেদন ও ক্ৰন্দন তাহার সকরুণ ইতিহাস পাই ব্রাউনিংএর প্যারাসেলসাস কাব্যে । সৌন্দৰ্য্যবোধের তীব্রতাও জীবনে তেমনি ব্যথার সঞ্চার করিয়৷ থাকে। বিশ্বের অসীম সৌন্দর্ঘ্যের সবখানি ব্যক্তি তাহার একটুখানি প্রবাসা—ফাঙ্কন, ১৩৩১ [ ২১শ ভাগ, ২য় খণ্ড হৃদয় দিয়া ধারণা করিতে চায় এবং বিফল হইয়া বড় ব্যখিত নৈরাপ্তে शंईकांब्र कब्रिव्र छेळ । cठभूनि भांनयांच्चांब्र कणाॉ५-थयकहेt७ छांशंब्र জীবনকে বেদনাচ্ছন্ন করিয়া তোলে। মানব তাহার অস্তুরাত্মার মধ্যে বিশ্বের কল্যাণকে ব্যাকুল প্রাণে আহ্বান করিতেছে । জগতের বর্তমান অবস্থার দিকে চাহিয়া সে চারিদিকে অজস্র ক্ষুদ্রতা ও হীনত এবং তজ্জলিত অপরিসীম দুঃখ ও দুর্দশীকেই প্রত্যক্ষ করিতেছে। বিশ্বমানবের পথপানি যে কেবল অন্ধকারাচ্ছন্ন তাহী নহে, সে-পথ অমঙ্গলের অঞ্জস্র কণ্টকে আচ্ছন্ন হইয় অাছে। বিশাল-জগতের অমঙ্গল ও দুঃখদুর্দশার দিকে চাহিয়া ব্যক্তির অন্তরাত্মার মাঝে একটি অরুন্তুদ যাতনা— একটি উৎকট প্রশ্ন—সে কি করিবে, কি করিয়া সে বিশ্বের বুকের এই পাপ দূর করিবে, সমগ্র মানব-জাতিকে কি করিয়া সে অমঙ্গলমুক্ত জগতের নিৰ্ম্মললোকে ডাকিয়া আনিবে। এই সমস্তার সম্মুখে দাড়াইয়া কল্যাণকামী মানবাস্ত্র। তাহীর সকল শাস্তি হারাইয়া বসিয়ছে। যতদিন বিশ্বের প্রত্যেকটি ব্যক্তির অস্তুরে বিশ্ব-সঙ্গীতের কম্পন ন গুণগিবে, যতদিন কোথাও কোনে। কোণে একটিও অস্তুর দুঃখ দীর্ণ হইয়া থাকিবে, ততদিন তাহার কোনো আনন্দেই আনন্দ নাই , ততদিন বুদ্ধের হৃদয় মুক্তিকে পাইয়াও গ্রহণ করিতে পারে না । 'জগতের রূপ বইখানির নায়ক হেরল্ড মার্কেব জীবন এই সমস্তাটিকেই আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছে । চিকিৎসক হেরল্ড মাক মনে করিয়ছিল বিশ্ব-জগৎ হইতে শারীরিক ব্যাধিগুলিকে বিতাড়িত করিতে পারিলে মানব-সমাজ মুখী হইতে পারিবে। সে বিশ্বাস করিয়াছিল যে, বিজ্ঞান একদিন পৃথিবীর বক্ষ হইতে ব্যাধিকে চিরতরে বিদূরিত করিতে পরিবে। অদম্য উদ্যম ও প্রাণশক্তি, প্রবল আশ ও বিশ্বাসভর আনন্দ বুকে লইয়। সে তাহার চিকিৎসা-বিজ্ঞানের গবেষণা-ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইল । কিন্তু কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয় সে আপনার অস্তরের নিদারুণ অশাস্তি ও বিশ্বব্যাপ্ত অসীম অমঙ্গলের পরিচয় পাইয়! একেবারে ভাণ্ডিয় পড়িতে লাগিল । যতই সে মানব-সমাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করিতে লাগিল, ততই এই কথাটি তাহার মনে দৃঢ় বিশ্বাসে পরিণত হইতে লাগিল যে, রোগের চিকিৎসা যতই হোক না কেন, যতদিন জীবন-যাপন প্রণালীর মধ্যে পরিবর্তন না আনা যাইবে, যতদিন মানুষের পারিপার্থিক অবস্থা ঠিক ন করা যাইবে, ততদিন রোগ দূর করা চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সাধ্যাতীত হইয় থাকিবে । বাধা হইয়া তাই হেরল্ড মার্ক চিকিৎসা-ক্ষেত্রের সঙ্কীর্ণ গওঁী ছাড়ির রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কারের বিশাল ক্ষেত্রে আসিয়া পড়িল । মানুষের উপর মানুষের স্বর্থের অত্যাচার ও অস্কায়কে সে সমস্ত শক্তি দিয়া নিৰ্ম্মল করিতে কোমর বাধিয়া দঁাড়াইল । তাহার দৃষ্টি-ক্ষেত্র শুধু তাহার জন্মক্ষেত্র নরওয়ের ক্ষুদ্র সীমার আবদ্ধ রছিল না, সহৃদয় দৃষ্টি তাহার প্রসারিত হইয় গেল সমগ্র জগতের দুঃখ-দুর্দশা, অস্কার ও অমঙ্গলের উপর । সংবাদপত্রের মাঝ দিয়া সে জগতের প্রত্যেক স্থানের মামুষের সহিত, তাহার দুঃখ-দুর্দশার সহিত আপনাকে জড়িত করিয়া ফেলিল : সমগ্র জগতের অত্যাচার এবং অবিচার তাহীর অস্তরকে নিস্ফল ক্রোধ ও যাতনায় পূর্ণ করিয়া তুলিতে লাগিল। এক-কথায়, তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্র ছিল তাহার স্বদেশের একটি ক্ষুদ্র সহরের মধ্যে, কিন্তু তাহার অস্তরের অনুভবক্ষেত্রটি ছিল সমগ্র জগতের দারুণ দুঃখ-কষ্ট্রের মধ্যে। হেরল্ড মার্ক বিবাহ করিয়া ভাবিয়ছিল তাঁহাতে সে আনন্দ ও শক্তি পাইবে। তাহার হৃদয়েও সাহচর্যের কামন, ভালোবাসার পিপাসা প্রচুর ছিল ; একটি শান্তিময় পরিবারে প্রেমময়ী ভাৰ্য্যার সাহচর্য্যে জীবন যাপন করিবার কল্পনা তাহারও চিত্তকে আকর্ষণ করিয়াছিল। কিন্তু অচিৰেই হেরন্ডের জীবন পারিবারিক আনন্দ হইতে বঞ্চিত হইল। তাঁহার স্ত্রী খোর পারিবারিক জীবনের ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে ব্যক্তিগত আনন্দে