পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ! বিভোর হইয়া থাকিতে চাছিল কিন্তু ৰেৱন্ডের চিত্রে জগতের দুঃখ-স্থতি এমনই প্রবল হইয়। উঠতে লাগিল যে, তাহার পক্ষে কোনোরকমের ব্যক্তিগত জানন্দোপভোগ দুঃসহ অপরাধের নামান্তর মাত্র হইয়া দাড়াইল । তাই সে ব্যক্তিগত জীবনের স্বথস্বচ্ছন্দোর মধ্যে K+FfIII (f(x| G#—"I can't quite manage to feel only joy and gladness over it all, for half my inner consciousness is with the thousands that at this moment haven't even salt for their soup.”—Rico, so যে আনন্দ ইহাকে ত আমি গ্রহণ করিতে পারি না ; যারা এই মুহূৰ্বে খাওয়ার একটু মুন পৰ্য্যস্ত সংগ্ৰহ করিতে পারিতেছে না, আমার আস্তরক্স যে তাহদের ভুলিয়া থাকিতে পারে না । ফলতঃ সংবাদপত্রের মাঝ দিয়া সংসারের যে একটি দুঃখময় চিত্র ফুটিয় উঠে হেরল্ড তাহ দেখিয়া স্বার সমস্তই ভুলিয়া গেল। পুর্ণযুগের মানব সমগ্র জগতের বাস্তব দুঃখের স্বরূপটাকে ধারণা করিতে পারিত না ; বৰ্ত্তমান যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান তাহা সস্তব করিয়া তুলিয়ছে। পূর্বে পৃথিবীর মানব সমাজগুলি অসংখ্য ক্ষুদ্র অংশে পৃথক হইয় আপনাদের সীমাবদ্ধ গণ্ডীর মধ্যে আবন্ধ থাকিয়া ন্যায়-অন্যায়ের আংশিক হিসাব লইয়া ব্যস্ত ছিল। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতিব ফলে মানব-সমাজের এই অনন্ত বিচ্ছিন্নত অনেকখানিই কাটিয়া গিয়াছে ও যাইতেছে । ফলে সামঞ্জস্ত ও মিলন ন হইলেও সমগ্র বিশ্ব-সমাঞ্জ একটি অগওত লাভ করিয়াছে ; এইজন্যই জগতের একপ্রাস্তুের ক্ষুদ্র পল্লীর কৃষকের জীবনের সহিত অপর প্রস্তুের কারখানার কুলীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ আজ স্বীকৃত ও অনুভূত হইতেছে। তাই আজিকীর ব্যক্তিকে কৰ্ম্ম করিবার সময় তাহার ক্ষুদ্র সমাজনীতির দিকে চাহিলে আর চলিবে না, তাহাকে বিশাল বিশ্ব-সমাজনীতির অনুসরণ করিতে হইবে । এইজগু বৰ্ত্তমান জগতের নৈতিক সমস্ত। নিতান্ত জটিল হইয়| উঠিয়াছে ; এই জটিলতাকে সহজ করিবার জন্ত মনৰ্থসমাজকে নুতন বিশ্ব নীতির সন্ধান করিতে হইতেছে। পূৰ্ব্বেকার কোনো বিশেষ সমাজ তাহার নিজস্ব স্বাগটিকেই জীবনের চরম আদর্শ করিয়া লইয়। অপরাপর সমাজগুলির প্রতি অবিচার করিতে সঙ্কুচিত হইত না, কিন্তু বৰ্ত্তমান জীবনে কোনো গণ্ডীবদ্ধ সমাজের আদর্শ টিকিতেই পারিতেছে না। নিতান্ত প্রয়োজনের খাতিরে তাহাকে সৰ্ব্বজগতের কল্যাণের দিকে দৃষ্টি রাখিতে হইতেছে। এবং এই প্রয়োজনের দায় ছড়ি মানুষ তাহার শ্বস্তুরেও এই ব্যাপক বিশ্ব-নীতির প্রেরণ অনুভব করিতেছে । হেরল্ড তাই জগতের এক কোণে বসিয়া থাকিয়াও সমগ্র জগতের অদ্যায়ের ও অশাস্তির জঙ্ক নিজের দায়িত্ব স্বীকার না করিয়া থাকিতে •lifa al “on The world not only grew larger every time, but it betaine a. power ... that drew him more and more out to itself with his interests, his thoughts and his dreams. He seeumcd to lic always growing more and more wide awako and the more wide awake he grew, the more things did he luvet with that vexed and depressed him.”—efesto Biotă সম্মুখে জগৎটা কেবল যে বৃহৎ হইয়াই চলিল তাহ নয়, এই জগৎ তাহাকে তাহার স্বপ্ন, তাহার চিন্তু এবং ভtহার ভালো-লাগার মাঝ দিয়া কেবলই আকর্ষণ করিতে লাগিল। সে প্রতিনিমেষে যেন আরও জাগ্ৰত সচেতন হইয়া উঠিতে ক্লাগিল এবং এই চেতনা-বুদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে তাহার দৃষ্টিপথে এমন সব ব্যাপার উপস্থিত হইতে লাগিল, যাহতে সে কেবলই বিরক্ত ও নিরাশ হুইয়া পড়িতে লাগিল । বাস্তবিকই কি জগতে কেবলই দুঃখের বস্ত। বহিয়৷ চলিয়ছে, ८कांथांe कि हेशंद्र शनि नॉ३, मत्रौठ नाई, श्रांनन्न नांदें, कलlসৌন্দর্ঘ্যের রসস্কৃত্তি নাই, যৌবনের জানলোচ্ছলতা নাই—এই প্রশ্নটি জগতের রূপ \ుaసి হেরন্ডের মনে যে জাগে নাই তাহা নয়। প্রত্যেক মানবায়ার মতল, ছেরন্ডও জগতে আনন্দের ও সৌন্দর্ঘ্যের সন্ধানেই আসিয়াছিল ; সে প্রাণের অফুরান বেগ লইয়া পরম আনন্দের উৎসবে জীবন কাটাইতে আসিয়াছিল, কিন্তু তাহার অস্তুরের পরার্থপর বেদন তাহাকে আনন্দের অধিকার হইতে বঞ্চিত করিল। এই বিশ্বের ছ:থকে দু না করিয়া সকলকে সমান অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত না করিয়া ব্যক্তিগত আনঙ্গ উপভোগ করিতে যাওয়া নৈতিক পাপ-এই কথাটি মনে জাগিয়া হেরল্ডকে বিশ্বের হাস্তোৎসব হইতে বিমুখ কপ্রিয় রাখিল। যদি বা কখনও সে তাহার স্ত্রীর সহিত কোনে আনন্দ-ভোজের নৃত্য-গালে যোগ দিত, তাছ হইলে সারারাত তাহাকে জাগিয়া তাহার প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইত। একবার হেরন্ডের স্ত্রী তাহার চিত্তের অবস্থা দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “স্বচ্ছা, জগতে কি অস্কার ছাড়া আর কিছুই হচ্চে না ?” হেরল্ড বলিয়াছিল, “সেইত হচ্চে ভয়ানক কথা—মানুষ এতই অক্ষম শক্তিহীন। কিন্তু শক্তিহীনতার অজুহাতে হেরন্ডের অস্তুরায়ার রেহাই নাই! হেরল্ড বলে, “I want to serve my time and try to get the moral means to live some lay in lice surroundings, cultivate my minil, drink in beauty and have a share in all the joy and pleasures of the world.” সুন্দর পরিপাশ্বিকের মাঝে বাস করবার জন্ত সৌন্দৰ্য্য-মুধ পান করবার YY BBBB BBB BDDSBBBBB BB DBB BB BBB BBBB অধিকার অর্জন করতে হবে। হেঃস্তের আশা—একদিন বিশ্ববাসীসকলে বিশ্ব-সঙ্গীতে যোগ দিবে। কিন্তু এই আশার পশ্চাতে বুক-ভাঙ অভিজ্ঞতার নৈরাপ্ত আসিয় তাহকে বলিতে লাগিল, "The great world. conscience is one thing. Illi the ability to alter anything is another.”—So stan I go &Infa foomstoবোধ থাকিলে কি হইবে, সমগ্র বিশ্বের অঞ্চত্র অদ্যায় দেখিয় তোমার বুক ব্যথিত হইলেই বা কি হইবে, শক্তি যে তোমার অতি তুচ্ছ! এই যে অবিচার ও অন্তর জগতের জীবনকে বিষাক্ত করিতেছে, ইহা বিরাট বোঝা সরাইয় বিশ্বের বুকটাকে হাক্ষা করিবার সাধ্য ত তোমার নাই। বিশ্বের অমীমাংসিত রহস্তের চেয়েও যে এই অঞ্চায় ও অবিচার ভয়াবহ বিভীষিকার মতন জগতের বুকে চাপিয়া রহিয়াছে । “Thero is a still greater nightmare than the unsolved inysteries and that is all the injustice that poisons the world.” বৰ্ত্তমান জগতের এই যে অন্তহীন অন্ধকার, এই যে হিমালয়ের মতন বিপুল দুঃখ-দুর্দশা, ইহার জন্য মানুষ যে কতখানি দায়ী সে-কথা কোনো শিক্ষিত মানবেরই অবিদিত নাই। মানুষের এই অন্যায় তাহার জ্ঞানের নিকট আজ অতি স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে । জগতের এই যে অগণিত শ্রমজীবী ও কৃষিজীবীর দুঃখময় জীবন তাহার সমস্ত অহখ ও অস্বাচ্ছন্দ্যের মূলে যে মুষ্টিমের স্বার্থপর অর্থলোলুপ ধণাধিকারীর অত্যাচার রছিয়াছে, তাহা কাহারও অজ্ঞাত নাই । অথচ এই অত্যাচারকে নিরস্ত করিবার কোনে শক্তি মানুষ আবিষ্কার করিতে পারিতেছে না। এমুনি-ধারা শতসহস্র দুর্দশার কারণ মানুষের থষ্ট অস্কার বিধি-বন্ধন। মানব-চিত্ত্বের কাছে তাহার এ অন্তায় অবিদিত নাই, অথচ মানুষের স্বার্থপরতার এমনই মোহময় শক্তি যে, তাহার বিরুদ্ধে বুদ্ধ, বিবেকানন্দ, খৃষ্ট, গান্ধীর অভিযান শতাব্দীর পর শতাব্দী কি ব্যর্থ হইয়াই চলিয়াছে ! হেরন্ডের চিত্তের দারুণ বিদ্রোহ ও ক্ষিপ্ততার কারণ এইখানে । এই বিশ্বের শাসনযন্ত্র এমনই দুর্শিবার শক্তিতে চলিয়াছে এবং তাহীর মূলে মানুষের এমনই অতি সাধারণ অজ্ঞান রহিয়;ছে যে, তাহার দিকে চাহিয়া হেরল্ড ক্ষিপ্ত হইয় উঠে, সে চায় এক-আঘাতে এই স্পষ্ট মিথ্যা ও স্বস্তারকে দূর করিয়৷ মানব-জাতির অগ্রগতিকে সহজ করিয়া দিতে । মদ্য যে জগতের