পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

، Rچوئ

  • ই্যা, এলাম। কেন বলো ত ? তোমার দুঃখ হচ্ছে ?”

স্বরমা মৃদ্ধ হাস্ত করিল। "না, দুঃখ আর হবে কেন ?” “তবে ? “রাগ হচ্ছে বুঝি ?” স্কুরমা হাসিতে-হাসিতে বলিল, "না, রাগও হচ্ছে नां ।” “তবে কি হচ্ছে r আনন্দ হচ্ছে?” আনন্দ হইতেছিল না তাহা নিঃসন্দেহ, কিন্তু সে-কথা সুরমার মুখ দিয়া বাহির হইল না। কিছুদিন হইতৃে বিমানবিহারীর নানাপ্রকার পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়া, এবং অবশেষে তাহার এই ডেপুটিত্ব-বর্জনে, স্বরম মনে-মনে শঙ্কিত হইয়া উঠিয়াছিল। এসমস্তই যে বিমানবিহারী - সুমিত্রার মনস্তুষ্টির জন্য করিতেছিল তদ্বিষয়ে তাহার কোনো সন্দেহ ছিল না ; তাই এই ক্রমবৃদ্ধিশীল আত্মপরিহার অবশেষে একান্তভাবে নিস্ফল হইলে বিমানবিহারী কত বড় আঘাত পাইবে তাহা কল্পনা করিয়া আনন্দ ত দূরের কথা, স্বরম মনের মধ্যে একটা কঠিন দুশ্চিন্তা বহন করিতেছিল। তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক সুমিত্রা না দিলে এই আত্মপরিহারের পুরস্কার পাইবার বিমানবিহারীর আর অন্য উপায় ছিল না ; কারণ সেবিষয়ে স্বমিত্রার বিরুদ্ধাচরণ করিতে জয়ন্ত্রীর সাহস হইবে না এবং প্রমদাচরণের প্রবৃত্তি হইবে না । স্বরমার বিমূঢ় ভাব লক্ষ্য করিয়া বিমানবিহারী মুছ হাসিয়া বলিল, “ছঃখণ্ড হচ্ছে না, রাগও হচ্ছে না, আনন্দও হচ্ছে না,তোমার ত নিৰ্ব্বিকার অবস্থা হয়েছে দেখছি বউদি ” যে-আঘাতটা আসন্ন হুইয়া উঠিয়াছে বলিয়া ভয় হইতেছিল তাহা যাহাতে একেবারে অপ্রত্যাশিত না হয় তত্ত্বদেখে কতকটা কথা বিমানবিহারীকে জানাইয়া রাখা ভালো বলিয়া স্বরমা মনে করিল। উদ্বিগ্রনেত্রে বিমানবিহারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া সে বলিল, “ঠিক নিৰ্ব্বিকার নয় ঠাকুর-পে, একটু ভয় হচ্ছে ” সবিস্ময়ে বিমানবিহারী বলিল, “ভয় হচ্ছে ? কিসের उम्न छ्क्क दसैँ-नि ?” প্রবাসী—ফাঙ্কন,১৩৩১ [२s* उन, २छ थ७ ऋनकांण निर्दिांकू थांकिब्र विषांबफ़िठ-च८ब्र श्ब्रभा বলিল, “ভয় হচ্ছে, তুমি যে এতটা স্বাৰ্থত্যাগ করলে তার মধ্যাদা স্বমিত্র যদি না রাখতে পারে?” শুনিয়া বিমানবিহারী হাসিতে লাগিল । "এত কথা ভেবে তোমার ভয় হচ্ছে বৌদি ? কিন্তু उग्न-हे. दां cरून झटव्ह ? न श्ञ्च भर्वांना cन ना-ई রাখলে ।” বিমানবিহারীর এ-কথায় সুরমা কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইল ; কিন্তু তাহার বিস্ময়ের পরিসীমা রহিল না যখন সে নিঃসংশয়ে জানিতে পারিল যে বিমানবিহারীর এই স্বার্থত্যাগের সহিত স্থমিত্রা কোন দিক দিয়াই জড়িত নহে ! একইভাবে আন্দোলিত হইতে দেখিয়া সে মনে করিয়াছিল ষে স্থমিত্রার সহিত বিমানবিহারী নিশ্চয়ই একটা দৃঢ় যোগে আবদ্ধ আছে, কিন্তু কথায়-কথায় বিমানবিহারী স্পষ্ট করিয়া তাহাকে বুঝাইয়া দিল যে তেমন কোনো যোগই তাহাদের মধ্যে নাই, শুধু এক-সমীরণে উভয়ে আন্দোলিত । “তবে তুমি এ-সব কর্ছ কেন ঠাকুর-পো ?” সহাস্তমুখে বিমান জিজ্ঞাসা করিল, “কি-সব ?” কি জিজ্ঞাসা করিয়া এবং কি জানিয়া লইয়া সে যে তাছার বিস্ময় চকিত চিত্তকে প্রশমিত করিবে তাহা স্বরম ভাবিয়া পাইতেছিল না ; বলিল, “এই খন্দর পর, চাকুরি ছাড়া, এইসব ।” “তোমার বোনের জন্তে না হ’লে আর যে এ-সব করতে নেই, তা কেন ভাবছ বউ-দিদি ?” বলিয়া বিমান হাসিতে লাগিল । - সুরমাও হাসিতে-হাসিতে উত্তর দিল, “তবে কার বোনের জন্য করছ, তা বলে ?” সহাস্তমুখে বিমান বলিল, “কি আশ্চৰ্য্য !" একজন কারো বোনের জন্তেই যে করতে হবে এ-কথা তোমাকে কে বললে ? ধরে, গ্রহের ফেরেই করছি । তবে যদি শনি কিন্তু অন্ত-কোনো দুষ্ট-গ্রহের কোনো বোন থাকে তা হ’লে হয়ত তারই জন্তে করছি।" বলিয়া বিমানবিহারী হাসিয়া উঠিল। কোনোপ্রকার ব্যর্থ কল্পনা না করিয়া সহজভাৰেই