পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨8 “তার কারণ, তখন নিজেকে ঠকাভে—” বলিয়া স্বরেশ্বর হাসিয়া উঠিল । ক্ষণকাল উভয়ে আত্ম-নিবিষ্ট হুইয়া নীরবে বসিয়া রহিল। হেমন্তের মনোরম অপরায়ের অনাবিল মাধুর্ধ্য এই দুইটি আহত আৰ্ত্ত তরুণ হৃদয়কে আবিষ্ট করিয়া ধরিয়াছিল ; তন্ময় হষ্টয়া উভয়ে অলসভাবে অসংলগ্ন চিন্তার জাল বুনিয়ত লাগিল । “স্বতেশ্বর ” “বলে!” “তোমাকে আমার অনেক সময়ে চুম্বকের মতো মনেइब्र ।” ঈষৎ হাসিয়া স্বরেশ্বর বলিল, “তার কারণ সংসারে সোনা-রূপোর উপর আমার কোনো অধিকার নেই, তা তুমি বুঝেছ।” “কিন্তু সংসারের সোনারূপারূপী কত লোহার উপর তোমার চরম অধিকার আছে, তা আমি জানি! তুমি জেলে গিয়ে একটা কত বড় উপকার করেছ, তা তুমি छां८न नl ।” স্বরেশ্বর স্থিতমুখে বলিল, “সংসারের কিছু অল্প বাচিয়েছি এক্টত জানি ।” স্বরেশ্বরের পরিহাসেব কোনো উত্তর না দিয়া বিমান বলিল, "ছেলে থাকার আগে তুমি আমাদের কাছে-কাছে খাৰুতে ব’লে তোমার প্রভাবে আমণ হেলতাম-ছল তাম আর পরস্পরে ঠোকাঠুকি হ’ত । তুমি জেলে যাওয়ার পর দূব থেকে তোমার আকর্ষণ আমাদের সকলকে অভিন্নমুখ ক’রে মিলিয়ে দিয়েছে ।” স্বরেশ্বর হাসিতে হাসিতে বলিল, “কাছে এলাম, এখন আবার ঠোকাঠুকি আরম্ভ হবে না ত ? বলে ত একেবারে না হয়, উত্তর মেরুতে গিয়ে অবস্থান করি !” বিমানবিচারী সঙ্গাসামৃখে বলিল, “ন, ঠোকাঠুকির ভয় আর নেই । এখন আমরা গ’লে এক হ’য়ে গিয়েছি * “গ’লে এক হয়ে গিয়েছে ? সে যে খুব বড় কথা হ’ল ভাই ! গলবার নিয়ম জানো ত ? ধাতু উত্তাপে গলে আর প্রকৃতি প্রেমে গলে । বিনা প্রেমে মামুষ গ’লে এক श्द्र ना ।” 部

  • প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩১ :

[ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড "তা হ’লে হয়ত এখনো আমরা গগিনি, একটা কোমো বাধনে আবদ্ধ হ’য়ে এক হ’য়ে আছি !” বলিয়া বিমানবিহারী হাসিতে লাগিল । স্বরেশ্বর একে-একে সকলের সংবাদ লইতে লাগিল । বিমানবিহারীর গৃহের সংবাদ এবং প্রমদাচরণের গৃহের সংবাদ লইয়া সে সুমিত্রার কথা জিজ্ঞাসা করিল। বিমানবিহারী বলিল, “স্থমিত্ৰ ভালোই আছে । তোমার চরকাটি-স্বদৰ্শন-চক্রের মতন তার হাতে অবিশ্রান্ত ঘুরছে।" তাহার পর যুদ্ধ হাসিয়া বলিল,“স্থমিত্ৰ-সমস্তার সমাধানও প্রায় হ’য়ে এসেছে, স্বরেশ্বর ” স্বরেশ্বর স্মিতমুখে বলিল, “স্থমিত্রাকে খুব দুরূহ সমস্ত ব’লে তোমার মনে হ’ত বিমান ?” “তুমি যোগ-বিয়োগের কৌশল জান, তাই তোমার মনে হত না—আমি বেহিসাবী লোক। আমার খুব মনে হ’ত”, বলিয়া বিমান হাসিতে লাগিল । “এখন কি সমাধান করলে শুনি ?” "এখন, প্রথমে বিয়োগ করে তার পর যোগ করেছি।” এমন সময়ে বিমানবিহারীর ভাগিনেয় রমেশ আসিয়া বলিল, “আপনাদের দুজনের জলখাবার দিয়ে মামীম অপেক্ষা করছেন।” “ত হ’লে সেই ভালো ; উপস্থিত এসব যোগের চর্চা বন্ধ ক’রে জলযোগ ক’রে আসা যাকৃ।” বলিয়া বিমানবিহারী স্বরেশ্বরকে লইয়া অন্দরে প্রবেশ করিল। সন্ধ্যার পর বহুক্ষণ তারামুন্দরী ও মাধবীর সহিত গল্পে অতিবাহিত করিয়া বিমান ও স্বরেশ্বর পথে বাহির হষ্টল। তাহার পর গল্প করিতে-কবিতে উভয়ে গোলদীধির এক নির্জন প্রাস্তে একটা বেঞ্চে আশ্রয় লইল । তখন ধীহে-ধীরে বিমানবিহারী স্থমিত্রার বিষয়ে সকল কথা খুলিয়া বলিল । অধিকারের দিক দিয়া সে সমস্ত জিনিসটার বিচার করিল, স্বতরাং যে দাবির ভিত্তি অধিকার-বিবর্জিত সে দাবির আকারণ মোঃ হইতে সে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত করিয়াছে, তাহা অসংশয়িতভাবে স্বরেশ্বরকে জানাইল। . - সমস্ত শুনিয়া স্বরেশ্বর কিছুক্ষণ নিঃশব্দ, নিম্পন্দ্ৰ হইয়া বসিয়া রহিল ; তাহার পর ব্যথিতকণ্ঠে বলিল, “এ