পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৬ - প্রবাসী—ফাঙ্কন, లిలు. चाट्यांन हराह चाशनांरक येकई ब्रश्छद्र विनिन করে তোলা ৷” আর মাদাম ওয়ালতার-দোকানে যাওয়া ছাড়া, বাড়ী হইতে কোথাও বাহির হইতেন না, এবং তার যা-কিছু কথা-বাৰ্ত্তী—সে শুধু দোকানদারদিগের সঙ্গেই হইত। বয়সে তিনি তার স্বামী অপেক্ষা কয়েক-বৎসরের ছোট হইলেও, তাকে দেখিতে বড় বলিয়া মনে হয়। তার চুল একেবারে সাদা, তার মুখের রং মিশ্রিত বর্ণের ; তিনি একটু ঘাড়-কুঁজে ও ক্ষুদ্রপৃষ্টি ; চেহারা দেখিলে মনে হয়, বেচারী অনেক কষ্ট সন্থ করিয়াছে। একজন ঠিকে চাকুরাণীর সাহায্যে তিনি সমস্ত ঘরকরার কাজ করিতেন। চাকরাণীর নাম "মারিয়ান” । সে খুব প্রাতে আসিত ও দুপুর-বেলায় চলিয়া যাইত। ঠিক সেই সময় মঃ-ওয়ালতার তার দৈনিক ভ্রমণের পর মধ্যাহ্ন-ভোজনের জন্য আসিতেন। ঘর বাট দেওয়া এবং অন্যান্য প্রমেয় কাজ মারিয়ানই করিত। রান্নার সমস্ত কাজ মাদাম নিজেই করিতেন। র্তার রায়া সাদাসিধা-রকমের ছিল,—কিন্তু খুব উৎকৃষ্ট এবং সকল-রকম বিদেশী রান্নাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাই, তার রান্না দেখিয়াও বুঝা যাইত না, তারা ८कांन्-छाडौय । দম্পতীর ‘ঘোরো"-জীবন-সম্বন্ধে মারিয়ান কিছুই জানিত না। একবার কি-একটা জিনিসের খোজ করিবার জন্য দৈবক্রমে মনিবের বাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়া সে শুনিতে পাইল খাবার-ঘরে, ম:-ওয়ালতারের কণ্ঠস্বর ক্রোধে সপ্তমে উঠিয়াছে। দুই-তিন দিন পরে, ঐ একই অছিলায় আসিয়া সে আবার সেই ক্লষ্ট কণ্ঠস্বর শুনিতে পাইল । ইহার পর মাদাম তা’কে সাবধান করিয়া দিলেন তা’র কাজের সময় ছাড়া আর কোনো সময়ে যেন সে বাড়ীতে না আসে। কাজেই মারিয়ান নিজের কৌতুহল দমন করিতে বাধ্য হইল। কিন্তু তাহাদের সমস্ত গৃহকাৰ্য্য হইতে সে যে-একটু আভাস পাইয়াছিল, তাহা হইতেই সে বুঝিতে পারিল যে, মং-ওয়ালতার অত্যন্ত লোভী ও যথেচ্ছাচারী লোক। তাই তাদের ঝগড়াঝণটির কথা বাহিরের লোকে যাহাতে না জানিতে পায় এইজন্য মাদাম পারংপক্ষে গৃহ হইতে বাহির হন না। মারিস্থানের [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড মাথায় এই কথাটাই ঘুরিতেছিল ; তাই সে আশ্চর্ঘ্য হইল . যখন মাদাম তাহাকে বলিলেন —“মারিয়ান, কাল সমস্ত দিন তুই কি এখানে থাকৃতে পারবি? আমি একটা ভোজের আয়োজন করতে যাচ্ছি—আমাকে তোর সাহায্য করতে হবে।” - মারিয়ান জিজ্ঞাসা করিল, “মাদাম, বাহিরের লোক আসিবে কি ?” অন্ত সময় হইলে মাদাম দাসীর কৌতুহল একটা তীব্র দৃষ্টিতে দাবিয়া দিতেন—কিন্তু এখন কৃপা করিয়া সহজভাবে তাহার প্রশ্নের উত্তর দিলেন—“না, আমি বাহিরের কাউকে ডাকুচিনে। কাল আমাদের স্বর্ণবিবাহের সাম্বৎসরিক ; তাই আমাদের নিজের জন্য ছোট-খাটো একটা ভোজের আয়োজন করতে চাই । প্রত্যেক রান্নার জিনিস টেবিলে আসবার পর উঠে না গিয়ে, আমি সমস্ত খাদ্যসামগ্রী টেবিলে বসে’ উপভোগ করতে চাই। আমার কথা বুঝিচিস্ত ?" মারিয়ান কথাটা বেশ বুঝিয়াছিল ; তাহার শ্রেণীস্থলভ সহজ বুদ্ধিতে সে তখনই বুঝিল যে, একটা-কিছু রহস্যময় ব্যাপার ঘটিতে যাইতেছে—আর এই স্বর্ণবিবাহটা ঠিক সচরাচর-রকমের নয়। 醬 聯 棣 স্বভাবতই ম:-ওয়ালতার স্বর্ণ-বিবাহের কথাটা ভুলেন নাই। একদিন, কারিটা তার রুচি-মতে যথেষ্ট গরম না থাকায় তিনি কতকগুলা অপ্রীতিকর মন্তব্য প্রকাশ করিয়া তাহার পর বলিলেন ;–“ভালো কথা,-তুমি জানো ত, ১৪ই অক্টোবর শীঘ্রই আসছে ? কতকাল হইয়া গেল, কোন সাম্বৎসরিকই তাহাদের দৈনিক জীবন-ধারায় একটুও পরিবর্তন আনিতে পারে নাই—এমন কি, ঈষ্টার-পরব, ক্রিসমাস-পরব, নববর্ষের উৎসবও তাহদের গৃহের উপর দিয়া বেশ শাস্তভাবে ও নিঃশব্দে চলিয়া গিয়াছে—সুতরাং মাদাম এই তারিখের কোনো বিশেষ গুরুতা উপলব্ধি করিতে পারিলেন না । মাদাম জিজ্ঞাসা করিলেন, “১৪ই তারিখ আসছে, তাতে কি হয়েছে ?” তার স্বামী উত্তর করিলেন, “কি ! তোমার এ