পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা शंफ़ चाब्र किडूझे दन्वाब्र cनई ? uहे उॉब्रिथ? তোমায় কিঙ্কনে পড়িয়ে দেয় না কি ? কথাটা ঠিক তোমার মতোই হয়েছে ; তোমার মাথার মগজ যতখানি, তোমার হৃদয়টাও ততখানি••• 1 জানো না, ১৪ই অক্টোবর যে আমাদের বিবাহের সাম্বৎসরিক দিন —পঞ্চায়ে বৎসরে পড়েছে মাই-ডিয়ার—আমাদের স্বর্ণবিবাহের দিন । সেদিন কোনো-রকম একটা উৎসব করা উচিত নয় কি ? তোমার কি মনে হয় ?—মনে করে যদি একটা বেশ ভোজের আয়োজন করা যায়—তোমার ভালো সময়ে পূর্বে যেমন তুমি ভোজের আয়োজন করতে— ভোজের শেষ-ভাগে এক বোতল শু্যাপেন পান করা হ’ত ? তাতে আমাদের যৌবন আবার ফিরে আসবে, আসবে না কি ?” মিষ্টার ফলাদির সহিত শু্যাম্পেন পান করিয়া ভোজটা মধুরেণ সমাপন করিতে হইবে । হঠাৎ তারিখটা মনে পড়ায় ওয়ালতার শুধু এই কথাই মনে মনে ভাবিয়াছিলেন। ওয়ালতার কোনো কালেই কোন উপলক্ষেই তাহার স্ত্রীর সম্বন্ধে মাথা ঘামান নাই—তাই তার নজরে আসিল না— র্তার স্ত্রীর মুখ হঠাৎ সাদা হইয়া গিয়াছে—তিনি আর কিছু খাইতে চাহিতেছেন না। ওয়ালতার বেশ শাস্তভাবে সেই বড় দিনের প্রতীক্ষায় রহিলেন । • আর মাদাম-ওয়ালতার—তিনি একেবারে অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিলেন। পঞ্চাশবৎসর । সত্যই কি অত বৎসর হইয়া গিয়াছে ? তবে ত পঞ্চাশ বৎসর কাল তার জীবনকে টানিয়া লইয়া বেড়াইতেছেন—আস্তে-আস্তে জীবনকে বলি দিতেছেন । পঞ্চাশবৎসর ধরিয়া তিনি বুড়াইয়া যাইতেছেন এবং কবে স্বখের মুখ দেখিবেন, ও একটু ভালবাসা পাইবেন, সেই অপেক্ষায় বসিয়া আছেন। পঞ্চাশ বৎসর ধরিয়া তাহার হৃদয়ে কত বিদ্রোহের চিন্তা আসিয়াছে, আর তিনি তাহ দমন করিয়াছেন। ৫• বৎসর পূৰ্ব্বে যখন তিনি অল্পবয়স্ক বালিকা ছিলেন, —ম্বকেশী, রূপলী, বুদ্ধিমতী, মুখ-হৃদয়া বালিকা ছিলেন, তিনি বিশ্বাসপূর্বক এই লোকের হাতেই হৃদয় সমর্পণ করেন। কিন্তু ঘটনাটা হইয়াছিল ঘঁহু দূরে—যেখানেই হউক ন, আসিয়া যায় না—কোন-এক দক্ষিণ প্রদেশে, সৌর বিবাহের স্বর্ণ-বাসর ৬২৭ . করোজ্জল ঈষৎ-উষ্ণ দিবসে, প্রকৃতির স্থিতহাস্তের মধ্যে, গানের মধ্যে, হাসির মধ্যে, নৃত্যের মধ্যে। ওয়ালতার তরুণবয়স্ক ছিল, মাদাম তা’কে ভালোবাসিয়াছিলেন। তিনি তাহাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করিয়াছিলেন, এবং স্বনীল অম্বর-তলে তার স্বর্ণ-ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করিতেছে এইরূপ তিনি স্বপ্ন দেখিতেন। তথাপি বিবাহের পরদিনই তাহার নৈরাপ্ত আরম্ভ হইল। তিনি দেখিতে পাইলেন, যাহার হৃদয় তিনি মনে করিয়াছিলেন বিবিধ গুণে বিভূষিত, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক কাৰ্য্য নীচ স্বাধপরতার দ্বারা পরিচালিত। স্বামীর নিতান্ত অসঙ্গীত আত্মম্ভরিতার পরিচয় পাইয়া তার “ভুল-ভাঙাট দিনেদিনে, বৎসরে-বৎসরে বাড়িয়াই চলিল। যখন তারা দুজনে পৃথিবীর একপ্রান্ত হইতে আর-এক প্রান্ত পৰ্য্যন্ত ভ্রমণ করিতেন, তখন তিনি তার স্ত্রীর দুঃখকষ্ট্রেয় ভাগী হইতে চাহিতেন না—পাছে নিজের স্বথে বাধা পড়ে এইজন্য সেইসব কর্মের কথা আমলেই আনিতেন না । নিরস্তুর অশ্রপাত করিয়াও রমণীর জীবনটা যেন অতি শীঘ্ৰ কাটিয়া গিয়াছে—পৃথিবীতে আর বেশী দিন থাকিবার নাই—আর তাহার কোনো আশাভরসাও নাই—রহস্যময় পর-পারের দিকেই এখন তাহার দৃষ্টি নিবদ্ধ। . তথাপি তার পরলোকের আশাও এই লোকের আত্মম্ভরিতায় একেবারে শুকাইয়া গেল। তার বালিকস্থলভ স্বখের স্বপ্নকে ক্রমাগত উপহাস করিয়া নারী-হৃদয়ের বিশ্বাসকে কি তার স্বামী কলঙ্কিত করেন নাই ; প্রেমের ধংসাবশেষের উপর সগৰ্ব্বে খাড়া হইয়া, পূৰ্ব্বকালের স্মৃতিগুলিকে নিৰ্ম্মমভাবে পদদলিত করিয়া তিনি কিনা এখন উত্তম ভোজের কথা ভাবিতেছেন—প্তাম্পেনের কথা, ফলমিষ্টারের কথা ভাবিতেছেন! ও ! পোড়া ভোজ ! যদি এই ভোজটাকে একটা প্রতিশোধের ব্যাপার করিয়া তোলা যায়! যে-বিষ সে বিন্দু-বিন্দু করিয়া এতকাল শোষণ করিয়া আসিয়াছে, যদি সেই বিষে এই ভোজটাও জর্জরিত श्द्र ! खेङटब्रव्र चौबटन ७शेट्टेि युनि c*ष-cडांछ छ्ञ ! ७ई শেষ মুহূর্তে এখনও যদি একটু সাহসে বুক বাধিয়া, তার মৎলবট সিদ্ধ করিতে পারে, দাসত্বশৃঙ্খল ছিন্ন করিয়া স্বামীকে ত্যাগ করিয়া জীবনের অবশিষ্ট স্বল্প দিন তাহ